কানে কানে
ত বছর যখন নীহারিকা সিংহ কান চলচ্চিত্র উৎসব থেকে দেশে ফিরলেন, তখন চার দিক থেকে একটা প্রশ্ন বারবার তাঁকে করা হয়েছিল। সাদা রঙের গাউনটা কোন ডিজাইনারের? প্রথমে রাগ হয় নীহারিকার। তার পর বোঝেন যে রাগ করে কোনও লাভ নেই। ‘‘যে দেশের অর্ধেক মানুষ ঋত্বিক ঘটকের নাম শোনেননি, যে দেশের অর্ধেক মানুষ আদুর গোপালকৃষ্ণনের ছবি দেখেননি, সেখানে আর রাগ করে কী হবে? সব কিছুই তো এখানে গ্ল্যামার-কেন্দ্রিক। আর তার থেকেও বেশি সব কিছুই হল বলিউড। এমনকী একটা বিয়ের অনুষ্ঠানও জাতে ওঠে না, যদি বলিউডের কোনও তারকা সেখানে নাচতে না রাজি হন!” নীহারিকা বিরক্ত হয়ে বলেন।
২০০৪ সালে কান-এর সিনে ফাউন্ডেশন সারা বিশ্ব থেকে তিরিশ জন ‘প্রমিসিং পরিচালক’-কে নির্বাচিত করেছিল। তার মধ্যে ছিলেন মনীশ ঝা আর পার্থ সেনগুপ্ত। কিন্তু খোঁজ নিলে জানা যাবে যে যত জন মনীশ বা পার্থর সিনেমার কথা জানেন, তার থেকে অনেক বেশি সংখ্যক মানুষ খবর রাখেন ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন বা সোনম কপূর কান-এ কী পরে গিয়েছিলেন। মল্লিকা শেরাওয়াতের সাপ নিয়ে কান-এ ‘হিস’ ছবিটার প্রচারের কথাও অনেকে বেশি মনে রেখেছেন! ঐশ্বর্যা, সোনম বা মল্লিকাকে কোনও ভাবে ছোট না করেও অনেকেই বলছেন যে দুর্ভাগ্যবশত এই গ্ল্যামারের জৌলুসে হারিয়ে যাচ্ছে আসল খবরটা। নন্দিতা দাস জুরিতে ছিলেন। সে কথা বেশি আলোচনা হয়নি। কোন পরিচালক মার্কেটে গিয়েছেন, কে কত রাত অবধি ইন্ডিয়ান প্যাভিলিয়নে পার্টি করেছেন, সে খবরই বেশি তাড়াতাড়ি এ দেশে পৌঁছেছে।
এ বছর ভারতকে অতিথি দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে কান-এ। বিদ্যা বালন আছেন জুরিতে। সঙ্গে অ্যাং লি এবং স্টিভেন স্পিলবার্গের মতো সব স্বনামধন্য ব্যক্তিত্বরা। বাজ লুরম্যান-এর ছবি, ‘দ্য গ্রেট গাটসবি’, দেখানো হবে উৎসবের প্রথমে। সেই ছবিতেই অমিতাভ বচ্চনের হলিউড অবতরণ। তিনি থাকবেন স্ক্রিনিংয়ে। সঙ্গে পুত্রবধূ ঐশ্বর্যা। অভিনেত্রী নন্দিতা দাস আছেন সিনে ফাউন্ডেশনের জুরিতে। অনুরাগ কাশ্যপের সহ-প্রযোজিত ‘ডাব্বা’ আর ‘মনসুন শুটআউট’ দেখানো হচ্ছে কান-এ। ‘ডাব্বা’ আছে ক্রিটিকস উইক-এ। ‘মনসুন শুটআউট’ আছে মিডনাইট স্ক্রিনিংয়ে।
২০১১-র কান চলচ্চিত্র উৎসবের রেড কার্পেটে ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন
