কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত একটি বেসরকারি আইন কলেজের অধ্যক্ষকে সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে মঙ্গলবার সওয়া ন’টা পর্যন্ত ঘেরাও করে রাখলেন ওই কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা। ওই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ১৫ জন অনশনেও বসেছেন। তাঁদের দাবি, ২০১০ সালে কলেজে পড়ুয়া হিসেবে ‘রেজিস্ট্রেশন ফি’ হিসেবে মাথা পিছু ১২০ টাকা করে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন আচমকাই কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁদের কাছ থেকে ফের ৯ হাজার ৮৫০ টাকা করে দাবি করছেন। কলেজের পরিচালন সমিতির সঙ্গে ছাত্রদের প্রথমে বৈঠক হয়। |
রাতে পুলিশ-প্রশাসন কলেজে আসে। চিকিৎসকদের একটি দলও পাঠিয়েছিল জেলা প্রশাসন। অনশনরত ছাত্রেরা অবশ্য চিকিৎসা করাতে রাজি হয়নি। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তিনি বলেন, “আমি জেলাশাসককে বলেছি বিষয়টি দেখতে।” প্রশাসনের হস্তক্ষেপেই রাতে ঘেরাও ও অনশন আন্দোলন প্রত্যাহার করে পড়ুয়ারা।ছাত্রছাত্রীদের বক্তব্য, তাঁরা বারবার ওই টাকা কমানোর দাবি জানালেও কলেজ কর্তৃপক্ষ তাতে কর্ণপাত করেননি। আন্দোলনকারীদের অন্যতম সুকান্ত দাস বলেন, “কলেজ কর্তৃপক্ষ অনড় থাকায় শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েই অধ্যক্ষকে ঘেরাও করতে হয়েছিল।” অধ্যক্ষ ভূপেন্দ্রকুমার বর্মা বলেন, “২০১১ সালে ওই রেজিস্ট্রেশন ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়। তাই আমাদের কিছু করার নেই।” ছাত্রদের অবশ্য বক্তব্য, ২০১১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় নতুন নিয়ম তৈরি করলেও তা কেন তাঁদের ২০১২ সালে জানানো হল? কলেজ কর্তৃপক্ষের যদিও সাফাই, তাঁরা ঠিক সময় মতোই ছাত্রছাত্রীদের সব কথা জানিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান, তাঁরা ঠিক সময়েই কলেজ কর্তৃপক্ষকে এই ফি বৃদ্ধির ব্যাপারে সব কথা জানিয়েছিলেন। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার উৎপল ভট্টাচার্য বলেন, “সব বিশ্ববিদ্যালয়ই কোর্স ফি’র একটি অংশ রেজিস্ট্রেশন ফি হিসেবে নিয়ে থাকে। সেই মতোই কোর্স ফি’র দশ শতাংশ টাকা ওই ফি হিসেবে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমরা ঠিক সময়েই সে কথা কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও দিয়েছিলাম।” |