|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৪... |
|
কেন শুধু প্রাচীনের অনুবর্তন |
বইপোকা |
বাংলা গ্রন্থের ইতিবৃত্ত ও নির্মাণের নানা চিত্তাকর্ষক প্রসঙ্গ লইয়া বঙ্গীয় বইপাড়ায় কেন ডায়েরি কিংবা নোটবুক নির্মিত হয় না তাহা লইয়া একদা লিখিয়াছিলাম এই কলামে। এই বৈশাখে তেমন একটির দেখা মিলিল। ‘যাঁরা পড়তে পড়তে আর সব কিছু ভুলে যান অথবা যাঁরা অনেক কিছু মনে রাখতে চান তাঁদের জন্য’ তাহা গ্রন্থ নহে, গ্রন্থ লইয়া এক ছোট্ট ডায়েরির উৎসর্গপত্র। দে’জ স্মরণ সারণি নামে সেই স্মরণ-সহায়কের এক পৃষ্ঠায় নানা বই, পত্রিকা, স্মরণীয় মানুষের বর্ষপূর্তি-কথা আর অন্য পৃষ্ঠায় বাংলা মাসের ক্যালেন্ডার-সহ মনে রাখিবার কাজ টুকিয়া রাখিবার সারণি। ইহাই ছিল এ বারের পয়লা বৈশাখে পাঠককে প্রকাশকের উপহার। দেখিয়া বন্ধুবর ফুট কাটিলেন, নোটবুকের সহিত একটি পেন্সিল থাকিলেও মন্দ হইত না! রসিকতা নহে, এই উদ্যোগটি প্রশংসনীয়। অন্তত বঙ্গীয় বইপাড়াও যে কিঞ্চিৎ উদ্ভাবনশীল হইয়া উঠিয়াছে ইহা আশার কথা। তবে সারণিটি, কি দর্শনে, কি গুণবিচারে, মনে হয় আজি হইতে পঞ্চাশ বৎসর পূর্বে বিতরিত হইলে মানাইত ভাল। পঞ্জিকার চেহারাটি হয়ত এই উদ্যোগকে পুরোদস্তুর বাঙালি করিয়াছে, কিন্তু সেইখানেই বিপদ। পরিচিতিগুলি নেহাত তথ্যমূলক, বিষয়টির গুরুত্ব বা মেজাজটি ফুটিয়া উঠিতে পারে নাই দুর্বল গদ্যের কারণেই। বিষয় নির্বাচনেও নেহাত পূর্তি গুরুত্ব পাইয়াছে, ফলে প্রায় সবকয়টিই জীর্ণ-পুরাতনের শতবর্ষ কিংবা সার্ধশতবর্ষ। ঠিকানা, ফোন, ফ্যাক্স-এর সহিত ই-মেল, ওয়েবসাইট এমনকী ফেসবুক অ্যাকাউন্টও যখন স্মরণ-সারণির প্রচ্ছদে মুদ্রিত করিতে হয় সে কালে কেবল পুরাতন প্রসঙ্গের বর্ষপূর্তির উপর ভরসা করিলে নবীনের স্ফূতির্র্ আসিবে কি? |
|
|
|
|
|