টুকরো খবর
সমাজসেবায় রাষ্ট্রপতি পুরস্কার রামেশ্বরকে
রামেশ্বর মিশ্র।
—নিজস্ব চিত্র।
সমাজসেবার জন্য রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পাচ্ছেন পূর্ব মেদিনীপুরের রামেশ্বর মিশ্র। তমলুক শহরের আবাসবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ৮৮ বছরের রামেশ্বরবাবুকে আগামী ৩ মে নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনের সভাকক্ষে পুরস্কৃত করা হবে। পুরস্কার দেবেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাখার সম্পাদক রামেশ্বরবাবুর জন্ম চণ্ডীপুরের কুলাপাড়া গ্রামে। কলা বিভাগে স্নাতক রামেশ্বরবাবু কর্মজীবনে রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত এক্সটেনশন অফিসার ও বিডিও’র মতো প্রশাসনিক আধিকারিক পদে ছিলেন। ১৯৮৩ সাল থেকে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত তিনি। ২০০২ সালে জেলা ভাগের পর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাখার সম্পাদক হন। রামেশ্বরবাবু এখনও জেলার ৩৫২টি ছোট শাখা ইউনিট পরিচালনা করেন। জেলার বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত এলাকায়, এমনকী নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলনের সময় ত্রাণ বিলিতে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। দীর্ঘ দিন ধরে সমাজসেবায় যুক্ত রামেশ্বরবাবু এর আগেও বিভিন্ন পুরস্কার, সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। রাষ্ট্রপতি পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হওয়ায় খুশি রামেশ্বরবাবু বলেন, “এই স্বীকৃতি কাজে আরও উৎসাহ যোগাবে।”

বালক খুনে যাবজ্জীবন দুই ভাইয়ের
অপহরণ করে বালককে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল দু’ভাইয়ের। মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক তমলুকের উত্তর ওসুপুর গ্রামের যুবক অপরেশ গুছাইত ও অনিমেষ গুছাইতকে এই আদেশ দেন। আদালত সূত্রে খবর, ২০০৪ সালের ২৫ এপ্রিল সকালে তমলুকের উত্তর ওসুপুর গ্রামের বাসিন্দা রামপদ গুছাইতের ৯ বছরের প্রতিবন্ধী বালক চিরঞ্জিৎ গুছাইত অপহৃত হয়। খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পরিজনেরা। এরপর বেনামে ২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে চিঠি আসে। অপহরণকারীদের দাবি মতো রামপদবাবু হাওড়ার গাদিয়াড়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে টাকা নিয়ে গিয়েও তাঁদের দেখা পাননি। ২৭ এপ্রিল সকালে বাড়ির লাগোয়া একটি ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হলে গ্রামবাসীরা মাটির তলা থেকে ওই বালকের দেহ উদ্ধার করে। রামপদবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁর প্রতিবেশী বাসিন্দা দুই ভাই অপরেশ ও অনিমেষ গুছাইতকে গ্রেফতার করে। সরকার পক্ষের আইনজীবী জানান, অপহরণকারীরা মুক্তিপণ আদায়ের জন্য বেনামে যে চিঠি দিয়েছিল তার সঙ্গে অভিযুক্ত অপরেশের হাতের লেখার মিল প্রমাণিত হয়েছে। আরও তথ্য-প্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হন ওই দুই ভাই। মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (ফাস্ট ট্র্যাক) কুমকুম সিংহ অপরেশ ও অনিমেষ গুছাইতকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন।

জমা টাকা ফেরত চেয়ে বিক্ষোভ
জমা টাকা ফেরত চেয়ে মঙ্গলবার শিল্পশহরের লিঙ্ক রোডের ধারে ‘টাওয়ার গ্রুপে’র অফিসে ভিড় জমালেন সংস্থার আমানতকারীরা। ম্যনেজার টাকা ফেরতের আশ্বাস না দেওয়ায় তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। আমানতকারী কনক মিশ্র, আসরফ আলি খানরা বলেন, “৩ হাজার টাকা এক বছর দিলে ৩৯ হাজার ৩০০ টাকা পাওয়া যাবে বলেছিল। কারও মেয়াদ শেষ বা এক মাস বাকি। আমরা সুদ নয় আসলটুকু ফেরত চাইছি। অন্য সংস্থা দিলেও এরা দিচ্ছে না।” মেয়ের বিয়ের জন্য মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে এই সংস্থায় সঞ্চয় করছিলেন শামিদুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, “দেড় বছর টাকা দিয়েছি। এরা আর টাকা দেবে বলে মনে হচ্ছে না।” সংস্থার ‘টিম লিডার’ স্বপন মাইতি বলেন, “অফিস আশ্বাস দিচ্ছে টাকা দিয়ে দেবে। মালিকপক্ষের কথায় ভরসা ছাড়া উপায় নেই।” শাখা ম্যানেজার তন্ময় মণ্ডল বলেন, “মেয়াদ শেষের আগে টাকা দেওয়ার নিয়ম নেই। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ১৫ তারিখের পরে সিদ্ধান্ত জানাবে বলেছে। এর বেশি বলতে আমি বাধ্য নই।” এ দিকে ‘প্রণবানন্দ ক্রেডিট সোসাইটি’ নামে একটি সংস্থা খুলে লোকজনের কাছ থেকে লক্ষ-লক্ষ টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগে ধৃত বর্ধমানের ভাস্কর মুখোপাধ্যায়কে সোমবার কাঁথি আদালতে তোলা হয়েছিল। বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে ১৪ দিনের জন্য জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

