অসমে সারদা তদন্ত
সিআইডি-র সঙ্গে বৈঠকে সিবিআই কর্তারা
সম পুলিশ ও সিআইডির সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকে সারদা-সহ রাজ্যের বেসরকারি লগ্নিকারী সংস্থা সংক্রান্ত মামলাগুলির ব্যাপারে আজ খোঁজখবর নিল সিবিআই। তবে দিল্লি থেকে সিবিআইয়ের কোনও দল আসেনি। সিবিআইয়ের উত্তর-পূর্বের যুগ্ম অধিকর্তা আর পি অগ্রবালই সারদা ও অন্য সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অভিযোগ ও তদন্তের গতি-প্রকৃতি নিয়ে পুলিশ, সিআইডি ও ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন-ইকনমিক অফেন্সেস (বিআইইও) আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
নারেংগী রোডে সিবিআইয়ের দফতরে এই বৈঠক হয়। সিআইডি সারদা নিয়ে কোনও তদন্ত এখনও শুরু করেনি। তারা প্রধানত ‘জীবনসুরক্ষা গোষ্ঠী’র বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে। ইতিমধ্যেই, ওই লগ্নিকারী সংস্থাটির তিন অধিকর্তাকে গ্রেফতার করেছে তারা। বিষয়টি নিয়ে বিআইইও-র তরফেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। সিআইডির তরফে এসএসপি দেবাশিস উপাধ্যায় এই বৈঠকে যোগ দেন। সারদার বিরুদ্ধে যোরহাটে আগে থেকে মামলা চলছে। গুয়াহাটির দিসপুর, গীতানগর, পল্টনবাজার থানায় সারদার বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অসম পুলিশ সেগুলি সম্পর্কে সিবিআইকে অবহিত করে। গত কালই মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ জানান, তিনি সিবিআই তদন্ত চেয়ে দিল্লিতে ফোন করেছিলেন। আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া মেটাতে সময় লাগলেও সিবিআইয়ের দল মঙ্গলবার অসমে আসবে। তবে এদিন দিল্লি থেকে কোনও অফিসার গুয়াহাটি আসেননি। সারদা ছাড়াও রোজ ভ্যালী, অ্যানেক্স, ইউনি পে টু ইউ, বেসিল, অ্যাবিস, অ্যালায়েন্স, ড্যাফোডিল-সহ মোট ১১টি সংস্থার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ সম্পর্কেও সিবিআইকে আজ জানানো হয়। এর অধিকাংশেরই সদর দফতর পশ্চিমবঙ্গে। সিবিআইয়ের গুয়াহাটি দফতর সূত্রে খবর, এ দিন কেবল প্রাথমিক কথাবার্তাই হয়েছে। মামলা হস্তান্তর সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে এই মামলা হাতে নিলে তারা পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করবে বলে সিবিআইয়ের এক সূত্র ইঙ্গিত দিয়েছে। কারণ সারদা-সহ অধিকাংশ সংস্থার সদর দফতর কলকাতা-কেন্দ্রিক।
গুয়াহাটিতে সিবিআই দফতর থেকে বৈঠক শেষে বেরিয়ে আসছেন গোয়েন্দা-কতার্রা। —নিজস্ব চিত্র
পাশাপাশি, আজ গোলাঘাট পুলিশ জীবন সঞ্চয়, অসম মাইক্রো ফিনান্স-সহ তিনটি সংস্থার দফতরে হানা দিয়ে অফিস সিল করে দেয়। এ ছাড়াও সারদা কাণ্ডে নাম জড়িয়ে যাওয়ার জেরে অসম প্রকাশন পরিষদের সচিব পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সদানন্দ গগৈ। অসুস্থতা ও অন্যান্য কাজে ক্ষতির কারণ দেখিয়ে গগৈ কাজ থেকে অব্যহতি চেয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী তথা পরিষদের চেয়ারম্যান হিমন্তবিশ্ব শর্মার কাছে তিনি পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন।
সিবিআইয়ে আপত্তি নেই মানিকেরও। এ দিকে ত্রিপুরায় এই ধরনের অর্থ লগ্নি সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি তুলেছে সে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। রাজ্য সিপিএম প্রাথমিক ভাবে এই নিয়ে চুপচাপ থাকলেও আজ বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার জানিয়ে দেন, পরিস্থিতি যদি দাবি করে তবে তদন্ত ভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। বিরোধী দলের প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বিধানসভায় পরিষ্কার জানিয়ে দেন, ‘‘এ ধরনের সংস্থাগুলির কারবারের বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ, অসম ইত্যাদি রাজ্যের সঙ্গে ত্রিপুরার অবস্থান এক করে দেখাটা ঠিক হবে না। কারণ সরকার অনেক আগেই এ জাতীয় লগ্নি সংস্থাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি আইন চালু করেছে। যদিও এ বিষয়ে আমরা সবাই উদ্বিগ্ন।’’ তিনি জানান, ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের কাছে যে অভিযোগগুলি জমা পড়েছে, পুলিশ তা তদন্ত করে দেখছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যদি দেখা যায় তদন্তের ভার সিবিআইকে দেওয়া প্রয়োজন, রাজ্য সরকারের তাতে কোনও আপত্তি নেই।’’ তবে লগ্নিকারীদের ‘ক্ষতিপূরণ’ দেওয়া প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার সে রকম কিছু ভাবছে না। তা ছাড়া, এই ধরনের সংস্থাগুলির বিষয়ে রাজ্যবাসীকে বহু বার, বিভিন্ন ভাবে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।’’

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.