দু’দিন ধরে একটি পাগলা কুকুরের কামড়ে আরামবাগের বাতানল পঞ্চায়েত এলাকার ১০-১২টি গ্রামের অন্তত ৪০ জন গ্রামবাসী জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে ২৫ জনকে। বাকিদের বর্ধমানের মাধবডিহি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা চলছে। সোমবার দুপুরেই অবশ্য কুকরটিকে পিটিয়ে মারা হয়। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, রবিবার বিকেল থেকে অন্তত আট কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দাপিয়ে বেড়ায় কুকুরটি। তার মুখ দিয়ে অবিরাম লাল ঝরছিল। আরামবাগ হাসপাতালের সুপার নির্মাল্য রায় বলেন, “জখমদের প্রতিষেধক দেওয়া শুরু হয়েছে। অনেকেরই ক্ষত গুরুতর। চিকিৎসা চলছে।” পাগলা কুকুরের কামড়ে যাঁরা জখম হয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশেরই ক্ষত রয়েছে কোমর থেকে মুখ পর্যন্ত। আরামবাগ হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের মধ্যে চকহাজি গ্রামের প্রৌঢ় শেখ শাহ আলমের বুক এবং থুতনির মাংস খুবলে নিয়েছে কুকুরটি। সোমবার সকালে তিনি মাঠে কাজে যাওয়ার পথে আক্রান্ত হন। ষষ্ঠীপুর গ্রামের স্কুলছাত্র প্রসেনজিৎ ঘোষ রবিবার বিকেলে খামারে দাঁড়িয়ে বাবা-মায়ের ধান ঝাড়া দেখছিল। তারও গাল ও গলায় কামড় বসিয়েছে কুকরটি। চকফাজিল গ্রামের যুবক শেখ নাজিমুদ্দিনের পেট এবং হাতে খুবলে দিয়েছে কুকুরটি। এমন উদাহরণ আরও আছে। পাশেই বর্ধমানের মাধবডিহি থানার পহলামপুর গ্রামেও কুকুরটির হামলায় জখম হন দু’জন।
|
দু’টি ভিন্ন ঘটনায়, হাতির হানায় প্রাণ হারালেন দুই ব্যক্তি। প্রথম ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাতে। গোলাঘাট জেলার মারপুলনির জঙ্গল থেকে হাতির দল নাহারচলা গ্রামে ঢুকে পড়ে। হাতির ধাক্কায় গুঁড়িয়ে যায় ১০টি বাড়ি। মারা যান মারিসুতিলা কুজুর নামে এক মহিলা। তাঁর স্বামী ও তিন বনকর্মী হাতি হঠাতে গিয়ে জখম হয়েছেন। অন্যদিকে, গত রাতে চিরাং জেলার বিষ্ণুপুরে হাতির পালের হানায় ১৫টি ঘর ভাঙে। মারা যান গিরীন সরকার নামে এক ব্যক্তি। হাতি তাড়াতে বনকর্মীরা চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে বন দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে।
|