নীহারিকা কান-এ গিয়েছিলেন অসীম অহলুওয়ালিয়ার ছবি ‘মিস লাভলি’তে অভিনয় করেছেন বলে। সেই ছবিটি গত বছর কান-এর অ্যঁ স্যেরত্যাঁ রগার সেকশনে দেখানো হয়েছিল। “বিদেশি কত পত্রপত্রিকাতে আমাদের ছবি নিয়ে লেখা হয়েছিল। হলিউড রিপোর্টার থেকে ভ্যারাইটি সব জায়গাতেই নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি আর আমার অভিনীত এই ছবি নিয়ে আলোচনা। কিন্তু দেশে শুধু দেখি আমার গাউন নিয়ে কথা। আজকাল আমার এগুলো গা-সওয়া হয়ে গিয়েছে। যারা সত্যিকারের আর্টিস্ট, তাদের এ সবে কিছু এসে যায় না। বরং মাঝে মধ্যে মজা লাগে,” বলেন নীহারিকা।
ইদানীং তিনি থাকেন দেরাদুনে। সম্প্রতি কলকাতায় নওয়াজের সঙ্গে বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর ‘আনোয়ার কা আজব কিসসা’-র শ্যুটিং করে নীহারিকা ফিরে গিয়েছেন দেরাদুনে। নীহারিকার মতে “আর্টিস্ট হতে গেলে গ্ল্যামার দুনিয়া ছেড়ে থাকাটাই দরকার। তাই ব্যাগপত্র গুটিয়ে দেরাদুনে চলে এসেছি।”
গত বছর আর এক ভারতীয় পরিচালক গিয়েছিলেন কান-এ। নাম শিবাজি চন্দ্রভূষণ। তাঁর ছবির নাম ‘দ্য আনটোল্ড টেল’। এটি ভারতের প্রথম প্রজেক্ট যেটি কান চলচ্চিত্র উৎসবের অন্তর্ভুক্ত সিনে ফাউন্ডেশনের ল’আতেলিয়ে সেকশনে জায়গা করে নিয়েছিল। “আতেলিয়ে শব্দটির অর্থ হল ওয়ার্কশপ। কান চলচ্চিত্র উৎসব থেকে এই সেকশনটা শুরু করা হয়েছে। ওখানে বিশ্বের পনেরো জন পরিচালককে আমন্ত্রণ জানানো হয় কান-এ তাদের প্রজেক্ট নিয়ে আসার জন্য। এই প্রজেক্টগুলোর কো-প্রডিউসার জোগাড় করার সুযোগ করে দেয় কান। আর এই ছবিগুলো বানানো হলে তাতে কান চলচ্চিত্র উৎসবের লোগোটা ব্যবহার করতেই হয়। এটা বাধ্যতামূলক। গত বছর কান-এ গিয়েছি। এ বছর মনজিৎ সিংহ বলে আর এক পরিচালক ল’আতেলিয়েতে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রজেক্টের নাম ‘ছেনু’। এ রকম একটা জায়গাতে সুযোগ পাওয়া খুবই সম্মানের,” শিবাজি বলছিলেন।
মনজিৎ কানে যাচ্ছেন ১৬ মে। থাকবেন ২৫ মে অবধি। “‘আগলি’ দেখানো হবে ডিরেক্টর্স ফোর্টনাইটে। কিছু স্পেশাল স্লট আছে ভারতীয় সিনেমার একশো বছর সেলিব্রেট করার জন্য। সেখানে দেখানো হবে ‘বম্বে টকিজ’। কিন্তু আমার প্রজেক্টটা এ সবের থেকে আলাদা। বিশ্ব জুড়ে মাত্র পনেরোটি প্রজেক্টকে সিলেক্ট করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি হল আমার প্রজেক্ট ‘ছেনু’। উত্তর ভারতের কাস্ট ভায়োলেন্স নিয়ে ছবিটা। কিন্তু এটা নিয়ে তো কেউ লেখেনি। কেউ কান-এ যাচ্ছে বললে প্রথমে জিজ্ঞেস করা উচিত কোন সেকশনে ছবিটা দেখানো হচ্ছে। নিজে না জানলে ওয়েবসাইটে চেক করলেই সত্যটা বেরিয়ে আসবে,” মনজিৎ বলছিলেন। পরিচালকের মতে অর্ধেক সত্য বলে প্রচার চাওয়াটা অনৈতিক। তা মিথ্যাচারেরই সমান।
কানের বিচ
