রামকৃষ্ণ মিশনের ১১৫ পূর্তি উদযাপন |
রামকৃষ্ণ মিশন ১১৬ বছরে পড়ল। সেই উপলক্ষে বুধবার বেলুড় মঠে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী আত্মস্থানন্দ, সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুহিতানন্দ-সহ অন্যান্য সন্ন্যাসী, গৃহী ভক্ত এবং সদস্যেরা। ১৮৯৭ সালের ১ মে বাগবাজারে বলরাম বসুর বাড়িতে (বর্তমানে বলরাম মন্দির) শ্রীরামকৃষ্ণের ১৬ জন শিষ্য ও গৃহী ভক্তদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন স্বামী বিবেকানন্দ। সে দিনই মানবসেবার জন্য তিনি রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। ওই বৈঠকে গিরিশচন্দ্র ঘোষ, বলরাম বসু-সহ আরও অনেক গৃহী ভক্ত উপস্থিত ছিলেন। ৫ মে বলরাম বসুর বাড়িতে আয়োজিত আর একটি বৈঠকে মিশনের উদ্দেশ্য ও কাজকর্ম স্থির করা হয়। রামকৃষ্ণ মিশন সূত্রের খবর, ১৯০৯ সালে সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী রামকৃষ্ণ মিশন সরকারি ভাবে নথিভুক্ত হয়। এর পর থেকে প্রতি বছর ১ মে বলরাম বসুর বাড়িতে মিশনের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন শুরু হয়। ২০০৯-এ সিদ্ধান্ত হয়, বলরাম বাটীর সঙ্গে বেলুড় মঠেও প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা হবে।
|
অটো নিয়ে কোর্টের নির্দেশ |
কলকাতা মেট্রোপলিটন এলাকায় (কেএমএ) নতুন অটোর পারমিট দেওয়ায় বহাল প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা সংশোধনের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এই নির্দেশ দেন। বিচারপতিরা মন্তব্য করেন, যাত্রীরা যাতে কোনও ভাবেই সমস্যায় না পড়েন, তা দেখতে হবে। ৩ মাসের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ করতে পরিবহণ দফতরের প্রধান সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবেদনকারীর আইনজীবী সঞ্জীব দত্ত জানান, ২০০১-এর জুনে কলকাতা-সহ উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়া, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া জেলাকে ‘কলকাতা মেট্রোপলিটন এরিয়া’র আওতায় নিয়ে আসে রাজ্য সরকার। ২০০৪-এর অগস্টে কেএমএ এলাকায় নতুন অটোর পারমিট দেওয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে পরিবহণ দফতর। ২০১০ সালে তার আওতায় আনা হয় ‘টাটা ম্যাজিক’ গাড়িকেও। ওই আইনজীবী জানান, সরকারি নিষেধাজ্ঞার জেরে কেএমএ-র আওতায় থাকা শহরতলি এলাকার সাধারণ যাত্রীরা সমস্যায় পড়েছেন। গাড়ির সংখ্যাও অনেক কমে গিয়েছে। বেশি ভাড়া দিয়ে রিকশায় যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। হুগলির জেলাশাসকের দফতর থেকে গত বছর অগস্টে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পরিবহণ দফতরের প্রধান সচিবকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু এখনও পরিস্থিতি বদলায়নি।
|
বিশেষ সাহায্যের আর্জি অশোকের |
তৃণমূলের আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত দলীয় কার্যালয় ফের খোলার জন্য আর্থিক সাহায্য চেয়ে দলের কর্মীদের উদ্দেশে লিখিত আবেদন করলেন ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক অশোক ঘোষ। তাঁর কথায়, “আমার ৯১ বছরের জীবনে এমন পরিস্থিতি আমি দেখিনি! রাজ্যে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সামাজিক অস্থিরতাও তৈরি হয়েছে।” লিখিত বার্তায় অশোকবাবু বলেছেন, দিল্লিতে অনভিপ্রেত একটি ঘটনার পরে যে ভাবে রাজ্য জুড়ে বাম কার্যালয় ও কর্মীদের উপরে আক্রমণ নেমে এসেছে, তার মোকাবিলা করে ফের দফতর খোলার জন্য দলের কর্মীদের সক্রিয় সহযোগিতা প্রয়োজন। ফ ব কর্মীদের মধ্যে যাঁরা চাকরি করেন, তাঁদের এক দিনের বেতন দলের তহবিলে দিতে হবে। আর যাঁদের নির্দিষ্ট আয়ের সূত্র নেই, তাঁদের মাসিক ১০ টাকা বিশেষ লেভি দিতে হবে।
|
রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্কে তছরুপের অভিযোগে ডব্লিউবিসিএস অফিসার উদয়ন মজুমদারকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বার ফ্ল্যাট জালিয়াতি করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। উদ্বাস্তু পুনর্বাসন দফতরের ডেপুটি কমিশনার থাকাকালীনই ওই অফিসার সাসপেন্ড হন। রাজ্যের কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কারের সচিব অজিতরঞ্জন বর্ধন বলেন, “উদয়নের কাজকর্ম নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত চলছে।” শীলা বসু নামে ৭৪ বছরের এক বৃদ্ধা চিঠিতে বর্ধনকে লিখেছেন, সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেখে উদয়নবাবুর কাছ থেকে কেষ্টপুরে ২৬ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন তিনি। পরে দেখা যায়, সেটি একটি ব্যাঙ্কের বন্ধকী সম্পত্তি এবং তার মালিকও অন্য লোক। টাকা ফেরত পাননি বৃদ্ধা। |