ওসির বদলির দাবিতে সুতি থানায় ভাঙচুর চালাল কংগ্রেস সমর্থকরা। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ কংগ্রেস কর্মীরা মিছিল করে সুতি থানায় আসে। তারপর থানার ভিতরে ঢুকে শুরু করে তাণ্ডব। নিমেষে গুঁড়িয়ে যায় অন্তত ১৫-২০টি মোটরবাইক। ভাঙচুর চালানো হয় বেশ কয়েকটি গাড়িতেও।
ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়। মারমুখী কংগ্রেস সমর্থকদের সামনে ওসি-সহ পুলিশ কর্মীরা ঘরের দরজা লাগিয়ে ভিতরে বসে থাকেন। এরপরে বাধ্য হয়েই পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “মিছিল থেকে থানায় ঢুকে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
চিটফান্ড কাণ্ড নিয়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সুতি ২ নম্বর ব্লক অফিসে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে কংগ্রেস সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। প্রতিবাদে ওই দিন রাতে স্থানীয় বিধায়ক কংগ্রেসের ইমানি বিশ্বাসের নেতৃত্বে ৫ ঘণ্টা ধরে সুতি থানা ঘেরাও করেন কংগ্রেস সমর্থকরা।
অবশেষে ঘেরাও মুক্ত করতে পুলিশকে লাঠি চালাতে হয়। ওই ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ইমানি বিশ্বাস-সহ মোট ১৯ জন কংগ্রেস সমর্থক। তার জেরেই ওসির বদলির দাবিতে এ দিনের মিছিল তবে, সুতি ২ নম্বর ব্লক কংগ্রেস সভাপতি আলফাজুদ্দিন বিশ্বাস বলেন, “ভাঙচুরের ঘটনায় কংগ্রেসের কেউ জড়িত নয়। তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজন এই কাজ করেছে।” তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য কমিটির সদস্য শেখ ফুরকান অবশ্য পাল্টা বলেন, “মিথ্যা অভিযোগ।” |