আয়লা অধ্যুষিত সুন্দরবনের রাস্তাঘাট আজও সংস্কার না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। দীর্ঘ দিন ধরে বাসন্তী ব্লকের রাস্তাঘাট সংস্কার না হওয়ায় বহু রাস্তাই খানাখন্দে ভরে গিয়ে, চলাচলের অযোগ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, জেলার অন্যতম পিছিয়ে পড়া ব্লক বাসন্তী। অথচ এই ব্লকের রাস্তাঘাটের উন্নয়ন বা সংস্কারের ব্যাপারে উদাসীন প্রশাসন। তাঁরা বলেন, ঝড়খালি সমবায় থেকে ত্রিদিবনগর যাওয়ার রাস্তা, বাসন্তী বাজার থেকে তেয়াড়পাড়ার রাস্তা, শিবদাসী প্রাইমারি স্কুল থেকে রানিগড় যতীশপুর হাইস্কুল যাওয়ার রাস্তা-সহ ব্লক এলাকার বিভিন্ন রাস্তা দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার না হওয়ার ফলে খানাখন্দে ভরে গিয়েছে। চলাচলের অযোগ্য এই সমস্ত রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে রীতিমতো সমস্যায় পড়ছেন বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রী থেকে পথচলতি সাধারণ মানুষ। তাঁরা আরও বলেন, এ ব্যাপারে এলাকার বিধায়ককে জানিয়েও কোনও কাজ হচ্ছে না। |
স্থানীয় বাসিন্দা সালাউদ্দিন মোল্লা, নকুল মাহাতো, বলাই রায়রা বলেন, “ক্যানিংয়ে গেলে দেখা যাচ্ছে, ক্যানিং ১ ব্লক এলাকায় ইটের রাস্তা থেকে কংক্রিটের রাস্তা হচ্ছে। সেখানে বাম আমলে আমাদের ব্লকে যেটুকু ইটের রাস্তা তৈরি হয়েছিল, তা-ও সংস্কারের অভাবে উঠে যাচ্ছে। কংক্রিটের রাস্তা তো দূরের কথা, সামান্য ইট ফেলেও রাস্তাগুলির সংস্কার হচ্ছে না।”
বাসন্তীর আরএসপি বিধায়ক সুভাষ নস্কর বলেন, “গত আর্থিক বছরে বাসন্তীর ব্লক এলাকায় বিভিন্ন রাস্তা তৈরি এবং সংস্কারের জন্য সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের কাছে প্রস্তাব জমা দিয়েছিলাম। কোনও অজ্ঞাতকারণে সেই প্রস্তাব আজও গৃহীত হল না, জানি না! এই আর্থিক বর্ষেও আবার আমি সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরার সঙ্গে দেখা করে রাস্তার প্রস্তাবগুলি জমা দিয়েছি। মন্টুবাবু আমার কথা মন দিয়ে শুনেছেন এবং রাস্তাগুলির যাতে সংস্কার হয়, তা তিনি আন্তরিক ভাবে চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন।”
সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা বলেন, “আমি মন্ত্রী হওয়ার পরে সুন্দরবন এলাকার বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলে কোথায় কী সমস্যা আছে তা জানার চেষ্টা করেছি। সুভাষবাবু আমাকে কিছু রাস্তার কথা বলেছেন। আমি সুন্দরবন এলাকার মানুষের সমস্যার কথা ভেবে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ওই সমস্ত রাস্তা তৈরি করব।” |