শিবাজির স্ত্রী, ত্রিপর্ণা, বাঙালি। শ্বশুরবাড়ি আসানসোলে। কিন্তু কতজন বাংলার এই জামাইয়ের কান জয়ের কথা জানেন? কান-এ গিয়ে শিবাজি বুঝেছিলেন যে অনেক ভারতীয় সেখানে আজকাল যান শুধুমাত্র একটা তকমা করানোর লোভে। “গোটা কান শহরটাই তো লাল কার্পেটে মোড়া। তাই যে কেউ যে কোনও জায়গাতে দাঁড়িয়ে ছবি তুললেই বলতে পারেন রেড কার্পেটে হেঁটেছি,” বলছিলেন শিবাজি। তার পর শোনান গত বছরের অভিজ্ঞতার গল্প। তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল দুই ভারতীয়র। ফ্রান্স মানেই ভাল ওয়াইন। বিকেল পাঁচটা বাজে। কিন্তু লোক দু’টো একেবারেই মাতাল। ছবি দেখার নাম নেই। শুধু আলোচনা আবার পরে পার্টিটা কোথায় হবে।
হাসতে হাসতে শিবাজি আরও জানান যে গরম কালে মুম্বই এয়ারপোর্টে থিকথিক করে ফ্রান্সের টিকিট হাতে লোকজন। “জিজ্ঞেস করলেই বলে কান যাচ্ছি। ভাবটা এমন যেন কত সিনেমা বোদ্ধা। কিন্তু আসলে হয়তো শুধুমাত্র ইন্ডিয়ান প্যাভিলিয়নের কোনও পার্টিতে ইনভিটেশন পেয়েছেন। আমরা খবর পেয়েছিলাম যে এক বার এক বলিউড তারকা অনেক পাবলিসিটি করে দেশের মিডিয়াতে বললেন কান-এ রেড কার্পেটে হাঁটতে যাচ্ছেন। নিজের পয়সাতে কান-এ গিয়েছিলেন। পরে ওখানে গিয়ে শুনি যে কান-এর অফিসিয়ালরা নাকি তাঁকে রেড কার্পেটে হাঁটতেই দেননি!” শিবাজির হাসি থামছেই না।
প্রযোজক শীতল তলোয়ার গত বছর বিতর্ক তৈরি করেছিলেন কান-এ ভারতীয় প্যাভিলিয়নের পার্টি নিয়ে। “কোনও প্রযোজক বা ব্র্যান্ড যদি নিজের পার্টি করেন তাতে আমার কিছু বলার নেই। ধরুন আজ যদি ‘বম্বে টকিজ’-এর জন্য পার্টি দেওয়া হয়, তাতে ভারতের প্রোফাইলটাই বাড়বে। বা অনুরাগ কাশ্যপ যদি ওঁর কোনও ছবির জন্য পার্টি দেন। আমি রাজীব গাঁধী নিয়ে ছবি প্রযোজনা করছি। যদি সেই ছবি নিয়ে কোনও দিন আমি কান-এ একটা পার্টি দিই, সেটা তো আমার নিজস্ব সিদ্ধান্ত। কারও তাতে কিছু বলার নেই। কিন্তু আমার আপত্তি হয় যখন দেখি দেশের ট্যাক্স পেয়ার-এর টাকা দিয়ে এনএফডিসি পার্টি দিচ্ছে। সেই টাকাটা ওই পার্টিতে না ঢেলে তো ভারতীয় সিনেমাতে ঢালতে পারে। কানের মেন ক্যাটেগরিতে ভারতীয় ছবি প্রায় ঠাঁই পায় না সে দিকে কারও নজর নেই কেন?” প্রশ্ন শীতলের।
পরিচালক কিউ শীতলের যুক্তি একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছেন। বলছেন, “কান আসলে একটা বাজার। যে কোনও বাজারে আলু-পটল যেমন বিক্রি হয়, ঠিক সে ভাবেই জামাও বিক্রি হয়। কান বড়লোকের শহর। লোকে যদি ওখানে আনন্দ করতে যায় তাতে আপত্তি কোথায়? কান-এ গিয়ে ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিবিউটর জোগাড় করাটাই সবার লক্ষ থাকে। আমি এ বছর যাচ্ছি ‘তাসের দেশ’ নিয়ে। ফ্রান্সের ‘ইনসমনিয়া’ বলে একটা কোম্পানির সঙ্গে কথাবার্তা হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল সেলস এজেন্সি নেওয়ার বিষয়ে। সেটা নিয়ে কথাবার্তা বলব কান-এ।”
