পৃথক দুর্ঘটনায় মৃত ১, জখম ৪
নিজস্ব সংবাদদাতা • মহম্মদবাজার ও সাঁইথিয়া |
দু’টি পৃথক দুর্ঘটনায় জেলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছেন চারজন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি। জখমেরা প্রত্যেকেই সিউড়ি সদর হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। শনিবার রাত ১১টা নাগাদ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে, মহম্মদবাজারের গণপুর জঙ্গলের কাছে প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে। রামপুরহাটগামী একটি বালি ভর্তি ট্রাক বিকল হয়ে রাস্তার উপরে দাঁড়িয়েছিল। পেছন দিক থেকে তাকে ধাক্কা মারে চাল বোঝাই অন্য একটি ট্রাক। সেই ধাক্কায় বালি ভর্তি ট্রাকটি রাস্তার পাশে একটি গাছে গিয়ে ধাক্কা মারে। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই বালি ট্রাক চালক ও খালাসিকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। গভীর রাতে সেখানেই মৃত্যু হয় চালকের। রবিবার সকালে অন্য দুর্ঘটনাটি ঘটে সাঁইথিয়া-মহম্মদবাজার রাজ্য সড়কে, গেড়িনগরের কাছে। গেড়িনগরের বালিঘাট যাওয়ার রাস্তার কাছে তিন বাইক আরোহী রাস্তার ধারে বাইক রেখে বসেছিলেন। সে সময় একটি চার চাকা গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পেছন দিক থেকে এসে ওই তিনজনকে ধাক্কা মারে। গুরুতর জখম অবস্থায় প্রত্যেককে প্রথমে সাঁইথিয়া ও পরে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রাত পর্যন্ত পুলিশ তাঁদের পরিচয় জানতে পারেনি।
|
পারিবারিক বিবাদে মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুবরাজপুর |
দাদা ও ছোট ভাইয়ের বিবাদ মেটাতে গিয়ে মৃত্যু হল মেজ ভাইয়ের। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শেখ রহিম (৪২)। বাড়ি দুবরাজপুরের সাজিনা গ্রামে। চিকিত্সাধীন অবস্থায় রবিবার সকালে সিউড়ি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ ওই ঘটনায় একজনকে আটক করেছে। শনিবার রাতে পৈতৃক সম্পত্তির ভাগ নিয়ে সাজিনা গ্রামের দুই ভাইয়ের বিবাদ হয়। শেখ ইসরাফিলের পরিবারের সঙ্গে তাঁরই ছোট ভাই শেখ ইব্রাহিমের পরিবারের ঝামেলা বেঁধেছিল। তা মেটাতে গিয়েই মেজ ভাই শেখ রহিম জখম হন বলে জানা গিয়েছে। আহত হন পরিবারের আরও কয়েক জন। জখমদের প্রথমে দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতাল ও পরে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রবিবার বিকেল পর্যন্ত ওই ঘটনায় পুলিশের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে পুলিশ মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে শেখ ইসরাফিলের ছেলে শেখ রাজেশকে আটক করেছে।
|
চলে গেলেন অর্ণব মজুমদার
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি |
প্রয়াত হলেন জেলার বিশিষ্ট প্রত্নতত্ববিদ ও সাহিত্যিক অর্ণব মজুমদার। শনিবার রাতে ইলামবাজারের বাতিকায় নিজের গ্রামের বাড়িতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। বয়স হয়েছিল ৮২। অর্ণববাবু নানা জায়গায় গিয়ে প্রাচীন প্রত্ন সামগ্রী সংগ্রহ করতেন। এই জেলার প্রত্ন সামগ্রী সংরক্ষণে সরকারি অবহেলা নিয়ে গভীর আক্ষেপ ছিল তাঁর। প্রত্ন সামগ্রী নিয়ে চর্চা করা ছাড়াও সাহিত্যক হিসেবেও তাঁর একটি আলাদা পরিচিতি ছিল। সাক্ষরতা অভিযানে অর্ণববাবুর লেখা বহু ছড়া সরকারের স্বীকৃতি পেয়েছে। দু’টি গ্রন্থও প্রকাশ করেছিলেন। অর্ণববাবুর মৃত্যুতে গভীর শোক জ্ঞাপন এবং তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদার। অর্ণববাবুর সঙ্গে তাঁর বিশেষ ঘনিষ্ঠতা ছিল। তরুণবাবুর প্রায় সব ক’টি ছবিতেই অর্ণববাবু নানা ভাবে যুক্ত ছিলেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অর্ণববাবুর স্মরণ সভায় আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ওই চলচ্চিত্র পরিচালক। |