খোদ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধেই পুকুর ভরাটের অভিযোগ উঠল। তবে এ বার মাটি ফেলে পুকুর ভরাট নয়, পুকুরের উপরে পিলার দিয়ে বাড়ি তৈরির অভিযোগ। এমনই অভিযোগ উঠেছে মেদিনীপুর পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বেশ্বর নায়েকের বিরুদ্ধে। যদিও কাউন্সিলর ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “এ রকম কোনও ঘটনা ঘটেনি।” কিন্তু, পুকুরে বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করল কে? এর কোনও সদুত্তর মেলেনি। জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক অরিন্দম দত্ত বলেন, “এই ধরনের বেআইনি কাজ বরদাস্ত করা হবে না। যিনিই পুকুর বোজানোর চেষ্টা করবেন তাঁর বিরুদ্ধেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
এই পুকুর ঘিরেই বিতর্ক। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
মেদিনীপুর শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রধান রাস্তার ধারেই রয়েছে সাহেব পুকুর। বহু বছরের পুরনো এই পুকুরটি গ্রীষ্মে শুকিয়ে যায়। পুকুরের মধ্যে বাঁশ দিয়ে প্যাণ্ডেল করে বিভিন্ন পুজোও হয়েছে নানা সময়ে। হঠাৎ সেখানে সিমেন্ট দিয়ে পিলার তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুকুরে বাড়ি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর। ওখানে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র করবেন তিনি। বর্তমানে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি একটি ভাড়া বাড়িতে চলে। সেই বাড়িটির মালিকানা হস্তান্তর হয়ে গিয়েছে বলেও স্থানীয় সূত্রে খবর। কিন্তু স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি পুরসভার হওয়ায় তা সরাতে না পারলে বাড়ির দখল নেওয়া বা অন্য কিছু করাও কঠিন। জোর করে কিছু করতে গেলে ক্ষোভ দেখা দিতে পারে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কারণেই স্থানীয় কাউন্সিলরের সঙ্গে মালিকপক্ষ যোগাযোগ করে কিছু একটা বিহিত করার আবেদন জানিয়েছিলেন বাড়ির নতুন মালিক। কিন্তু স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি স্থানান্তরিত করার জায়গা খুঁজে না পেয়ে পুকুরের উপরেই তা করতে উদ্যোগী হন কাউন্সিলর। যেখানে পুকুর ভরাট নিয়ে এত কড়াকড়ি সেখানে খোদ কাউন্সিলর এ রকম কাজ করলে তা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। যদিও প্রশাসন এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। |