|
|
|
|
| |
| শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুন, গ্রেফতার অভিযুক্ত |
| নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
দিল্লিতে শিশুকন্যা ‘গুড়িয়া’কে ধর্ষণ করে হত্যার চেষ্টায় রাজধানী-সহ গোটা দেশ যখন উত্তাল, তখনই ত্রিপুরায় ঘটে গেল নারকীয় ঘটনা। ত্রিপুরার দক্ষিণে গোমতী জেলার চেলাগাং-এ ছ’বছরের একটি শিশুকন্যার উপর নির্যাতন চালায় সঞ্জিত সাহা নামে এক দুষ্কৃতী। প্রমাণ লোপাটের জন্য শ্বাসরোধ করে শিশুটিকে খুন করে। পরে পরিত্যাক্ত একটি শৌচালয়ে ফেলে দিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার চেলাগাং-এর বাসিন্দা অজিত সাহা শিশুকন্যাকে নিয়ে বাজারে গিয়েছিলেন। বাজারের পাশেই একটি মন্দিরে পুজো ছিল। চলছিল কীর্তন। অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে মেয়েকে রেখে বাজারে কয়েকটি কাজ সারতে গিয়েছিলেন অজিত সাহা। এই ফাঁকে শিশুটিকে অপহরণ করে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায় ওই দুষ্কৃতী। সেখানে তার উপরে যৌন নির্যাতন চালায় সে। এ দিকে কিছুক্ষণ পরে মন্দিরে ফিরে অজিত সাহা মেয়ের খোঁজ করেন। হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে এলাকার অনেকেই ‘গুড়িয়া’কে খুঁজতে শুরু করেন। কোথাও তার হদিশ পাওয়া যায়নি। তল্লাশিতে নামে পুলিশ, টিএসআর। পুলিশ জানায়, অমরপুরের এসডিএমের নির্দেশে আজ সন্দেহভাজন ব্যক্তি হিসেবে সঞ্জিত সাহাকে আটক করে নতুনবাজার থানার পুলিশ। জেরার মুখে শেষ পর্যন্ত ঘটনার কথা স্বীকার করে সঞ্জিত। তারই সূত্র ধরে শিশুটির নিথর দেহ গত কাল উদ্ধার করা হয় একটি সেফটি ট্যাঙ্কের ভিতর থেকে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী সঞ্জিতের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে পুলিশ এবং টিএসআর জওয়ানরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তেলিয়ামুড়ায় ১৪ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে কিষাণ দাস নামে এক ব্যক্তিকে আজ গ্রেফতার করে পুলিশ। এএসাই দুলাল মিত্র জানান, কাল রাতে মেয়েটি বাজার থেকে জিনিস নিয়ে ফিরছিল। তখন তার পথ আটকায় ২৩ বছরের কিষাণ। মেয়েটির মুখে কাপড় চাপা দিয়ে জোর করে অন্যত্র নিয়ে যায় দুষ্কৃতীটি। ধর্ষণ করে সে পালায়। মেয়েটির জবানবন্দির ভিত্তিতে পুলিশ কিষাণ দাসকে গ্রেফতার করে। |
|
|
 |
|
|
