অভিযুক্তরা তৃণমূল ঘনিষ্ঠ হওয়ায় পুলিশ তাদের ধরছে না, এই অভিযোগে মৃতদেহ থানায় নিয়ে এসে বিক্ষোভ দেখালেন কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণীর বাসিন্দারা। শনিবার রাত পর্যন্ত কোতয়ালি থানায় বিক্ষোভ চলে। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দিলে বিক্ষোভ উঠে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, পয়লা বৈশাখ ঘরামিপাড়ায় গণ্ডগোলের জেরে এলাকার বাসিন্দা তেঁতুল ঘোষকে বাড়িতে এসে মারধর করে প্রতিবেশী প্রকাশ বিশ্বাস ও তার জেঠতুতো ভাইয়েরা। অভিযোগ, সেই সময় তেঁতুল ঘোষের বাবা মধুসূদন ঘোষ (৭৫) বাধা দিতে এলে তাঁকেও কোপানো হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল ও পরে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে মধুসূদনবাবুকে ভর্তি করা হয়। শনিবার মারা যান তিনি।
ঘোষ পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার পরেই থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হলেও অভিযুক্তদের ধরছে না পুলিশ। গ্রেফতার দূরের কথা, পুলিশ তদন্ত করতে ঘটনাস্থলেও আসেনি। এই অভিযোগে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় মৃতদেহ নিয়ে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায়।
অভিযোগ অস্বীকার করে কৃষ্ণনগর শহর তৃণমূলের সভাপতি শিবনাথ চৌধুরী বলেন, “অভিযুক্তদের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। আমরাও চাই অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক।’’ কৃষ্ণনগরের আইসি অলোকরঞ্জন মুন্সী বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই আমরা তল্লাশি চালাচ্ছি। তবে অভিযুক্তরা পলাতক।” |