টুকরো খবর |
মন্ত্রীর ভাইয়ের মৃত্যু ঘিরে জলঘোলা
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
মন্ত্রীর বাড়িতে তাঁর ভাইয়ের ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যুর যথাযথ পুলিশি তদন্তের দাবিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী বিজিতা নাথের পদত্যাগ দাবি করল রাজ্যের বিরোধী দল কংগ্রেস। আজ বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে কংগ্রেস বিধায়ক তথা বিরোধী দলের পরিষদীয় নেতা রতনলাল নাথ বলেন, ‘‘পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের মন্ত্রী বিজিতা নাথের ছোট ভাইয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে মন্ত্রীর সরকারি আবাসনেই। পুলিশের নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে বিজিতা নাথের এখনই পদত্যাগ করা উচিত, অথবা মুখ্যমন্ত্রীর উচিত মন্ত্রিসভা থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া।” কংগ্রেসের আশঙ্কা, বিজিতা নাথ মন্ত্রিসভার সদস্য থাকলে পুলিশের তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ত্রিপুরায় যে যে সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, বিশেষ করে যারা ত্রিপুরা থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে নিয়েছে, সেই রকম কয়েকটি লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে মন্ত্রীর ছোট ভাই, দোলন কান্তি নাথের যোগাযোগ ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে বলে রতনবাবু উল্লেখ করেন। ত্রিপুরার সমাজকল্যাণ, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও পরিবেশ দফতরের মন্ত্রী বিজিতা নাথ বলেন, ‘‘ভাইয়ের বিষয়ে যে যে অভিযোগ শোনা যাচ্ছে, কোনওটাই সত্যিই নয়। এ ছাড়া, এ মূহূর্তে আর কোনও কথা বলতে পারব না।’’ মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীও। তিনি বলেন, ‘‘মন্ত্রীর বাসায় ছোট ভাইয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর জানার পর রাজ্য পুলিশের ডিজিকে বিষয়টি জানাই। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।’’ তাঁর বক্তব্য, বামফ্রন্টের আমলে মন্ত্রী বা সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে পুলিশের কোনও তদন্তেই রাজ্য সরকার প্রভাব বিস্তার করেনি। এ ক্ষেত্রেও করবে না। পাশপাশি, মন্ত্রীর ছোট ভাইয়ের ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যু নিয়ে ‘রাজনীতি’ না করার জন্য তিনি অনুরোধ করেন।
|
ছাত্রীকে ছুরি মেরে বিষ খেল তরুণ
নিজস্ব সংবাদদাতা • ধুবুরি |
প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না-পেয়ে অটোয় উঠে একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে ছুরি দিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে এক তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। বুধবার সকাল ৯টা নাগাদ ধুবুরি থানার ষ্টেশন রোডের বিদ্যাপারা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার সময়ে অটোর চালক ও আরেক যাত্রী ভয়ে পালিয়ে যান। রক্তাক্ত ছাত্রীটির চিৎকার শুনে পথচারী ও জনতা ছুটে যান। তার আগেই যুবকটি বিষ খেয়ে রাস্তায় ঢলে পড়েন। উত্তেজিত জনতা যুবকটিকে মারধর শুরু করে। পরে দুজনকেই ধুবুরি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ছাত্রীটিকে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ধুবুরি সদর হাসপাতালের হাসপাতাল সুপার আব্দুল মতিন শেখ বলেন, “ওই তরুণীর অবস্থা সঙ্কটজনক। তাঁর মুখে, গলায়, পেটে, দুহাতে ধারাল অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। প্রায় ৫০টি সেলাই করতে হয়েছে।” ধৃত যুবকের নাম রাজ মাহাতো। তাঁর বাড়ি ধুবুরি শহরের তিন নম্বর বালুরচর এলাকায়। তিনি ধুবুরির গৌরীপুরের প্রমথেশ বড়ুয়া কলেজের বি.কম তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ছাত্রীটি ওই যুবকের প্রেমের প্রস্তাবে সায় দেয়নি।
|
সন্ধান নেই কাছাড়ে অপহৃত রেলকর্মীর
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
অপহরণের ৩৬ ঘণ্টা পরেও কাছাড়ের অপহৃত রেলকর্মীর সন্ধান মিলল না। মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ শালচাপড়ার লেভেল ক্রসিং থেকে সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা বিশ্বজিৎ দেবনাথ (৩২) নামে ওই রেলকর্মীকে অপহরণ করে। গত কাল সকালে রেলপুলিশে নিখোঁজ ডায়রি করা হয়। অপহৃতের বাড়ি বদরপুর শহরে। ঘটনার পরে অপহরণকারীরা বিশ্বজিৎবাবুর বোনকে ফোন করে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে। অপহরণকারীরা প্রধানত হিন্দিতেই কথা বলছিল। বিশ্বজিৎবাবুর মুক্তি দাবি করে, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল কর্মচারী সংগঠন রেলের ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে। অপহরণকারীদের ফোনের টাওয়ার অনুসরণ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, জঙ্গল ঘেরা মিজোরাম সীমানার জামিরা থেকে ফোন এসেছিল। পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে অপহৃতের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে।
