ইতিহাসের সাক্ষী বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়ার ময়দানের সবুজ বাঁচাতে যানবাহন প্রবেশে আর্থিক জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নিল জেলা পুলিশ প্রশাসন। জেলা পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “ঐতিহাসিক ব্যারাক স্কোয়ার ময়দানে গাড়ি যাতায়াত করায় মাঠের সুবজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শহরে ঐতিহ্য এ ভাবে নষ্ট হতে দেওয়া যায় না। তাই গাড়ি মাঠে ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে চার চাকার ক্ষেত্রে দু’হাজার এবং মোটরবাইকে ৮০০ টাকা জরিমানা করা হবে।”
|
নিয়ম ভেঙে।—নিজস্ব চিত্র। |
গত বৃহস্পতিবার জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে বহরমপুরের পুরপ্রধানের ওই সংক্রান্ত আলোচনা হয়। তার পরেই শুক্রবার থেকে ট্র্যাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকে প্রচার চালানো হয়। জেলাপ্রশাসন এর আগে অবশ্য ময়দানের মধ্যে যানবাহন নিয়ে ঢোকার ক্ষেত্রে ১৪৪ ধারা জারি করে বিজ্ঞপ্তি লেখা বোর্ড ঝুলিয়ে দেয়। তা সত্ত্বেও মাঠের মধ্যে গাড়ির প্রবেশ ঠেকানো যায়নি। এদিকে ২০১২ সালে মহালয়ার আগে চার কোণে চারটি ‘হাইমাস্ট লাইট’ দিয়ে ময়দান আলোকিত করে পুরসভা। ব্যারাক স্কোয়ার ময়দান বরাবর পাঁচিল দিয়ে ঘিরে সবুজায়ন করার পাশাপাশি ত্রিফলা আলো দিয়েও সাজানোর ক্ষেত্রেও উদ্যোগী
হয় পুরসভা।
এর পরেই আলোকিত ব্যারাক স্কোয়ার ময়দানের সপরিবারে বেড়াতে আসার চাহিদা তৈরি হয় নাগরিকদের মধ্যে। কিন্তু বেপরোয়া মোটরবাইকের দাপটে মাঠে বাচ্চারা স্বাভাবিক ভাবে খেলতেও পারছিল না। এই অবস্থায় পুরসভা ও পুলিস প্রশাসন একসাথে মাঠে যানবাহন ঢোকার ক্ষেত্রে পদক্ষেপে খুশি অভিভাবকরাও।
পুরপ্রধান নীলরতন আঢ্য বলেন, “মাঠে ঢোকার ক্ষেত্রে কোর্ট বাজারের দিকে এবং এসডিও আবাসনের দিকে দুটি গেট তৈরি করা হচ্ছে। কোর্ট বাজারের দিকে মাঠে ঢোকার মুখে গাড়ি পার্কিং-এরও ব্যবস্থা করবে পুরসভা।” |