|
|
|
|
সংস্কৃতি যেখানে যেমন |
|
পরিবেশ সংরক্ষণ ও পর্যটন জনপ্রিয়করণ |
পরিবেশপ্রেমী ‘দিশারি সংকল্পের’ আয়োজনে ২০ এপ্রিল বালুরঘাটের রবীন্দ্রভবনে অনুষ্ঠিত হল আলোচনা সভা। বিষয় ছিল, প্রোমোশন অব টুরিজ্যম অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল কনজার্ভেশন। ছিলেন সমবায় মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী, জেলা পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। স্বাগত ভাষণে সম্পাদক তুহিনশুভ্র মণ্ডল বলেন, “পর্যটন ও পরিবেশ ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। পরিবেশ এ তার জৈব বৈচিত্র্য না রক্ষা হলে পর্যটন বিকাশ অসম্ভব। পর্যটনের স্বার্থেই পরিবেশ সংরক্ষণ জরুরি।” মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী জানান, দক্ষিণ দিনাজপুরে পরিবেশকে বাঁচিয়ে পর্যটকদের অন্যতম গন্তব্যস্থলে পরিণত করতে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বাণগড়, মহিপাল দিঘির পর ভালুকা বিলের ক্ষেত্রে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার জানান, দক্ষিণ দিনাজপুরে পর্যটন শিল্প হয়ে উঠতে পারে। পর্যটনের সঙ্গে কর্মসংস্থান জড়িয়ে। কর্মসংস্থান বাড়লে অপরাধ প্রবণতা কমবে। ‘অ্যান আননোন বিউটি, ডেস্টিনেশন -দক্ষিণ দিনাজপুর’ নামের একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
|
নাটকের প্রতিযোগিতা হল জলপাইগুড়িতে |
২০-২২শে এপ্রিল জলপাইগুড়িতে নাট্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বান্ধব নাট্য সমাজ। তাদের নিজস্ব প্রেক্ষাগৃহে শহরের ছটি দল অংশগ্রহণ করে। অভিনীত হল ইচ্ছে ডানার ‘শ্যাওলা’, অনামী থিয়েটার সেন্টারের ‘বিক্রম আদালত’, রূপায়ণের ‘নিরস্ত্র’, উদিচীর ‘জনক’, শিলালী নাট্যমের ‘এখনও জীবন আছে’ ও আর্য্য নাট্য সমাজের ‘আর এক যুদ্ধ’। বিচারক ছিলেন রবিশ্বর ভট্টাচায, সমর চৌধুরী। শেষ দিন পুরস্কার বিতরণী ও সংস্থার নাটক ‘পদ্য গদ্য প্রবন্ধ’, নির্দেশনায় বরুণ ভট্টাচার্য। পুরস্কৃত শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা রূপায়ণের নিরস্ত্র, শ্রেষ্ঠ নির্দেশক আর্য্য নাট্যের মানস ভৌমিক, দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ নির্দেশক ও শ্রেষ্ঠ অভিনেতা দীপঙ্কর রায় (নিরস্ত্র), শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী জবা শর্মা (শ্যাওলা), দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বারীন সাহা (আর এক যুদ্ধ) এবং দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী অনিতা পালচৌধুরী (নিরস্ত্র)।
|
দু’দিনের বাৎসরিক উৎসব রামকৃষ্ণ মিশনে |
ঠাকুর রামকৃষ্ণদেবের জন্মতিথিথে উৎসব পালন করল জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশন। ৫ ও ৬ এপ্রিল ঠাকুর রামকৃষ্ণদেবের জীবন ও বাণী শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। প্রথম দিনের সভার বিষয় ছিল রামকৃষ্ণদেবের জীবন ও বাণী। পরের দিন ছিল শ্রীশ্রী মায়ের জীবন ও বাণী নিয়ে আলোচনা। অংশ নিলেন স্বামী বিশ্বনাথানন্দঅধ্যক্ষ, উদ্বোধন, মায়ের বাড়ি, স্বামী বেদস্বরূপানন্দ, রামকৃষ্ণ মিশন ইন্সটিটিউট অব কালচার গোলপার্ক। ওই আলোচনা সভার পরে ভক্তিগীতি পরিবেশন করেন স্বামী দিব্যব্রতানন্দ। গত ৭ এপ্রিল স্বামীজির সার্ধশতবর্ষ জন্মতিথি উপলক্ষে যুব সম্মেলনে ভাষণ দেন মিশন আশ্রমের সম্পাদক স্বামী অক্ষয়ানন্দ।
|
প্ল্যাটফর্ম-এর নাটক |
