পুরপ্রধানকে মারের নিন্দা, পরে সুর বদল রবিরঞ্জনের
গের দিনই সিপিএম নেতাকে মারধরের ঘটনার নিন্দা করেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা বর্ধমানের তৃণমূল বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। আর তা নিয়ে দলের মধ্যে সমালোচনা শুরু হওয়ার পরে রবিবার সুর খানিকটা বদল করলেন তিনি।
সিপিএম নেতা তথা বর্ধমানের পুরপ্রধান আইনূল হক গত বৃহস্পতিবার তৃণমূলের লোকজনের হাতে প্রহৃত হন বলে অভিযোগ। শনিবার শহরের জেলখানা মোড়ে দলের একটি রক্তদান শিবিরে গিয়ে রবিরঞ্জনবাবু বলেছিলেন, “এটা অত্যন্ত নিন্দার ঘটনা। আইনূল আমার ছাত্রপ্রতিম। তাঁকে আমাদের যাঁরা মারধর করেছেন, তাঁরা ঠিক করেননি।” এর পরেই শহর তথা জেলার অন্য তৃণমূল নেতারা এমন মন্তব্যের সমালোচনা করেন। রাজ্যের আর এক মন্ত্রী তথা আসানসোলের বিধায়ক মলয় ঘটক বলেন, “আইনূল হক কী কারণে এবং কী ভাবে প্রহৃত হয়েছেন, তা তদন্তসাপেক্ষ। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তা শেষ হওয়ার আগে এমন মন্তব্য করা ঠিক নয়।”

শহরে শান্তির দাবিতে মিছিল করল তৃণমূল। রবিবারের নিজস্ব চিত্র।
রবিরঞ্জনবাবুর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত শহর যুব তৃণমূল সভাপতি খোকন দাসের দাবি, “স্যার কী বলেছেন, আমি জানি না। তবে আইনূল হক এত দিন ধরে মারধরের রাজনীতি করে এসেছেন। শহরে তৃণমূল করার উপায় ছিল না। ওই ঘটনার দিনও প্রথমে সিপিএম আমাদের লোকেদের আক্রমণ করে। আক্রান্তেরা প্রতিরোধ করেছেন মাত্র।”
তাঁর মন্তব্য নিয়ে এ রকম চাপান-উতোর শুরু হওয়ার পরে রবিবার অবশ্য খানিকটা সুর বদল করেছেন রবিরঞ্জনবাবু। এ দিন তাঁর দাবি, “আইনূলের উপরে আক্রমণের ঘটনা সাজানোও হতে পারে। আমরা ক্ষমতায় আসার পরে দু’বছর কিছু হল না, হঠাৎ পুরভোটের কিছু দিন আগেই উনি আক্রান্ত হলেন! এটা সিপিএমের পাতা ফাঁদও হতে পারে।” তবে তিনি যোগ করেন, “কিন্তু তৃণমূলের লোকেরা তাতে পা দেবেন কেন? আমি তাই বলেছি, সবাই সমঝে চলুন। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়বেন না। পুলিশ কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধেই আইন প্রয়োগ করবে।”
বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনার পরপরই পুলিশ দুই তৃণমূল সমর্থককে গ্রেফতার করে। তবে প্রহৃত তৃণমূল নেতা সুজিতবাবু আইনূল হক-সহ যে সব সিপিএম নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, তাঁদের এখনও ধরা হয়নি। এ নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল। বর্ধমান থানার আইসি দিলীপ গঙ্গোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “ওই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। তাই তাঁদের গ্রেফতারের প্রশ্ন নেই।” অভিযুক্ত সিপিএম নেতাদের দাবি, তাঁরা কেউ মারপিটের ঘটনায় জড়িত নন। আইনূল হকের বক্তব্য, “আমি তো ঘটনাস্থলে ছিলামই না। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।” তৃণমূল নেতা সুজিতবাবু শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। তাঁকে শনিবার দেখতে যান মলয় ঘটক।
তাঁদের অফিসে হামলার প্রতিবাদে শুক্রবারই শহরে মিছিল করে সিপিএম। হাজির ছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র, নিরুপম সেন, মদন ঘোষ প্রমুখ। শহরে শান্তি ফেরানোর দাবিতে রবিবার বিকেলে মিছিল করে তৃণমূলও। তাতে হাঁটেন রবিরঞ্জনবাবু, মেমারির বিধায়ক আবুল হাসেম মণ্ডল ও অন্য নেতারা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.