সংস্কৃতি যেখানে যেমন
 
নদীর আখ্যান
প্রচ্ছদ।—নিজস্ব চিত্র
‘আমাদের ছোট নদী চলে আঁকেবাঁকে/ বৈশাখ মাসে তার হাঁটুজল থাকে’ শিশুপাঠ্য কবিতায় ছোট নদীর আখ্যান এমনই ছায়াঘেরা পটে আঁকা হয়ে থাকে। কিন্তু রাজনীতি আর অর্থনীতির কত আঁকাবাঁকা চোরা স্রোত ছোট থেকে বড় নদীগুলিকে গ্রাস করে নিতে চায় -- সে কথা কে বলবে? বই সমালোচনার ষাণ্মাসিক পত্রিকা ‘বিতর্কিকা’ (সম্পাদনা অভ্র ঘোষ, মিলন দত্ত, তপস্যা ঘোষ, সেতু প্রকাশনী) সেই দায় নিয়েছে। এ বারের নদী-সংখ্যায় বইয়ের সূত্রে নদীর স্বভাব, ইতিহাস, ভূগোল আলোচনা করতে গিয়ে অনিবার্যভাবে এসেছে নদীর প্রতি মানুষের ব্যবহার। মিলন দত্ত ও কল্যাণ রুদ্র সাক্ষাত্‌কার নিয়েছেন কেদারনাথ মণ্ডলের, যে ‘বসা-কমরেড’ পনেরো বছর আগে মালদহের গঙ্গা ভাঙনে দুর্গতদের সাংবিধানিক অধিকারের জন্য লড়েছিলেন। এ ছাড়া আছে মেঘনাদ সাহা, প্রফুল্লচন্দ্র রায় প্রমুখের নদীভাবনা, মঙ্গলকাব্যের নদী-ভূগোল নদী-সূত্রেই আলোচিত হয়েছে। ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ ও ‘ইছামতী’ উপন্যাস দু’টি সুচিন্তিত সংখ্যাটি বার বার মনে করিয়ে দেয়, এ কালের ধূর্জটিদের জটা গঙ্গা আর হেসে দোলাতে পারে না, বরং নিজেই সে এবং তার মতো আরও অনেকে আটকে গিয়েছে মানুষের লোভের জটিল জটে।

সাংস্কৃতিক সংস্থা
একলব্য-এর অনুষ্ঠান। ছবি: দয়াল সেনগুপ্ত।
দুবরাজপুরের বাপি কুণ্ডু একদা সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন। বছর দু’য়েক আগে দলের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদ করে সাংস্কৃতিক চর্চার সঙ্গে নিজেকে নিবিড়ভাবে যুক্ত করতে প্রায় ১৪ মাস আগে তৈরি করেছেন ‘একলব্য’ সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র। বামপন্থী আন্দোলনের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শুভেন্দু মাইতিকে অভিভাবক করে ওই সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটিতে শিশু ও কিশোরদের নাচ, গান, আবৃত্তি ও আঁকা শেখানোর প্রশিক্ষণ চলছে ধারাবাহিকভাবে। বর্তমানে ৩৭ জন সেখানে প্রশিক্ষণরত। তাঁদের সাংস্কৃতিক উপস্থাপনকে উত্‌সাহ দিতে বাপিবাবু ওই প্রশিক্ষণরত ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে ‘একলব্যের তূণী’ নামে ডিভিডির প্রকাশ ঘটেছে ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় নেপাল মজুমদার ভবনে। উদ্বোধক লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় একলব্যের ভূমিকার প্রশংসা করে সব শ্রেণির মানুষদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন। ওই দিন ওই সংস্থার ছাত্রছাত্রীরা নান অনুষ্ঠান পরিবেশন করেছেন।

পুরস্কার প্রদান
সম্প্রতি পুরুলিয়া শহরের হরিপদ সাহিত্য মন্দিরের প্রেক্ষাগৃহে হয়ে গেল পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান। ওই দিন পত্রিকা প্রকাশও করা হয়। উদ্যোক্তাদের তরফে জগন্নাথ দাস জানান, ২০০২ সাল থেকে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। প্রথম দিকে পুরুলিয়ার কবি, সাহিত্যিক, শিল্পীদেরই এই পুরস্কার দেওয়া হত। সম্প্রতি তার পরিধি বাড়িয়ে পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে অন্য জেলার শিল্পী, লেখকদেরও। এ বছর গল্পের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন বাঁকুড়ার বাসিন্দা শিলিগুড়ির একটি কলেজের শিক্ষক সত্য মণ্ডল। প্রবন্ধের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন পুরুলিয়া শহরের স্কুলশিক্ষক রমানাথ দাস।

বর্ষবরণ অনুষ্ঠান
বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হল বড়জোড়া শ্রীরামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ ভাব প্রচার সঙ্ঘ। সম্প্রতি এই উপলক্ষে ওই আশ্রম প্রাঙ্গণে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন রামহরিপুর রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী নিরন্তরানন্দ, বড়জোড়ার বিধায়ক আশুতোষ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।

বাউল গান
বাঁকুড়ায় এক্তেশ্বরের গাজন মেলায় বাউল গানের আসর বসেছিল। আয়োজন করেছিল লোকসংস্কৃতি পরিষদ। সংস্থার তরফে সুবোধ ঘোষ জানান, গত ১৩ এপ্রিল রাতভর বাউল গান হয়। ৪১ জন বাউল শিল্পী যোগ দিয়েছিলেন।

লিটল ম্যাগাজিন
পরেশ দে চৌধুরী সম্পাদিত সিউড়ির ‘বর্ণার্লীর’র ২০-তম বার্ষিক সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে সম্প্রতি। বর্ণালীর ওই সংখ্যা প্রকাশ উপলক্ষে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.