|
|
|
|
যৌন হয়রানি |
নয়া বিলে দায় নিয়োগ-কর্তারই |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি রুখতে নিয়োগ-কর্তাদের দায়িত্ব বাড়তে চলেছে। ‘কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থা নিবারণ, নিষিদ্ধকরণ ও প্রতিবিধানমূলক বিল ২০১২’ রাষ্ট্রপতির অনুমোদন সাপেক্ষে আইনের চেহারা নিলেই নিয়োগ-কর্তাদের কিছু দায়িত্ব বাড়বে। বিলটিতে বলা হয়েছে, প্রত্যেক নিয়োগ-কর্তাকে এ ধরনের অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে একটি অভ্যন্তরীণ যৌন-হেনস্থা নিবারণ কমিটি গড়তে হবে। কোনও ‘নিগৃহীত’ মহিলা হেনস্থা হওয়ার তিন মাসের মধ্যে কমিটিকে লিখিত অভিযোগ জানাতে পারেন। অভিযোগকারিণীর আবেদনের ভিত্তিতে কমিটি তদন্ত চলাকালীন মহিলাকে বদলি করা, তিন মাসের ছুটি দেওয়া বা অন্য কোনও সাহায্যের জন্য সুপারিশ করতে পারে। অভিযোগকারিণীর আবেদনে কমিটি অভিযুক্তকেও বদলির সুপারিশ করতে পারে। তদন্তে অভিযুক্ত দোষী প্রমাণিত হলে ‘সার্ভিস রুল’ অনুযায়ী তার শাস্তি হবে। অন্য ক্ষেত্রে অবস্থা অনুযায়ী শাস্তির বিধান রয়েছে। অভিযুক্ত দোষী প্রমাণিত বলে নির্যাতিতাকে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকবে। ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ধার্য করবে কমিটি। এ সংক্রান্ত আইন ভাঙলে নিয়োগ-কর্তার ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। তবে অন্য অনেক বিল-এর মতো এই বিলের বক্তব্য নিয়েও নিয়েও বিতর্কের সুযোগ রয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন সমাজতাত্ত্বিকদের একাংশ। বিতর্কের কেন্দ্রে বিলটির একটি বক্তব্য যেখানে বলা হয়েছে, তদন্তে অভিযোগকারিণীর (বা কোনও কর্মীর) অভিযোগ বা তথ্য মিথ্যা প্রমাণিত হলে সংস্থার ‘সার্ভিস রুল’ অনুযায়ী তাঁর শাস্তি হবে। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, “ভয়ে এবং সামাজিক চাপে মেয়েরা সচরাচর কর্মক্ষেত্রে যৌন নিগ্রহের মতো স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে মুখ খুলতে চান না। কোনও কারণে কোনও প্রকৃত নির্যাতিতার অভিযোগ যদি কমিটির তদন্তে মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়, সে ক্ষেত্রে শাস্তিও অভিযোগকারিণীরই হবে। নিগৃহীত হয়েও প্রমাণ করতে না পারার আশঙ্কায় মেয়েদের অভিযোগ জানানোর সংখ্যা কমতে পারে।” |
|
|
|
|
|