গেইল ব্যর্থ হলেও কুছ পরোয়া নেহি। এবি ডে’ভিলিয়ার্স তো আছে। বৃহস্পতিবার সেটাই বোঝা দেখাল। যে গেইল বেঙ্গালুরুতে পুণের বোলারদের পিটিয়ে ১৭৫ রান করেছিল, সেই গেইল পুণের মাঠে ফ্লপ। এই ক্রিকেটে এমন হতেই পারে। একজন ব্যাটসম্যান তো আর রোজ ব্যাটে ঝড় তুলতে পারে না। অথচ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স দলটা বেশ গেইলনির্ভর।
এ দিনের পর এই অতিরিক্ত গেইল নির্ভরতা সম্ভবত কেটে গেল। ২৩ বলে ৫০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে সেই কাজটাই করে দিল এবি। দুর্দান্ত ‘ইম্প্রোভাইজেশন’ ওর। তেমন সাহস। গেইল জ্বলে না উঠলেও যে ১৮০-র ওপর রান তুলতে পারে আরসিবি, তা এ দিনই বুঝিয়ে দিল তারা। সৌজন্যে এবি আর সৌরভ তিওয়ারি (৪৫ বলে ৫২)। রবিন উথাপ্পার (৪৫ বলে ৭৫) পাল্টা ব্যাটিং পুণেকে একটা সময় পর্যন্ত লড়াইয়ে রেখেছিল ঠিকই। কিন্তু কারও সাহায্য ও পায়নি। যুবরাজের (১৬) ধারাবাহিক ব্যর্থতা চলছেই। যার জেরে পুণে ১৭০-৯ এসে আটকে গেল। হারল ন’ নম্বর ম্যাচ।
প্রথম ম্যাচটায় আবার সুরেশ রায়না ঝড় তুলেছিল চিপকে। ৫৩ বলে ১০০। তার পর পুণেতে এবি। আইপিএলের এই দিনটায় রাজত্ব করল আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যানরা। মনে হচ্ছে টি টোয়েন্টি ক্রিকেট তার চেনা চেহারায় ফিরে আসছে। |
ধোনির খুব দুর্ভাগ্য বা চেন্নাই সুপার কিংসের দারুণ একটা খারাপ দিন। এগুলোর কোনও একটা না হলে ওদের হারানো অসম্ভব। টানা সাতটা ম্যাচে জয়। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে। প্লে অফে জায়গা করেই নিল ধোনিরা। বিশাল কোনও অঘটন ছাড়া ওদের সেরা চার থেকে ছিটকে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই দেখছি না। আমার তো মনে হচ্ছে, এ বারের আইপিএলের একটা ফাইনালিস্ট মোটামুটি ঠিক হয়েই গেল। এবং সেটা অবশ্যই চেন্নাই সুপার কিংস। বৃহস্পতিবার ধোনিদের কিংস-নিধন দেখতে দেখতে সত্যিই মাথায় আসছিল না, ওদের কোন দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে হারানো যায়। গিলক্রিস্টদের দুই প্রধান ব্যাটসম্যান শন মার্শ (৭৩) ও মিলার (৫১) এ দিন ফর্মে থাকা সত্ত্বেও ম্যাচটা ১৫ রানে হারতে হল ওদের। এর জন্য অবশ্যই কৃতিত্ব দেব রায়নার অসাধারণ সেঞ্চুরিকে। সাতটা চার ও ছ’টা ছয়। যাঁদের ইনিংসটা দেখার সৌভাগ্য হয়নি, তাঁরাও এটুকু জেনেই নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, কী বিধ্বংসী মেজাজে ছিল রায়না। ওর ব্যাটিংই গিলক্রিস্টদের সামনে ১৮৬ রানের পাহাড় দাঁড় করিয়ে দিল। চেন্নাইয়ের বোলাররাও তো কম যায় না। মোহিত শর্মা (২-৩১), ডোয়েন ব্রাভো (৩-৩৪) দারুন। ওদের ফিল্ডিংও অসাধারন। আসলে কোনও বিভাগেই চেন্নাইকে পরাস্ত করা যাচ্ছে না।
পুণের ম্যাচে ডে’ভিলিয়ার্সের ব্যাটিং যেমন বেশ উপভোগ্য, তেমনই অশোক দিন্দার প্রচন্ড মার খাওয়া দেখে বেশ খারাপ লাগল। বাংলার প্রতিভাবান ছেলেটাকে আর একটু বুদ্ধি করে বল করতে হবে। কোন পরিস্থিতিতে কেমন বল করা দরকার, সেটাই ও ঠিক বুঝতে পারছে না। সে জন্যই এত মার খাচ্ছে। এ দিন যেমন চার ওভারে ৫২ রান দিল। শেষ ওভারে ডেভিলিয়ার্স ওকে পিটিয়ে তুলল ২৬ রান! ম্যাচটা ওখানেই শেষ। |
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণার দিনই এ বারের আইপিএলে পুণে ওয়ারিয়র্সের নেতৃত্ব থেকে সরকারি ভাবে নিজেকে সরিয়ে নিলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথেউজ। খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য অবশ্য দলে থাকাই তাঁর পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ছে। ম্যাথেউজের বক্তব্য, “দলের ভারসাম্য যাতে নষ্ট না হয়, সে জন্যই আমার এই সিদ্ধান্ত।” এ দিনই শ্রীলঙ্কা দলে ম্যাথেউজের নেতৃত্বাধীন টিমে সুযোগ পেলেন কেকেআর স্পিনার সচিত্র সেনানায়কে। বাদ অজন্তা মেন্ডিস। |