|
|
|
|
ভিডিও কনফারেন্সে প্রবাসীরা |
সরকার দুর্বল, তাই ভুগছে দেশ: মোদী |
সংবাদসংস্থা • আমদাবাদ |
অবশেষে মার্কিন মুলুকে প্রবাসী ভারতীয়দের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ পেলেন নরেন্দ্র মোদী। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি গুজরাত-মহিমার কথা শোনালেন ২০টি শহরকে।
অতীতে বহু বার আমেরিকা গিয়ে বক্তৃতা দেন মোদী। কিন্তু গোধরা পরবর্তী দাঙ্গার জেরে ২০০৫-এ প্রথম তাঁর ভিসা বাতিল করে আমেরিকা। গত বছর ফের মোদীর ভিসা-প্রসঙ্গ উঠেছিল। তাতে মার্কিন আইনসভার ২৫ সদস্যের একটি দল তৎকালীন বিদেশসচিব হিলারি ক্লিন্টনের কাছে আবেদন জানায়, মোদীকে যেন ভিসা না দেওয়া হয়। গোধরা পরবর্তী দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্তরা মোদীর রাজত্বে আদৌ সুবিচার পাননি। একই কারণে সম্প্রতি হোয়ার্টন বিশ্ববিদ্যালয়ে মোদীর আমন্ত্রণও বাতিল হয়ে যায়। শেষমেশ মোদীর শিকে ছিঁড়ল।
এক ঘণ্টার বক্তৃতায় আজ মূলত বিদেশনীতি ও দুর্নীতি নিয়ে ইউপিএ সরকারকে ঠুকেছেন মোদী। মনমোহন সরকারকে দুর্বল আখ্যা দিয়ে মোদীর বক্তব্য, গত ১২ বছরে গুজরাতের মানুষ উন্নয়নের নয়া অর্থ দেখেছে। আর দুর্নীতিগ্রস্ত ইউপিএ সরকার তাদের জমানায় মানুষের বিশ্বাস হারিয়েছে। মোদীর কথায়, “আমি জানি শাসক দুর্বল হলে কী পরিমাণে ক্ষতি হতে পারে। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর দিকেই তাকিয়ে দেখুন...।” পরেই তিনি টেনে আনেন চিনা সেনা অনুপ্রবেশের কথা। “চিন ওদের সেনা সরিয়ে নিল, সেটা বুঝলাম। কিন্তু এটা বুঝতে পারলাম না, ভারতের মাটি থেকে ভারতীয় সেনাদেরই কেন সরিয়ে নেওয়া হল!” আরও বলেন, “আপনারা বিশ্বাস করতে পারেন, জওয়ানদের মাথা কেটে নিল পাকিস্তান। আর কয়েক মাসের মধ্যে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতে এসে চিকেন বিরিয়ানি খাচ্ছেন!” পাক প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরাফের সফরের সময়ে বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ তাঁর সম্মানে ভোজ দেন।
যদিও কর্নাটকে দলের ভরাডুবির প্রসঙ্গ তেমন ভাবে তোলেননি তিনি। বরং ঘুরিয়ে বলেন, “আমাদের ঘরের লোকেরাই ঘরে আগুন লাগাচ্ছেন।” কংগ্রেস অবশ্য তাঁর মন্তব্য হেলায় উড়িয়ে দিয়েছে। বরং বিজেপির ভরাডুবির পর শিবসেনার সঞ্জয় রাউত যে বলেছিলেন, “মোদীর লোক দেখানো ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তি বিজেপি-র অকালমৃত্যু ডেকে আনতে পারে, তা প্রমাণ হয়ে গেল”, তারই জবাব চেয়েছে তারা। |
|
|
|
|
|