টুকরো খবর
‘অধিকার’-বৈষম্য চলছেই, নালিশ বিরোধীদের
গরিব মানুষের জন্য বাড়ি তৈরির সরকারি প্রকল্প ‘অধিকার’ নিয়ে কংগ্রেসের পরে এ বার পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলল বামফ্রন্টও। অভিযোগ, শাসক দলের হাতে-থাকা বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতেই শুধু ওই প্রকল্পের কাজ হচ্ছে! বিরোধী বিধায়কদের সুপারিশ নেওয়াই হচ্ছে না। পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় অবশ্য আশ্বাস দিচ্ছেন, পর্যায়ক্রমে সব বিধায়ককেই সুযোগ দেওয়া হবে। বিপিএল তালিকায় নেই কিন্তু উপার্জন ক্ষমতা কম, এমন মানুষের জন্য ১১টি জেলায় ‘অধিকার’ প্রকল্পের আওতায় বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের পিছিয়ে-পড়া ১১টি জেলাই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। কারা সরকারি সাহায্যের উপযুক্ত হবেন, তা চিহ্নিত করার কথা বিধায়কদেরই। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূলের হাতে-থাকা বিধানসভা কেন্দ্রগুলিকেই প্রকল্পের জন্য বাছা হয়েছে। যেমন, বাম পরিষদীয় দল বাঁকুড়া জেলার যে তালিকা সংগ্রহ করেছে, তাতে ৮টি বিধানসভা কেন্দ্রের নাম রয়েছে। ওই ৮টি কেন্দ্রেরই বিধায়ক তৃণমূলের! প্রাক্তন পঞ্চায়েতমন্ত্রী তথা সিপিএম বিধায়ক আনিসুর রহমান বিষয়টি নিয়ে পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রতবাবুর কাছে সুরাহার দাবি জানালে সুব্রতবাবু বলেন, “যেমন টাকা পেয়েছি, সেই অনুযায়ী প্রকল্প শুরু করা হচ্ছে। তার মধ্যে শাসক দলের কেন্দ্র হয়তো বেশি আছে। কিছু বিরোধীদের এলাকাও আছে। পরে সকলের এলাকাই অন্তর্ভুক্ত করা হবে। কাউকে বাদ দেওয়া হবে না।”

তথ্য অধিকর্তা পদে দু’বছরে বদলি ৩ বার
জানুয়ারিতে বদলি হওয়া তথ্য ও সম্প্রচার অধিকর্তা এখনও ‘কম্পালসারি ওয়েটিং’-এ। অথচ তাঁর বদলে আসা অধিকর্তাকে ফের বদলি করে দিল রাজ্য সরকার। বদলি হওয়া কর্তাকে কোথায় পাঠানো হবে, তা ঘোষণা না-করেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার ক্ষমতায় আসার পরে এই নিয়ে দু’বছরে তিন বার বদলি হল তথ্য ও সম্প্রচার অধিকর্তার পদে। গত পাঁচ মাসেই দু’বার। সুমিত হালদারের বদলে কলকাতা পুরসভার সচিব ঋতেন্দ্রনারায়ণ বসু রায়চৌধুরী নতুন তথ্য ও সম্প্রচার অধিকর্তা হলেন। পুরসভার নতুন সচিব হচ্ছেন কারা দফতরের ডিআইজি (প্রশাসন) হরিহরপ্রসাদ মণ্ডল। মহাকরণের কর্তাদের একাংশের মতে, তথ্য ও সম্প্রচার দফতরের এক কর্তার জন্য উৎকৃষ্ট গাড়ি জোগাড় করে দেওয়া নিয়ে গোলমাল বাধে। তার জেরে অধিকর্তা-পদ ছাড়তে চাইছিলেন সুমিতবাবু। তবে ওই দফতরেরই কিছু কর্তার দাবি, “দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তিনি সাবলীল ভাবে কাজ সামলাতে না-পারায় অব্যাহতি চাইছিলেন।” সুমিতবাবু অবশ্য বলেন, “আমাকে বদলি করা হয়েছে বলে জানা নেই।” গত জানুয়ারিতে উমাপদ চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার অধিকর্তা করা হয় সুমিতবাবুকে। মহাকরণ সূত্রের খবর, সরকারের সমালোচক দু’টি সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপনের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার অভিযোগেই সরতে হয়েছিল উমাপদবাবুকে। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরেই নন্দন রায়কে সরিয়ে তাঁকে অধিকর্তা করা হয়েছিল।