‘কী ব্যাপার বলত বস্- এ বছর সবাই রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে মেতেছে, দুগ্গা পুজোর প্যান্ডেলে, থিমে, লাইটে এমন কী মোবাইলের রিং টোনেও রবীন্দ্রনাথ!--এক জন সাধারণ মানুষ যখন, এই কথাগুলি বলেন তখন মনে হয় রবীন্দ্রনাথের সার্ধ শতবর্ষ পালন কতটা সাথর্ক ভাবে রূপায়িত হয়েছে সারা বছর? মালদা থিয়েটার প্ল্যাটফর্ম তাঁদের নাটক হুযুগোপযোগীর মাধ্যমে সেটাই তুলে ধরতে চেয়েছে। দর্শকরা নাটক দেখতে দেখতে হাসি চেপে রাখতে পারেনি। বিদ্বজ্জনদের অনেকে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে এমন আয়োজন আগে দেখেননি বলেও জানিয়েছেন। বাংলা বছরের শেষ দিন, ১৪ এপ্রিল মালদহ কলেজ অডিটোরিয়ামে নাট্যকার শুভাশিস খামারুর ভাবনা মঞ্চস্থ করে রূপায়িত করেন পরিচালক সুব্রত পাল।
|
‘এবং বিকল্প’র বর্ষপূর্তিতে নানা অনুষ্ঠান |
‘এবং বিকল্প’ পত্রিকার ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত ২১ মার্চ মালদহ টাউন হলে অনুষ্ঠিত হল ‘কবিতার মূহুর্তে’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পত্রিকার একটি সংখ্যা প্রকাশ করেন শিক্ষাবিদ সন্তোষকুমার চক্রবর্তী এবং সঙ্গীত শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়। সংখ্যাটি নিবেদন করা হয় ‘শাহবাগ, পাশে আছি’ এই শিরোনামে অনেকের কবিতা ও গানের নির্বাচিত চয়নে। এ দিন উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী, অপাবৃতা সেন। কবিতাপাঠে অংশগ্রহণ করেন রাজীব সিংহ, দেবরাজ রায়চৌধুরী, মানসরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, চিরশ্রী দাশগুপ্ত, অয়ন গোস্বামী, অসীম শর্মা, গৌর দাশ। কবিতা আলেখ্যে অংশ নেন দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, রেশমী মজুমদার, ম্যানিলা সাহা, অঞ্জনাভ রায়, মধুমিতা কর্মকার। ছিল প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের গান।
|
আবেশের বছরবরণ |
১৫ এপ্রিল মুকুলেশ সান্যাল ভবনে ছিল ‘আবেশ’ পত্রিকার বর্ষবরণ। পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক রামকান্ত রায় জানান, ১৯৯৩ সালে কোচবিহারে থাকতে তিনি প্রথম পত্রিকা প্রকাশ করেন। কয়েক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে প্রকাশনার কাজ। সে কাজ শুরু করতে চান তিনি। প্রকাশিত হয় অমূল্য দেবনাথের রাজবংশী ভাষায় লেখা ‘নেওটা জীবন’ ও রামকান্ত রায়ের ‘উড়ে যায় নিরোর বেহালা’ গ্রন্থ দুটি। প্রকাশ করেন প্রাবন্ধিক গবেষক উমেশ শর্মা। শিবাজী রায়গুপ্ত, সুজাতা রায়, রোমি নাহার গানে, দ্বিজা রায়, অরিয়ন সিংহ, তন্নিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছড়ায়, নাচে দারুণ উপভোগ্য হয় বর্ষবরণ। অনবদ্য ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন গৌতম গুহরায়, মণিদীপা নন্দী বিশ্বাস, দেবযানী সেনগুপ্ত প্রমুখ।
|
পার্বণী পত্রিকা |
১৮ এপ্রিল জলপাইগুড়ি নতুনপাড়া পার্বণী সাহিত্য ও সংস্কৃতি বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কবিতা, গল্পপাঠ, গান, নাচে অনুষ্ঠানটি বর্ণময় হয়ে ওঠে। সংস্থার পক্ষে ছন্দবীথি কুণ্ডু জানান, প্রচুর বিশিষ্ট এবং অতিথিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। গান দিয়ে শুরু করে গানেই অনুষ্ঠান শেষ হয়।
|
৪ দিন চিত্র প্রদর্শনী |
শিলিগুড়ি রামকিঙ্কর হলে সুদীপ্ত রায়ের ৪ দিনের সোলো আর্ট প্রদর্শনী হল। ২২ এপ্রিল ওই প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন শিল্পী সুচিত্র অধিকারী। সুদীপ্তর মোট ৩৮টি ছবি ছিল সেখানে। |
|
|
|
|
|