আট বছর পরে নিজস্ব ভবন বিদ্যালয়ের
পূর্বের একমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারি আবাসিক বিদ্যালয়ের নিজস্ব নতুন ভবন হল আট বছর পরে। সোমবার একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কাপাসএড়্যায় জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের দ্বারোদ্ঘাটন হয়। উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকি, জেলা সভাধিপতি গাঁধী হাজরা, হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের সিইও পি উলগানাথন প্রমুখ। বিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৫ সালে ওই আবাসিক বিদ্যালয় চালু হলেও নিজস্ব ভবন না থাকায় কাপাসএড়্যাতেই একটি ভাড়াবাড়িতে চলছিল পঠনপাঠন ও হস্টেল। সম্প্রতি কাপাসএড়্যায় প্রায় ১৭ একর জমিতে কেন্দ্রীয় সরকারের ১৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা টাকায় ওই ভবনটি তৈরি হয়। অধ্যক্ষ বিশ্বনাথ খিলার বলেন, “বরাদ্দের তুলনায় নির্মাণের ব্যয় বেশি হওয়ায় এখনও কিছু কাজ বাকি রয়েছে।” জেলাশাসক পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকি জানান, “আগামী দিনে জেলায় শিক্ষার বিস্তারে রাজ্য ও কেন্দ্রের উদ্যোগে আরও বেশ কিছু এই ধরনের স্কুল হবে।”

নাবালিকার বিয়ে আটকালেন বিডিও
বিয়ের আসরে হানা দিয়ে নাবালিকার বিয়ে আটকালেন বিডিও। সোমবার রাতে রামনগরের কালিন্দী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। রামনগর ২-এর বিডিও সুকান্ত সাহা নাবালিকার বিয়ের খবর পেয়ে যুগ্ম বিডিও মনোজ মল্লিক ও রামনগর থানার পুলিশকে নিয়ে গ্রামে হানা দেন। বাড়িতে তখন জমজমাট বিয়ের আসর। পাত্র না এলেও লোকজন চলে এসেছিলেন। পেশায় দিনমজুর পাত্রীর বাবা পুলিশকে জানান, অভাবের সংসারে মুম্বইতে কর্মরত ভাল পাত্রের সন্ধান পেয়ে দেরি করতে চাননি তিনি। সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী পাত্রী অবশ্য পড়াশোনা করতে চায় বলেই জানিয়েছে। নাবালিকা বিয়ে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ জানিয়ে বিডিও বিয়ে বন্ধ করে দেন। বিডিও জানান, ওই কিশোরী যাতে নির্বিঘ্নে পড়াশোনা করতে পারে তার জন্য রামনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে সাহায্য করা হবে।

দুর্ঘটনায় আহত পাঁচ পুলিশ
দুর্ঘটনাগ্রস্ত পুলিশগাড়ি। —নিজস্ব চিত্র।
গাড়ি বিকল হয়ে গাছে ধাক্কা মারায় আরোহী পাঁচ জন পুলিশ আহত হলেন। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে চন্দ্রকোনার গোঁসাইবাজারে। পাঁচ জনই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন নাইট ডিউটি সেরে থানায় ফেরার সময় ওই পুলিশ গাড়িটি বিকল হয়ে যায়। চন্দ্রকোনা শহরের গোঁসাইবাজারে একটি গাছে ধাক্কা মারে গাড়িটি। ঘটনার পর গাড়ির আরোহীদের চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে প্রত্যেককে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

রাস্তার ধারে প্রৌঢ়ের দেহ
এক প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতের নাম স্বদেশ ধাড়া (৫৫)। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কোলাঘাট থানার মেচেদার কাছে বড়গাছিয়া গ্রামে। স্বদেশবাবুর বাড়ি নন্দীগ্রামের শুভানিচক গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে খবর, চিকিৎসার জন্য সোমবার বিকেলে নন্দীগ্রামের বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল তিনি। মঙ্গলবার সকালে মেচেদা বাজারের কাছে বড়গাছিয়ায় হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে তাঁর দেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ওই ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

দেহ উদ্ধার
বাড়ির মধ্যে থেকে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে তমলুক থানার বল্লুক গ্রামের ঘটনা। মৃতের নাম মনোরঞ্জন মাজি (৪৫)। তিনি পেশায় পান আড়তের কর্মী ছিলেন। মনোরঞ্জনবাবুর স্ত্রী-সহ পরিবারের অন্যরা সোমবার রাতে গ্রামেই এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। মনোরঞ্জনবাবু ও তাঁর এক আত্মীয় এ সময় বাড়িতে ছিলেন। রাতে পরিবারের সদস্যরা ফিরে বাড়ির ভিতরে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরেই ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.