খেলা
জুনিয়রে জমজমাট
স্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগানের ডার্বি ম্যাচ নয়। মাঠে ছিলেন না ওডাফা, টোলগে, পেন বা চিডিরা। কিন্তু তাতে কী! চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দলের ছোটদের ফুটবলেও উত্তেজনার পারদ ছিল চড়া। ৭০ মিনিটের টানটান লড়াই শেষে টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হল ইস্টবেঙ্গল।
শৈলেন মান্নার স্মরণে আটটি দলের অনূর্ধ্ব ১৯ ফুটবলারদের নিয়ে সম্প্রতি এক টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছিল লেকটাউন মিলন সঙ্ঘ ক্লাব। প্রথম সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল ট্রাইবেকারে হারায় প্রয়াগ ইউনাইটেডকে।
অন্য সেমিফাইনালে আয়োজক ক্লাব মিলন সঙ্ঘকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে মোহনবাগান।
ফাইনালে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দু’টি দলই গোল করতে ব্যর্থ হয়। শেষে ট্রাইবেকারে ৫-৩ গোলে সবুজ-মেরুন দলকে হারিয়ে ট্রফি জিতে নেয় লাল-হলুদ দলের জুনিয়র ফুটবলারেরা। ফাইনালের সেরা ফুটবলারের পুরস্কার পান ইস্টবেঙ্গল দলের ডিফেন্ডার রাকেশ যাদব। সেরা গোলরক্ষক নির্বাচিত হন চ্যাম্পিয়ন দলের সন্তোষ ঠাকুর। টুর্নামেন্টের সেরা ফুটবলার ও সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পান মোহনবাগানের সুমিত সোরেন ও ইস্টবেঙ্গলের শুভঙ্কর সানা।
সপ্তাহব্যাপী এই টুর্নামেন্ট দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু মানুষ। বিশেষ করে ফ্ল্যাগ-সহ ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান ফ্যান ক্লাবের সদস্যদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ফাইনালের আগে প্রশান্ত সিংহ একাদশ বনাম সনৎ শেঠ একাদশের মধ্যে একটি প্রদর্শনী ম্যাচ হয়। মাঠে নামেন তরুণ দে, মইদুল ইসলাম, বিকাশ পাঁজি, তুষার রক্ষিত, বাসুদেব মণ্ডল, স্বপন দে, অলোক দাসের মতো অতীতের পরিচিত ফুটবলারেরা। ছিলেন বিধায়ক সুজিত বসু, স্থানীয় কাউন্সিলর দীপ্তি রায়, ফুটবলার সমরেশ চৌধুরী, ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, মেহতাব হোসেন প্রমুখ।
আয়োজক মিলন সঙ্ঘ ৪৪ বছরের পুরনো ক্লাব। গত বছরেই ক্লাবের মাঠে আলোর ব্যবস্থা করে দক্ষিণ দমদম পুরসভা। এই ক্লাবের কোচিং ক্যাম্পে বর্তমানে ৫০ জন খুদে ফুটবলার কোচ সমরেশ চৌধুরীর কাছে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। রয়েছে মাল্টিজিম, ক্রিকেট ও ক্যারাটে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও। ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সমীরণ চক্রবর্তী জানালেন, ফুটবলের মতোই আগামী বছরের শুরুতে অনূর্ধ্ব ১৭ বছরের ক্রিকেটারদের নিয়ে ক্রিকেট প্রতিযোগিতাও হবে।




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.