|
|
|
|
শুভেন্দু-মুকুল এক মঞ্চে, শিলদায় ঐক্যের বার্তা
কিংশুক গুপ্ত • বিনপুর |
দলের লোকেদেরও একটা বড় অংশ জানে, মুখ্যমন্ত্রীর বিনপুরের সভায় প্রত্যাশিত ভিড় না হওয়ার অন্যতম কারণ তৃণমূলের দুই সাংসদের ‘কাজিয়া’। শনিবার সেই বিনপুরের সভাতে শুভেন্দু অধিকারী ও মুকুল রায়কে এক সঙ্গে হাজির করে পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের মধ্যে ঐক্যের বার্তা দিল শাসকদল। বোঝানোর চেষ্টা হল, কোথাও কোনও দ্বন্দ্ব নেই।
মঞ্চে দুই নেতাকে পাশাপাশি বসে হাসিমুখে প্রায় কানে-কানে কথা বলতে দেখা গেল। মুকুল প্রসঙ্গে শুভেন্দু বললেন, ‘‘জঙ্গলমহলে আমাদের আন্দোলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বস্ত সেনাপতি’’। আর শুভেন্দুকে ‘ভ্রাতৃপ্রতিম’ সম্বোধন করলেন মুকুল। দু’জনেই আহ্বান জানালেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করুন।”
নয়াদিল্লিতে এসএফআইয়ের হাতে মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর নিগ্রহের প্রতিবাদে এ দিন পশ্চিম মেদিনীপুরের বিনপুর থানার শিলদার নীলকমল মাঠে ‘ধিক্কার সমাবেশ’-এর আয়োজন করেছিল জেলা যুব তৃণমূল। গত ১৯ মার্চ বিনপুরে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক জনসভায় উল্লেখযোগ্য লোক না হওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে উঠে এসেছিল শুভেন্দু ও মুকুল গোষ্ঠীর কাজিয়া। শুভেন্দুর পরিবর্তে মুকুলকে সভা আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়াতেই বিপত্তি বলে মনে করেছিলেন দলের অনেকে। এ দিন দুপুরে অবশ্য প্রবল গরমেও হাজার পনেরো লোকের জমায়েত হয়েছিল। |
ভাই-ভাই
শিলদার সভায় একই মঞ্চে পাশাপাশি মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী। ছবি: দেবরাজ ঘোষ |
দুপুর আড়াইটে নাগাদ সভা শুরু হয় তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের উপস্থিতিতে। ছিলেন জেলা সভাপতি দীনেন রায়, কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ, নির্মল ঘোষ, মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা, যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি শ্রীকান্ত মাহাতো প্রমুখ। বিকেল ৪টেয় মেদিনীপুর থেকে একই গাড়িতে পৌঁছন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় ও রাজ্য যুব তৃণমূলের সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী। সভার শেষ দিকে বলতে ওঠেন দু’জন। দু’জনেই জঙ্গলমহলের উন্নয়নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কর্মযজ্ঞের’ কথা উল্লেখ করেন। অভিযোগ করেন, উন্নয়নের গতি শ্লথ করতেই অভিসন্ধি করছে সিপিএম ও তার ‘দোসর’ কংগ্রেস। তা সে নয়াদিল্লিতে বিক্ষোভের নামে নিগ্রহ হোক, বা এ রাজ্যে সারদা-কেলেঙ্কারি।
শুভেন্দুর দাবি, “দিল্লির ঘটনা সিপিএমের ষড়যন্ত্র। জঙ্গলমহলেও বারবার ষড়যন্ত্র করেছে ওরা।” মুকুলবাবুও বলেন, “প্রচার করা হচ্ছে আমরা পঞ্চায়েত ভোট চাইছি না। এটা ঠিক নয়। আসলে বাংলা সব দিক থেকে এগোচ্ছে। তাই তাকে পিছনের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে।” শুভেন্দুর আহ্বান, “দিদি জঙ্গলমহলকে অনেক দিয়েছেন। আপনারা প্রতিটি পঞ্চায়েতকে মমতাময় করে দিন। আমাদের সরকার ও দলকে চোখের মণির মতো আগলে রাখুন।” মুকুলের প্রত্যয়, “কাল ভোট হলেও সিপিএম এবং কংগ্রেসকে মাইক্রোস্কোপেও খুঁজে পাওয়া যাবে না।”
|
জমি-জটে পথ অবরোধ
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
রাস্তা তৈরির জন্য জমি পেতে বাধা দেওয়া নিয়ে দিঘা-কলকাতা সড়ক অবরোধ করলেন গ্রামবাসীরা। শনিবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর থানার শ্রীকৃষ্ণপুর এলাকায় সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত স্থানীয় গ্রামবাসীদের অবরোধের জেরে ওই সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ এসে আলোচনার আশ্বাস দিয়ে অবরোধ তোলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় চণ্ডীপুরের রসিকাচক থেকে নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের আমদাবাদ পর্যন্ত পাকা রাস্তার জন্য রসিকাচক গ্রামের কিছু বাসিন্দার খাল সংলগ্ন কিছু জমি প্রয়োজন। কিন্তু ওই জমির মালিকরা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি ছাড়তে রাজি নন। এ নিয়ে স্থানীয় শ্রীকৃষ্ণপুর ও রসিকাচক গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে জমি মালিকদের বিরোধ বাধে। শনিবার গ্রামবাসীরা রাস্তার কাজ করতে গেলে জমি মালিকরা বাধা দেন। এরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা শ্রীকৃষ্ণপুর বাসস্টপের কাছে অবরোধ করেন। ব্রজলালাচক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুস্মিতা মাইতি বলেন, “জমি মালিক ও গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|