আর কানের পার্টি? তাতে যাবেন না? কিউয়ের কোনও আপত্তি নেই তাতে। বলছেন, “প্রত্যেক বছর বিভিন্ন দেশ থেকে পার্টি দেওয়া হয়। এই পার্টিগুলো সেই দেশ থেকেই দেওয়া হয়। সেখানে সিনেমার জগতের লোকজন নেটওয়ার্ক করে। এই নেটওয়ার্কিং থেকে কেউ যদি কাজ জোগাড় করতে পারে, তাতে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়। এনএফডিসি পার্টি দিচ্ছে। তাতে ক্ষতি কি? আঞ্চলিক ও হিন্দি সিনেমা দু’টোই ওখানে জায়গা পায়। যেহেতু বলিউডের টাকা বেশি, তাই প্রচারটা বেশি মাত্রায় পায়।”
২০১১ সালে ডিরেক্টর্স ফোর্টনাইট সেকশনে দেখানো হয়েছিল পাওলির ‘ছত্রাক’। দেশে কত জন আর সে খবর রেখেছেন? লোকে কিন্তু ঠিক খোঁজ রাখেন, মনে করেন
বিদ্যা বালন
নন্দিতা দাস
পাওলি। “কোনও অভিনেতার কান-এ সিনেমা ছাড়া অন্য কারণে যাওয়ার জন্য প্রচার পেলে আমার তাতে হিংসা হয় না। ভাল কাজ করে যেতে হবে। এবং তার ফল পাওয়া যাবেই যাবে,” বলছেন পাওলি।
গত বছর অনুরাগ কাশ্যপের ‘গ্যাংস অব ওয়াসেপুর’ ছবিটি দেখানো হয়েছিল ডিরেক্টর্স ফোর্টনাইট সেকশনে। গামছা গলায় দিয়ে মনোজ বাজপেয়ী গিয়েছিলেন কান। সঙ্গে ছিলেন অনুরাগ কাশ্যপ, কল্কি কোয়েচলিন, রিচা চাড্ডা, হুমা কুরেশি ও রিমা সেন। সবাই অভিনয় করেছিলেন ‘গ্যাংস অব ওয়াসেপুর’-এ। সোনম কপূরও গিয়েছিলেন একই বছর। কিন্তু সিনেমা নয়, একটি কসমেটিক কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যামবাসাডর হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সোনমের এ দেশে যত প্রচার হয়েছিল, মনোজের কান যাত্রা-কে ঘিরে তার চেয়ে বেশি শোরগোল হয়নি। তবে মনোজের কোনও আক্ষেপ নেই এ নিয়ে। “কান প্রকৃত অর্থে একটা মেলা। সিনেমার মেলা। ব্র্যান্ডের মেলা। ব্র্যান্ডগুলো নিশ্চয়ই চাইবে যাতে তারকাদের দিয়ে তাদের প্রচার হয়। আমার তা নিয়ে কোনও রাগ নেই। আমি কান-এ গিয়েছিলাম আমার ছবির জন্য। আর ফিরে এসেছি ঝুলি ভর্তি ভাল অভিজ্ঞতা নিয়ে,’’ মনোজ বলছিলেন।
কিন্তু দেশে ফিরে কেউ যদি মুড়ি-মুড়কি এক করে দেয়, তখন খারাপ লাগে না? মনোজের কিছু যায় আসে না তাতে। “মিডিয়ার অজ্ঞতা নিয়ে আমার কোনও মাথাব্যথা নেই। আমাদের দেশে এন্টারটেনমেন্ট জার্নালিজম-এ একটা ক্রাইসিস রয়েছে। এক ধরনের সাংবাদিক আছেন যাঁরা অনেক কিছু জানেন। আর একটা বিশাল দল আছে যাঁরা ওয়ার্ল্ড সিনেমা নিয়ে একেবারেই কোনও খবর রাখেন না। আমি এই দলকে শিক্ষিত করার দায়িত্ব নেব না। কাকে নিয়ে লেখা হচ্ছে তা নিয়ে ইনসিকিওর বোধ করিনি। সত্যি দম না থাকলে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকা যায় না,” মনোজ জানান।