|
যুক্তি মানতে নারাজ দলের নেতারাই, তোপের মুখে অশ্বিনী
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
বিরোধীরা দূরস্থান, কংগ্রেসের অন্দরেই নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে হিমসিম খাচ্ছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার। কয়লা কেলেঙ্কারি নিয়ে সিবিআইয়ের খসড়া তদন্ত রিপোর্ট পরিবর্তনের কার্যত দায় এড়াতে গত কাল দলের নেতা-মন্ত্রীদের বৈঠকে ডেকেছিলেন অশ্বিনী। কিন্তু তিনি নিজেই তোপের মুখে পড়েন। একাধিক নেতা-মন্ত্রী তাঁকে প্রশ্ন করেন যে, তিনি যদি নির্দোষই হন, তা হলে প্রথম দিনই বিবৃতি দিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলেন না কেন? কংগ্রেস সূত্রে খবর, অশ্বিনী দাবি করেন, সিবিআই কর্তাদের তিনি ডেকে পাঠাননি। ডাকেন অ্যাটর্নি জেনারেল গুলাম বাহনবতী। প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের কোনও কর্তাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। সিবিআইয়ের খসড়া রিপোর্টে যে পরিবর্তন করা হয়েছে, তাতে তদন্তের সত্যতা লঘু হয়নি বলে দাবি করেন অশ্বিনী। কিন্তু এই দাবি মানতে নারাজ কংগ্রেস নেতারাই। মন্ত্রিসভার এক সদস্য জানান, আইনমন্ত্রী এখন অ্যাটর্নি জেনারেলের উপর দায় চাপালেও তিনিই এসএমএস করে সিবিআইয়ের ডেপুটি ডিরেক্টরকে ডেকে পাঠান। সিবিআইয়ের রিপোর্টের বহু জায়গায় আইনমন্ত্রী নিজের হাতে যে সব কাটাকুটি করেছেন, তার অধিকাংশই ব্যাকরণগত সংশোধন। ফলে বিষয়টি এড়ানো যেত। অনেকেই মনে করছেন, অশ্বিনীর থেকে দূরত্ব বাড়াতে চাইছে কংগ্রেস। ৮ মে সর্বোচ্চ আদালত সরকার তথা অশ্বিনীর বিরুদ্ধে কঠোর রায় বা পর্যবেক্ষণ জানালে তাঁকে ইস্তফার নির্দেশ দিতে পারে হাইকম্যান্ড।
|
চাকো সরছেন না, ঘোষণা মীরার
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
টুজি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্তের জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) গঠনের দাবি জানিয়ে একদা দেড় মাস সংসদ অচল করে রেখেছিলেন বিজেপি-সহ বিরোধীরা। অথচ দু’ বছর ধরে ৫৫টি বৈঠকের পর সেই জেপিসি-র তদন্ত প্রায় জলে যেতে বসেছে। কারণ তদন্ত করে যে খসড়া রিপোর্ট তৈরি করেছিলেন জেপিসি-র চেয়ারম্যান পি সি চাকো, তা মানতে নারাজ বিজেপি ও বামেরা। উল্টে তাঁরা চাকোর অপসারণেরই দাবি করেন। কিন্তু লোকসভার স্পিকার মীরা কুমার আজ সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন। তাত্পর্যপূর্ণ হল, জেপিসি-র মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১০ মে। তার পর কমিটির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য চাকো যদি না আর আর্জি জানান, এবং বিজেপি তাঁর খসড়া রিপোর্ট না মেনে নেয়, তা হলে চূড়ান্ত ভাবে কোনও তদম্ত রিপোর্টই গৃহীত হবে না। স্পেকট্রাম কাণ্ড নিয়ে সংসদীয় ইতিহাসে শুধু রয়ে যাবে কংগ্রেস-বিজেপি-র রাজনৈতিক চাপানউতোর।
|
কোর্টের স্থগিতাদেশ
সংবাদসংস্থা • মুম্বই |
পুরসভার অনুমতি ছাড়াই বেআইনি ভাবে গজিয়ে উঠেছিল ওরলি এলাকার কুড়ি তলার আবাসন ‘ক্যাম্পা কোলা।’ পুরকর্তাদের কানে সেই খবর পৌঁছনো মাত্রই আবাসন ভেঙে ফেলার হুমকি আসতে থাকে বারবার। এর জেরে ঘরছাড়া হতে বসেছিল ‘ক্যাম্পা কোলা’-র আবাসিক, ১৪০টি পরিবার। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে কিছু দিনের জন্য হলেও রক্ষা পেল তাদের মাথার ছাদ। ফ্ল্যাট ভেঙে ফেলার নির্দেশের উপর পাঁচ মাসের স্থগিতাদেশ জারি
করল সুপ্রিম কোর্ট।
|
পরীক্ষায় প্রথম অগ্নিদগ্ধ কন্যা
সংবাদসংস্থা • মুম্বই |
প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও জয় হল তারই। স্কুলের পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম হল ঠাণের বাসিন্দা প্রিয়া মাহুন্তা। গত বছর স্টোভ ফেটে পুড়ে যায় তার মুখের অর্ধেক। এখনও চিকিত্সা চলছে। চেহারা বিকৃত হওয়ায় মেলেনি স্কুলে যাওয়ার অনুমতি। সহপাঠীরা তাকে দেখে ভয় পেতে পারে, তাই কোনও কোচিং সেন্টারও ভর্তি নেয়নি। অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষায় ৯৪% নম্বর নিয়ে পাশ করল সে। |
|