হাসপাতাল থেকে চা খেতে বেরিয়ে বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক রোগীর। প্রতিবাদে হাসপাতালে অল্পবিস্তর ভাঙচুর চলে। শনিবার সকালে বীরভূমের সাঁইথিয়া হাসপাতালের সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃতের নাম নিমাই হাজরা (৩৫)। সাঁইথিয়া ২ নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মরাজতলায় তাঁর বাড়ি। নিমাইবাবুর ছেলে রাম হাজরা জানায়, শ্বাস কষ্টের সমস্যা নিয়ে তার বাবাকে বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তিনি পেশায় রিকশাচালক। রামের কথায়, “হাসপাতালে বাবার থাকার কথা ছিল। অথচ বাইরে রাস্তায় কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটল বুঝতে পারছি না।” খবর পেয়ে তাঁর পরিজনেরা হাসপাতালে জড়ো হন। কিছু বহিরাগত প্রতিবাদ জানাতে হাসপাতালে ঢুকে বহির্বিভাগের জানলার কাচ ভেঙে দেয় ও চেয়ার-টেবিল উল্টে দেয়। হাসপাতাল লাগোয়া চৌরাস্তা মোড়ে কিছু ক্ষণ পথ অবরোধ করা হয়। পুলিশ পরিস্থিতি সামলায়। হাসপাতালের বিএমওএইচ সুবীর রায়চৌধুরী বলেন, “এ দিন সকালে নিমাইবাবুকে ছুটি দেওয়া হয়। কিন্তু বাড়ির লোক না আসায় তাঁকে ছাড়া হয়নি। এর মধ্যে তিনি চা খেতে বেরিয়ে যান।” পুলিশ জানায়, বাসটিকে আটক করা হয়েছে। চালক পালিয়ে গিয়েছে।
|
পুকুরের জল ব্যবহার নিয়ে শনিবার দুই পাড়ার মধ্যে সংঘর্ষ হল বাঁকুড়ার বড়জোড়া থানার জমাদার গ্রামে। ভাঙচুর হয় কিছু ঘরবাড়ি। জখমও হন কয়েকজন। শেষে কমব্যাট ফোর্স গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কোনও পক্ষ অভিযোগ না জানালেও পুলিশ তিন জনকে আটক করে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, একটি পাড়ার লোকজন ওই পুকুরে মাছচাষ করে। অন্য পাড়ার লোকেরা ওই জল ব্যবহার করতে চাওয়ায় গণ্ডগোলের সূত্রপাত। এ নিয়ে কিছু দিন ধরেই দু’পাড়ার মধ্যে বচসা চলছিল।
|
এলাকা দখল রাখতে দু’পক্ষের মধ্যে বোমাবাজি চলল বীরভূমের কাঁকরতলা থানার বড়রা গ্রামে। শনিবারের ঘটনা। অন্তত ৩০টি বোমা ফাটানো হয় বলে অভিযোগ।
|