সরকারের দু’বছর
দু’সপ্তাহ ধরে দুই জেলায় উৎসব করবে বন দফতর
ত বছর বন্যপ্রাণ সপ্তাহ সাত দিনের বদলে এক দিনে নামিয়ে আনা হয়েছিল। পাশাপাশি ‘ফায়ার লাইন’ ও নতুন তৃণভূমি তৈরির জন্যে বরাদ্দ দেরিতে এসেছিল। এ ছাড়া বন্যপ্রাণ স্কোয়াডের নিচুতলার কর্মীদের আধুনিক সরঞ্জাম সরবরাহে আর্থিক ঘাটতিরও সমস্যা রয়েছে। আর্থিক সমস্যা রয়েছে কর্মী নিয়োগেও। এই অবস্থার মধ্যেই রাজ্যের নতুন সরকারের দুই বছর পূর্তিকে স্মরনীয় করে রাখতে উৎসবের আয়োজন করছে বন দফতর। রাজ্যের একেকটি দফতরকে একটি বা একাধিক জেলা ভাগ করে উৎসব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলায় বনবিভাগ টানা ১৫ দিন ধরে উৎসব পালনের দায়িত্ব পেয়েছে।
শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের উদ্যোগে এই উৎসব পালিত হবে। পর্যটন দফতর বীরভূমে উৎসব করবে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে উৎসব শুরু হল ডুয়ার্সের লাটাগুড়িতে। দুই জেলার ৮টি কেন্দ্রে এই অনুষ্ঠান হবে। বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন বলেন, “দু’বছর সরকার যা উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন তা তুলে ধরতেই উৎসবের আয়োজন। বন দফতরের ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন দফতরের স্টল থাকবে। প্রতি দিন ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে। ১৫ দিনের উৎসবে মোট ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা খরচ করা হবে।”
সাম্প্রতিক সারদা কাণ্ডের জেরে রাজ্যের যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেখানে উৎসবের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। জলপাইগুড়ির সিপিএম নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী যোগেশ বর্মন বলেন, “বন দফতরের এখন এই ধরণের উৎসব আয়োজনে অর্থ ব্যয় না করে গাছের চারা বন্টন ও বনসৃজনে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। প্রাক বর্ষার এই সময়ে এটাই বন দফতরের সবথেকে বড় দায়িত্ব। তা না করে ১৫ দিনের লাগাতার অনুষ্ঠান কেন করা হচ্ছে বুঝতে পারছি না।”
জলপাইগুড়ি সিপিএমের সাংসদ মহেন্দ্রনাথ রায় অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পাননি। তিনি বলেন, “উৎসবের নাম করে সরকারি টাকা নষ্ট করা হচ্ছে।” মালবাজারের সিপিএমের বিধায়ক বুলু চিক বরাইক অনু্ষ্ঠান শুরুর দুই ঘন্টা আগে আমন্ত্রণ পেয়েছেন। তিনি বলেন, “উৎসবের যা টাকা খরচ হচ্ছে সেই টাকা দিয়ে সারদাকাণ্ডের আমানতকারীদের কিছু টাকা তো ফেরত দেওয়া যেত।” একইভাবে নাগরাকাটার কংগ্রেস বিধায়ক যোশেফ মুন্ডা বলেন, “এই সরকার উৎসবের সরকার। উন্নয়নের টাকা উৎসবে খরচ করাই এই সরকারের অন্যতম কাজ। সারদায় প্রতারিত আমানতকারীরা যেখানে টাকা ফেরতের স্পষ্ট আশ্বাস পাচ্ছেন না, সেখানে সরকারের দু’বছরের জন্মদিন পালন মানুষ ভাল চোখে দেখবেন না।”
বিরোধীদের কথায় কান দিতে নারাজ বনমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “দুই বছরে রাজ্য জুড়ে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। গত বছর সমস্ত দফতর একত্রে এই ধরনের একটি অনুষ্ঠান করেছিল। এ বার তা আলাদা ভাবে হচ্ছে। আর খুবই কম টাকা খরচ হচ্ছে। বিরোধীরা রাজনৈতিক স্বার্থে নানা কথা বলছেন।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.