|
|
|
|
|
|
|
ইসকুলে মুশকিল |
উত্তর দিচ্ছেন পুষ্পা মিশ্র |
|
আমি স্কুলের পড়া প্রতি দিন তৈরি করে স্কুলে যাই, কিন্তু যদি ভুল বললে বন্ধুরা হাসাহাসি করে, এই ভয়ে টিচার প্রশ্ন করলে উত্তর দিতে ভরসা পাই না। এর কি কোনও সমাধান আছে?
ঈশানী ঘটক। সপ্তম শ্রেণি, আওয়ার লেডি কুইন অব দ্য মিশন স্কুল, সল্টলেক
ঈশানী, আচ্ছা স্কুলে আমরা কেন যাই, বলো তো? শিখতে যাই। আমরা তো সব কিছু জানি না। ভুল তো হতেই পারে। তাতে লজ্জা পাওয়ার তো কিছু নেই। কেউ যদি তোমার ভুল উত্তরে হাসে, তাতে তোমার নয়, তাদেরই লজ্জা পাওয়া উচিত। তারা কি কখনও ভুল করে না? সেই জন্য বন্ধুদের হাসাহাসির কথা মন থেকে বের করে দিয়ে, টিচারের প্রশ্নের উত্তর দিয়ো। প্রথমত, তুমি পড়া তৈরি করেছ, সুতরাং ভুল হবে কেন? দ্বিতীয়ত, যদি হয়ও, টিচার তোমার ভুল শুধরে দেবেন। সে সুযোগ হারাবে কেন? |
|
সন্ধেবেলা পড়তে বসার সময় আমার ঠাকুমা টিভি দেখেন। বন্ধ করতে বললে, তিনি আমায় খুব বকেন। বাবা-মাকে বললে ভাবেন, আমি ঠাকুমার নামে বাজে কথা বলছি। কী করব?
অর্পণ ঘোষ। চতুর্থ শ্রেণি, সারদা শিশু বিহার
|
|
অর্পণ, তোমার বাড়িতে কি আর কোনও পড়তে বসার জায়গা নেই? বাবা-মায়ের ঘরে বা ডাইনিং টেবিলে কি পড়তে পারো? অর্থাৎ অন্য কোনও জায়গায় বসে পড়া তৈরি করো। কয়েক দিন পরে অভ্যেস হয়ে যাবে, দেখবে, তখন খারাপ লাগবে না। |
আমার দু’টি সমস্যা। এক, খুব মোটা হয়ে যাচ্ছি। স্কুলের দেওয়া ব্যায়ামগুলো প্র্যাক্টিস করেও কোনও ফল পাইনি। দুই, পেন আমার খুব ভাল লাগে। পেন দেখলে নিজেকে সামলাতে পারি না। কী করব?
অনুষ্কা বর্মন। ষষ্ঠ শ্রেণি, শ্রীরামপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, হুগলি |
|
|
যদি স্কুলে দেওয়া ব্যায়ামে তোমার কোনও লাভ হচ্ছে না, তা হলে তোমাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে, বাইরের ‘প্রফেশনাল’ সাহায্য নিয়ে ওজন কমাতে হবে। সব থেকে আগে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিজের থায়রয়েড পরীক্ষা করাও। থায়রয়েড গ্রন্থি ঠিকমত কাজ না করলে খুব ওজন বেড়ে যায়। দুই, পেন অনেকের ভাল লাগে এবং অনেকের পেন সংগ্রহের নেশাও থাকে। কিন্তু তোমায় তো নিজেকে সামলাতে হবে। তুমি আত্মীয়স্বজনকে বলতে পারো, তোমায় উপহার দিলে, তাঁরা যেন ভিন্ন ভিন্ন ধরনের পেন উপহার দেন। তাতে তোমার ইচ্ছে কিছুটা মিটবে। বড় হয়ে যখন নিজে উপার্জন করবে, তখন মন ভরে পেন কিনো। |
|
খামে ভরো মুশকিল
পড়াশোনা, শিক্ষক বা বন্ধুদের নিয়ে তোমার যা মুশকিল, জানাও আমাদের।
চিঠির উত্তর দেবেন সাইকো-অ্যানালিস্ট পুষ্পা মিশ্র, বেথুন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
চিঠিতে তোমার নাম আর ক্লাস জানাতে ভুলো না। খামের উপরে লেখো:
ইসকুলে মুশকিল, রবিবারের আনন্দমেলা,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|
|