লক্ষাধিক টাকা ‘প্রতারণা’, ধৃত
বাড়িতে ইন্টারনেটের টাওয়ার বসানোর নাম করে কয়েক লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে সোমবার এক যুবক গ্রেফতার হল। গোয়েন্দা প্রধান পল্লবকান্তি ঘোষ মঙ্গলবার জানান, ধৃত রানা পালের বাড়ি সোনারপুরে। গোয়েন্দারা জানান, জানুয়ারি মাসে মালদহের কয়েক জন বাসিন্দা অভিযোগ করেন, শেক্সপিয়র সরণির একটি সংস্থা তাঁদের গ্রামের বাড়িতে ইন্টারনেটের টাওয়ার বসানোর নাম করে কয়েক লক্ষ টাকা নেয়। আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, টাওয়ারের ভাড়া বাবদ তাঁদের প্রতি মাসে এক লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। কিন্তু ছ’মাস পরেও টাওয়ার বসেনি। এর পরেই তাঁরা ওই সংস্থার কার্যালয়ে গিয়ে জানতে পারেন, সেটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। গোয়েন্দারা জেনেছেন, সংস্থাটি চালাতেন রানা এবং তাঁর সঙ্গী তাপস মণ্ডল। তাঁরা বিভিন্ন এজেন্ট নিয়োগ করতেন। এজেন্টরাই কৃষ্ণনগর, মালদহ, বীরভূমে বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে টাওয়ার বসানোর নামে কয়েক লক্ষ টাকা তুলে রানা ও তাপসের কাছে জমা দেন।

বামেরা রাজি রবীন্দ্র-স্মরণে
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার ১০০ বছর পরে রবীন্দ্রনাথকে স্বীকৃতি দিচ্ছেন এ বঙ্গের কমিউনিস্টরা! ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তাঁকে বরণ করেছিল গোটা বিশ্ব। আর সামনের ২৫ বৈশাখ বৃহস্পতিবার বেলা ১০টায় জোড়াসাঁকোর ঠাকুর-বাড়িতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথের গলায় মালা দেবেন বাম নেতৃত্ব। এই প্রথম। এ দিন বামফ্রন্টের বৈঠকে শরিক নেতারা রবীন্দ্রজয়ন্তীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করার সঙ্গে সঙ্গেই ফ্রন্ট চেয়ারম্যান তথা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু রাজি হয়ে যান। তিনি এ ব্যাপারে দায়িত্ব দেন সিপিএম নেতা রবীন দেবকে। তৃণমূলের ব্যাখ্যা, তারা ক্ষমতায় আসার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে রবীন্দ্রনাথকে সর্বস্তরে শ্রদ্ধা জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা দেখেই বিমানবাবুদের হুঁশ ফিরেছে। তৃণমূলের পাল্টা সমালোচনা করে বিমানবাবু বলেন, “এদের আমলে বাংলার সংস্কৃতিকে যে ভাবে টেনে নামানো হচ্ছে, রবীন্দ্রনাথের সংস্কৃতির বাইরে গিয়ে যে ভাবে উদ্ভট সংস্কৃতির আমদানি করা হচ্ছে, তাতে তৃণমূল রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে কিছু বললে, তা হবে বাজে কথা।””

অন্য লগ্নি সংস্থা নিয়ে তদন্তের দাবিতে মামলা
পশ্চিমবঙ্গে ১৯৭৮ সাল থেকে যে-সব বেআইনি অর্থ লগ্নি সংস্থা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলেছে, তাদের বিষয়ে তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থের মামলা করা হয়েছে। রাজ্য সরকার, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত, সেবি, রেজিস্ট্রার অফ কোম্পানিজ, প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছে ওই মামলায়। আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার মামলাটি দায়ের করেন। আবেদনে বলা হয়েছে, ওই সব বেআইনি লগ্নি সংস্থায় টাকা রেখে রাজ্যের বহু মানুষ বারবার সর্বস্বান্ত হয়েছেন।

মানসের আর্জি
বর্ষা আসার আগে কেলেঘাই-কপালেশ্বরী-বাঘাই-চান্ডিয়া নদী সংস্কার ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ জরুরি ভিত্তিতে শুরু করার দাবি সরকারের কাছে জানিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী নমো নারায়ণ মিনার চিঠি দেখিয়ে মঙ্গলবার মানসবাবু জানান, গত ১৭ এপ্রিল কেন্দ্র এই প্রকল্পের কাজের জন্য ৪৫ কোটি ৩৭লক্ষ টাকা মঞ্জুর করেছে। এখন রাজ্য তাদের দেয় ২৫% টাকা দিয়ে দিলেই কাজ শুরু হবে। এর জন্য মানসবাবু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ও সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিও পাঠান।

স্কুল নিয়ে আপিল
কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলকে পোষিত (স্পনসর্ড) স্কুলে রূপান্তরের সরকারি প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে গিয়েছে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করা হচ্ছে বলে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান। কিছু স্কুলকে পোষিত ঘোষণা করার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা হয়। তার পরই ওই রূপান্তর স্থগিত রাখতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.