ইছামতী নদীর উপর সেতুর দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে স্বরূপনগর বিডিও অফিসের সামনে।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বরূপনগর ব্লকের তরণীপুর এবং বনগাঁর গাইঘাটা ব্লকের গোপালপুরের মধ্যে ইছামতী নদী পারাপারের একমাত্র উপায় ছিল নৌকা। গ্রামবাসীরা নিজেদের উদ্যোগে একটি কমিটি করে নদীর উপর একটি বাঁশের সেতু বানান। কিন্তু স্বরূপনগরের বিডিওর পক্ষ থেকে মাইক প্রচার করে বলা হয় ওই সেতু বিপজ্জনক। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা বিডিও এবং পুলিশকে ঘেরাও করেন। |
ফেরিঘাটের ইজারাদারদের চালাঘরে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়। গ্রামবাসীদের দাবি, শ্রীনাথপুর, গোপালপুর, বালতি, পোলতা, গুণরাজপুর, তরণীপুর, গোবরা-সহ বিভিন্ন গ্রামের ব্যবসায়ী, ছাত্রছাত্রী, এমনকী রোগীরাও ওই জায়গায় ইছামতী পারাপার করেন। গ্রামবাসীদের তৈরি কমিটির সম্পাদক মেপ্তাবউদ্দিন পাড় বলেন, “২০১০ সালে সেতুর শিলান্যাস হয়। উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন পূর্তমন্ত্রী ক্ষিতি গোস্বামী। সেতুর জন্য বরাদ্দ হয় প্রায় ১৩ কোটি টাকা। মাপজোক ও মাটি পরীক্ষাও শুরু হয়। কিন্তু কাজ শুরু হয়নি এখনও। সব দলের নেতারা শুধু প্রতিশ্রুতিই দিয়েছেন। বাধ্য হয়ে বাঁশের সেতু বানিয়েছি আমরা।’’
বিক্ষোভকারীদের দাবি, সামনেই বর্ষা। এখনই কংক্রিটের সেতু না হলে কাঠের সেতু তৈরি করা হোক। না হলে ইছামতী সংস্কারের মাটি কাটার কাজও বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তাঁরা। বসিরহাটের মহকুমাশাসক শ্যামল মণ্ডল বলেন, “জেলা পরিষদ থেকে টেন্ডার ডেকে ফেরিঘাট ইজারা দেওয়া হয়েছে। সরকারি অনুমতি ছাড়া ওখানে যে বাঁশের সেতু তৈরি করা হয়েছে তা বেআইনি। বিপজ্জনকও।” |