তার পর উদাহরণ দেন অনুরাগ কাশ্যপের। বলেন, “প্রত্যেক বছর ওঁর প্রোডাকশনের ছবিগুলো নামীদামি চলচ্চিত্র উৎসবগুলো চাইছে। তারকারা ব্র্যান্ড প্রোমোট করে কোথায় কী প্রচার পাচ্ছে, তা নিয়ে সময় নষ্ট করে না অনুরাগ। নিজের উদ্দেশ্যটা ঠিক থাকলে অন্য সব কিছু নগণ্য হয়ে যায়।”
মনোজ আশাবাদী। কিন্তু সেই ১৯৯৯-এর পর থেকে কোনও ভারতীয় ছবি কান-এর প্রতিযোগীতা জেতেনি। কান সর্বদাই ছিল গ্ল্যামারের পীঠস্থান। তবে পার্থক্য এটাই যে, আগে গ্ল্যামারের সঙ্গে থাকত প্রতিযোগীতা জেতার গৌরব। মনোজ মানতে না চাইলেও অনেকেই স্বীকার করছেন যে, গ্ল্যামার এখন সব কিছুকেই ছাপিয়ে যাচ্ছে।


১৯৮০-র দশকে কান
চলচ্চিত্র উৎসবে মৃণাল সেন
কান ফেস্টিভ্যাল আমার ভীষণ প্রিয়। বলা যায় কান ছিল আমার সেকেন্ড হোম। ১৯৮০ থেকে ’৮৯, এই সময়ের মধ্যে আট বার গিয়েছি কানে। কখনও জুরিতে থেকে। কখনও ছবি নিয়ে। গেব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কোয়েজ সঙ্গে ১৯৮২-তে কানের কমিটিতে ছিলাম। অনেক আড্ডাও হত ওঁর সঙ্গে। কান-য়ে আমিই প্রথম ভারতীয় জুরি। খারাপই লাগে এখন কানের গ্ল্যামারাস মোড়ক দেখে। আমার প্রিয় কান বোধহয় বদলে গিয়েছে। তবে নন্দিতা দাসকে জুরিতে নেওয়ায় ভাল লাগছে। কমিটিতে আমার বন্ধু আছে জিল জেকব। ওর সঙ্গে দিনে ৪-৫টা মেলও আদান-প্রদান হয়। ‘পথের পাঁচালী’ এখানেই প্রথম ‘বেস্ট হিউম্যান ডকুমেন্টারি’র অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিল। ‘খন্ডহর’ যখন যায়, সত্যজিৎ রায় তখন অসুস্থ। ‘ঘরে বাইরে’ শেষ করেছেন। কমিটি থেকে আমাকে বলা হয়েছিল, ‘খন্ডহর’টা প্রাইজ উইনিং ক্যাটাগরি থেকে তুলে নিতে। যুক্তি ছিল যে যদি আমার ছবি অ্যাওয়ার্ড পেয়ে যায়, তাহলে রে-র ছবি লজ্জার মুখে পড়ে যাবে। ওঁরা নিশ্চিত ছিলেন এটাই মানিকবাবুর শেষ ছবি। আমি ওদের বলেছিলাম, “চিন্তা করবেন না, সত্যজিৎ রায় সুস্থ হয়ে উঠবেন। আবার ছবি করবেন।”


গত বছর কানে গিয়েছিলাম
‘মিস লাভলি’র জন্য। কিন্তু দেশের
মিডিয়া উৎসাহ ছিল শুধু আমার
গাউন। সিনেমা নয়
নীহারিকা সিংহ

২০১২-তে কানে গিয়েছিলাম
‘গ্যাংস অব ওয়াসেপুর’-য়ের
জন্য। মিডিয়া তা প্রচার না করলে
আমার কিছু যায় আসে না
মনোজ বাজপেয়ী

পুরস্কৃত ভারতীয় ছবি
১৯৪৬:‘নীচা নগর’ ১৯৮৩:‘খারিজ’
১৯৫৪:‘দো বিঘা জমিন’ ১৯৮৮: ‘সালাম বম্বে’
১৯৫৫:‘বুট পলিশ’ ১৯৮৯: ‘পিরাভি’
১৯৫৬:‘পথের পাঁচালী’ ১৯৯৮:‘দ্য শিপ থিফ’
১৯৫৭:‘গোতমা দ্য বুদ্ধা’ ১৯৯৯: ‘মারানা সিমহাসানাম’



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.