|
|
|
|
টুকরো খবর |
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু তিন জনের
নিজস্ব সংবাদদাতা |
শহরে পৃথক তিনটি ঘটনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১০টা নাগাদ গড়িয়াহাট পুরবাজারে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম তোকন সীট (২০)। পূর্ব-মেদিনীপুরের খেজুরি থানা এলাকার কামেরদাবাজারের বাসিন্দা ওই যুবক গড়িয়াহাট পুরবাজারের এক ফুলের দোকানের কর্মী। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন দোকানের ভিতর ওই যুবককে অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া যায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তোকনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। চিকিৎসকেরা জানান, বিদ্যৎস্পৃষ্ট হয়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। পরের ঘটনাটি ঘটেছে এ দিনই বেলা ১১টা নাগাদ কড়েয়া থানা এলাকার বালিগঞ্জ পার্ক রোডে। পুলিশ জানায়, মৃত মহম্মদ রিয়াজ (৪০) জয়নগরের বাসিন্দা। তিনি পেশায় রঙের মিস্ত্রি। পুলিশ জানিয়েছে, একটি বহুতলের বেসমেন্টে কাজ করার সময়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন রিয়াজ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার সঠিক কারণ তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। মৃতদেহগুলি ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ দিকে, বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ বাড়িতে ফ্যান লাগাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন এক যুবক। পুলিশ জানিয়েছে, সঞ্জয় বিশ্বাস (২৩) নামে ওই যুবক তারাতলা থানা এলাকার পর্ণশ্রীর বাসিন্দা। এ দিন দুর্ঘটনার পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
|
বাজারে হবে নয়া বিদ্যুৎ লাইন |
কলকাতার বহু বাজারেই বিদ্যুতের লাইনের হাল খুব খারাপ। তা সে পুরসভার বাজারই হোক কিংবা বেসরকারি বাজার। লাইনের অবস্থা এমনই যে, যখন-তখন অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে। সম্প্রতি শহরের ১৯টি বাজার সমীক্ষা করে সিইএসসি-ও এমনই রিপোর্ট দিয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে বাজারগুলিতে নতুন করে বিদ্যুতের লাইন করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার মহাকরণে টাস্ক ফোর্সের এক বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত হয়। ঠিক হয়েছে, বসানো হবে সার্কিট ব্রেকার। যার মাধ্যমে কোনও কারণে সমস্যা হলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবে। টাস্কফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে জানান, মে মাসের মধ্যে বিদ্যুৎ লাইনের কাজ শেষ করতে হবে। তিনি জানান, সিইএসসি শহরের ১৯টি বাজার ঘুরে দেখে কিছু বাজারের বিদ্যুৎ লাইনের ওই অবস্থার কথা জানিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো কলকাতার ৩৮৫টি বাজার ঘুরে সমীক্ষা করা হবে। কলকাতায় বেসরকারি এবং পুরসভা মিলে মোট ৩৮৫টি বাজার রয়েছে। এর মধ্যে ৪৬টি বাজার কলকাতা পুরসভার। ১৯টি বাজারে বিদ্যুতের লাইনে কাজ শুরু হয়েছে। মানিকতলা, বেলগাছিয়া, পাতিপুকুর মাছ বাজার, যাদবপুর কেআইটি, পোস্তা, চেতলা, শোভাবাজার, রাজাকাটরায় নতুন করে বিদ্যুতের লাইন তৈরির কাজ চলছে।
|
ছিনতাইয়ের ঘটনায় ধৃত ৩ |
ফের সল্টলেকে হার ছিনতাইয়ের চেষ্টা। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ৮টা নাগাদ, এফডি ব্লকের বাসিন্দা এক মহিলা ইসি ব্লক দিয়ে যাওয়ার সময়ে এক যুবক তাঁর হার ছিনতাই করে পালানোর চেষ্টা করে। মহিলার চিৎকারে পথচারীরা ওই যুবককে ধরে ফেলেন। তাঁর কাছ থেকে অবশ্য একটি নকল গয়না মিলেছে। যদিও ওই মহিলার দাবি, তাঁর গলায় এক ভরি সোনার হার ছিল। পুলিশ এসে বাপ্পা নামের ওই যুবককে থানায় নিয়ে যায়। অন্য দিকে, শহরে দু’টি পৃথক ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুই যুবক গ্রেফতার হয়েছে। পুলিশ জানায়, ৬ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ প্রতিমা দাস নামে এক প্রৌঢ়া গাড়ি করে কলকাতা থেকে শিবপুরে ফিরছিলেন। পথে এক যুবক তাঁর হার ছিনতাই করে। বুধবার শেখ বাবলু নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাড়ি সাঁকরাইলে। বৃহস্পতিবার আদালত ধৃতকে ১০ মে পর্যন্ত পুলিশ হেফাজত দিয়েছে। ১৭ এপ্রিল পার্ক সার্কাসের কাছে ঘটে দ্বিতীয় ছিনতাইয়ের ঘটনা। পুলিশ জানায়, নাজিয়া আলি নামে বেকবাগানের এক বাসিন্দা সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউ ধরে যাওয়ার সময়ে এক যুবক তাঁর মোবাইল নিয়ে চম্পট দেয়। পুলিশ বৃহস্পতিবার বিরজু রাম নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে। মোবাইলটি উদ্ধার হয়েছে।
|
আত্মরক্ষায় ছাত্র-শিক্ষক প্রশিক্ষণ প্রেসিডেন্সিতে |
ক্যাম্পাসে ঢুকে এক দল বহিরাগত যুবক আক্রমণ চালিয়েছিল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার ছাত্রছাত্রীদের আত্মরক্ষার পাঠ দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন প্রেসিডেন্সি-কর্তৃপক্ষ। আগামী শিক্ষাবর্ষে এই প্রশিক্ষণ চালু হবে। তবে বৃহস্পতিবারেই প্রশিক্ষণের প্রারম্ভিক ক্লাস হয়েছে। সেখানে ছাত্রছাত্রীদের তরফে যথেষ্ট সাড়া মিলেছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর। ১০ এপ্রিল প্রেসিডেন্সিতে হামলায় বেশ কিছু ছাত্র আহত হন। ওই দিন ছাত্রীদের সঙ্গেও অশালীন আচরণ করা হয় বলে অভিযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা বলেন, “সেই ঘটনার পরেই আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণের বিষয়টি মাথায় আসে। কারণ, ওই দিন ছাত্রছাত্রীরা এমন অসহায় হয়ে পড়েছিল, দেখে আমাদের খারাপ লেগেছে।” জুলাইয়ে ক্লাস শুরু হওয়ার পরে সপ্তাহে দু’দিন আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ হবে। একটি বেসরকারি গোষ্ঠী প্রশিক্ষণ দেবে। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদেরও এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানান। এক কর্তা বলেন, “আত্মরক্ষার প্রাথমিক পাঠ দেওয়াটাই এই প্রশিক্ষণের লক্ষ্য। তবে প্রথাগত ক্যারাটে, জুডো বা ওই ধরনের প্রশিক্ষণ হবে না।” প্রশিক্ষণের জন্য ফি লাগবে না।
|
বাড়ি ভাঙল পুরসভা |
|
সকলের সামনেই গড়ে উঠছিল বাড়িটি। বেহালায় ডায়মন্ড হারবার রোডের উপরে। পুরোপুরি বেআইনি ভাবে। বৃহস্পতিবার সেটি ভেঙে দিল পুরসভা। পুরসভা সূত্রের খবর, ৮৫ নম্বর ডায়মন্ড হারবার রোডের ওই বাড়িটিতে বিজনেস সেন্টার গড়ে তোলার পরিকল্পনা ছিল মালিক-পক্ষের। পুরসভার কোনও অনুমতি অবশ্য নেয়নি তারা। এ নিয়ে মালিক-পক্ষকে নোটিসও দেওয়া হয়। তাতেও কোনও কাজ হয়নি। থানায় অভিযোগও দায়ের হয়। তবু ভ্রূক্ষেপ করেননি মালিক। অবশেষে এ দিন পুলিশ পাহারায় বুলডোজার দিয়ে নির্মাণটি ভেঙে ফেলেন পুরসভার বিল্ডিং দফতরের কর্মীরা।
|
টাকার ব্যাগ ফেরত |
রাস্তায় টাকার ব্যাগ কুড়িয়ে পেয়ে নারকেলডাঙা থানায় জমা দিলেন এক ব্যক্তি। পুলিশ জানায়, ওই ব্যক্তির নাম মৃত্যুঞ্জয় সাহা। বাড়ি মানিকতলায়। বৃহস্পতিবার সকালে বেরিয়ে মৃত্যুঞ্জয়বাবু দেখেন, উল্টো দিকে দোকানের সামনে গোলাপি রঙের একটি ব্যাগ পড়ে আছে। পুলিশ জানিয়েছে, ব্যাগে দেড় লক্ষ টাকা ছিল। বড়বাজারের এক ব্যবসায়ী এ দিন থানায় গিয়ে দাবি করেন, ওই টাকা তাঁর। পুলিশ ওই ব্যবসায়ীকে জানিয়েছে, উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে টাকা ফেরত নিয়ে যেতে।
|
দু’টি ঝুলন্ত দেহ |
এক স্কুলছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে, বেহালার পি এন মিত্র লেনে। মৃতের নাম অভিজিৎ দাস (১৬)। সে একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল। পুলিশের অনুমান, এটি আত্মহত্যা। তবে সুইসাইড নোট মেলেনি। অন্য দিকে, বুধবার রাতে টালা থানা এলাকায় বন্ধ ঘরের দরজা ভেঙে জয়ন্ত ঘোষ (৫৮) নামে এক প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত দেহ মেলে। হাসপাতালে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। |
|
|
|
|
|