বারবাটাম, ক্যামপালুটান, হডসোস্নি রডোডেনড্রন গাছের নানা প্রজাতি। দার্জিলিং পাহাড়ে সান্দাকফু, ফালুট, সিঙ্গালিলা ন্যাশনাল পার্কে রয়েছে রডোডেনড্রনের ঘন জঙ্গল। সেই জঙ্গল নষ্ট হয়ে যেতে বসেছে। কেন? কী ভাবে? এই সব জানতে সম্প্রতি দার্জিলিংয়ের ফেডারেশন অফ সোসাইটিস ফর এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন-এর দশ সদস্যের একটি দল সমীক্ষা চালায়। ওই সংগঠনের দার্জিলিং শাখার পক্ষে সম্পাদক ভরত প্রকাশ রাই জানান, সমীক্ষা করে দেখা গেছে আবহাওয়ার পরিবর্তনের পাশাপাশি বেসরকারি হোটেলগুলি যথেচ্ছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছে রডোডেনড্রন গাছের কাঠ। এ ছাড়া সীমান্তবর্তী নেপালের গ্রামগুলি থেকে অবাধে গরু, ইয়াক চরাতে চলে আসে। ফলে রডোডেনড্রনের চারা বৃদ্ধির সুযোগ ঘটে না। গৈরিবাস, তালপুকুরি, ফালুট, মৌলে, পাসিভঞ্জ -এর পাহাড়ি এলাকায় তিন দিনের এই পর্যবেক্ষণ শিবির চলে। দেখা যায় যেখানে নিয়ম মেনে মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে লাল, সাদা, গোলাপি রঙের রডোডেনড্রন ফুল ভরে উঠত পাহাড়ি অঞ্চল, সেখানে এপ্রিলে গাছে ফুল ফুটছে। এর জন্য দায়ী আবহাওয়ার পরিবর্তন। বন ও বন্যপ্রাণী ভীষণ ভাবে মিলে রয়েছে। সময়ের আগেই গাছে ফুল আসার প্রভাব পড়ে অঞ্চলে প্রজাপতি, পাখি, কীটপতঙ্গের ওপর। গাছের সংখ্যাবৃদ্ধিও ব্যাহত হচ্ছে।
|
সাপ ধরা তাঁর নেশা। তবে তা মোটে কাছে রাখার জন্য নয়। জঙ্গলে রেখে দেওয়ার জন্য লোকালয় থেকে সাপ ধরেন নন্দু রায়। সরীসৃপের পিচ্ছিল শরীরে হাত বোলান মমতায়। জখমের শুশ্রূষা করেন। জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি থানার বাসিন্দা নন্দুবাবু। পেশায় পরিবহণ ব্যবসায়ী। সারা দিনের ব্যস্ততার মাঝেও সাপের জন্য সময়ের অভাব নেই মানুষটির। লোকালয়ে হিলহিলে শরীরের হদিস মিললেই তাঁর মোবাইল ফোনটি বেজে ওঠে। ময়নাগুড়ির বাসিন্দারা জানেন যে, বসতবাড়ির অন্দরে সাপ বেরোলে নন্দুবাবুই তাঁদের ভরসা! সাপ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টায় প্রচারও করেন তিনি। পরিচিত বা অপরিচিতসকলকেই তিনি বোঝান, যাতে কেউ সাপ না মারেন। কেননা, তাতে পরিবেশের ভারসাম্য বিঘ্নিত হতে পারে। সাপের গায়ে আঘাত গুরুতর হলে তিনি তার চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেন। তার পর তাকে জঙ্গলে ছেড়ে দিয়ে আসেন। তবে তাঁর এত সব ভাল কর্মকাণ্ডের মধ্যেও কিন্তু একটি খারাপ দিক রয়েছে। তিনি নিজের সঙ্গে মোটেই অ্যান্টি-ভেনাম ইঞ্জেকশন রাখেন না।
|
‘‘বাংলা ভাষায় এ ভূখণ্ডে প্রথম জীবনচরিত প্রকাশিত হয় ১৯৬৫ সালে। এ ভূখণ্ড মানে আজকের উত্তরবঙ্গের সমতলের বঙ্গভাষী অঞ্চল। এ জীবনীগ্রন্থের নাম যোগেশ-জীবন। রচক ভুবনেশ্বর মুখোপাধ্যায়। যোগেশজীবন গ্রন্থটি শুধু জীবনীগ্রন্থ নয়, এটি সমসময়ের জলপাইগুড়ির সমাজ-স্বদেশীয়ানা-নগরায়ণেরও ইতিবৃত্ত।” ‘যোগেশজীবন’ সম্পাদনা করতে গিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন পৌলোমী ভাওয়াল, আনন্দগোপাল ঘোষ। তাঁরা জানাচ্ছন, “যোগেশচন্দ্র ছিলেন সফল শিল্পপতি, আইনজীবী, সমাজসেবী, দানবীরও। তিনি জলজ শহর জলপাইগুড়ির ভূমিপুত্র।” গ্রন্থে ১৩ অধ্যায় জুড়ে আছে যোগেশচন্দ্রের জন্মযুগ থেকে অনন্ত জীবন, তাঁর পিতা গোপালচন্দ্রের সংক্ষিপ্ত জীবনী। স্থান পেয়েছে আলোকচিত্র, পরিশিষ্ট। সম্পাদনার পাশাপাশি সংযোজনের দায়িত্বও সামলেছেন পৌলোমী দেবী এবং আনন্দগোপালবাবু। গ্রন্থে কিছু মুদ্রণত্রুটি আছে। সম্পাদকীয়ে কোথাও কোথাও বাক্যবিন্যাস বেশ দীর্ঘ। এ ছাড়া সম্পাদনা এবং সংযোজনার যুগলবন্দিতে গ্রন্থটি ঝরঝরে ভাষায় গল্পের মতো ইতিহাস বলে যায়। অবশ্যই ইতিহাসপ্রেমী পাঠকের চাহিদা মেটাবে ‘যোগেশজীবন’। |