বাংলাদেশে বহুতল ভেঙে মৃত বেড়ে ৩১০ |
বাংলাদেশে সাভার বাসস্ট্যান্ডের কাছে বহুতল ভেঙে পড়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে তিনশো ছাড়িয়েছে। আহতের সংখ্যা প্রায় তিন হাজারের কাছাকাছি। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও দমকলকর্মীদের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় মানুষও জোরকদমে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে দেহ উদ্ধারের কাজে হাত লাগিয়েছেন। এরই মধ্যে স্বজনের খোঁজে ছবি হাতে অপেক্ষায় রয়েছেন বহু মানুষ। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, বহু মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়ে রয়েছেন। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের।
তবে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের হিসেব অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ৩১০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একই সময়ে ৩০০৫ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। স্বজনদের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে ২৮৮টি। তবে বৃহস্পতিবার রাত দেড়টা থেকে শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত উদ্ধারকারীরা ড্রিল মেশিন ও রড কাটার দিয়ে ভেঙে পড়া বহুতলটির ফাটল দিয়ে ঢুকে ৯২ জনকে উদ্ধার করেন। এর মধ্যে ৭২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকর্মীরা জানান, অনেকেই আটকে পড়ে রয়েছেন ধ্বংসস্তূপে। অনেকে বাঁচার জন্য আকুতিও জানাচ্ছেন। কিন্তু ভবনটি ধসে একতলার সঙ্গে মিশে যাওয়ায় ভিতরে প্রবেশের রাস্তাটিও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বিভিন্ন জায়গায় সুড়ঙ্গ কেটে কিংবা ফাঁকা জায়গা ধরে উদ্ধার কাজ এগিয়ে চলছে। তবে ভিতরে থাকা মৃতদেহে ইতিমধ্যেই পচন ধরায় দুর্গন্ধের কারণে উদ্ধারকাজ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই ঘটনার জন্য দায়ীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।
|
জেলে মার, সর্বজিৎ আইসিইউয়ে |
লাহৌরের কোট লাখপত জেলে ভারতীয় বন্দি সর্বজিৎ সিংহের উপরে হামলা চালাল পাঁচ কয়েদি। গুরুতর আহত সর্বজিৎকে জিন্না হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সরকারি ভাবে মুখ খোলেননি জেল কর্তৃপক্ষ। জেল সূত্রে খবর, শুক্রবার দুপুরের খাবার খাওয়ার সময়ে আচমকা সর্বজিতের উপরে হামলা চালায় ওই পাঁচ কয়েদি। তারাও ফাঁসির আসামি। অন্য একটি সূত্রের দাবি, সর্বজিতের সেল বদল করার সময়ে হামলা হয়। মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করা হয়। তাঁকে অন্যান্য জিনিসপত্রও ছুড়ে মারে ওই পাঁচ জন। কেন তাদের এই হামলা, তা স্পষ্ট নয়। পাক বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, এই ঘটনার যৌথ তদন্ত করছেন জেল কর্তৃপক্ষ, পঞ্জাব প্রদেশের স্বরাষ্ট্র দফতর ও অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা। হামলার কথা জেনেই বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভারতীয় হাইকমিশন। সর্বজিতের কাছে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে ভারতীয় কূটনীতিকদের। দু’জন কূটনীতিককে ইসলামাবাদ থেকে লাহৌর পাঠানোও হয়েছে। ১৯৯০-এ লাহৌর ও ফয়জলাবাদে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটানোর দায়ে মৃত্যুদণ্ড হয়েছে সর্বজিতের।
|
বস্টন বিমানবন্দরে হেনস্থা মন্ত্রীকে |
ফের আমেরিকার বিমানবন্দরে জিজ্ঞাসাবাদের নামে হেনস্থা হতে হল এক ভারতীয়কে। তাঁর নাম মহম্মদ আজমল খান। তিনি উত্তরপ্রদেশের নগরোন্নয়ন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী। আজমলের ব্যক্তিগত সচিব মুক্তিনাথ ঝা জানান, বস্টনের লোগন বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তারক্ষীরা মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের নাম করে ১ ঘণ্টারও বেশি সময় আটকে রাখে। শাহরুখ খান, ইরফান খান এবং প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আব্দুল কালাম আজাদকেও মার্কিন বিমানবন্দরে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। এ বছর কুম্ভ মেলায় লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থীদের কী ভাবে দক্ষতার সঙ্গে সামলানো হয়েছিল তা নিয়ে হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে বক্তৃতা দেওয়ার কথা আজমলের। বক্তৃতার পরে আরও দু’টি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু এই ঘটনার প্রতিবাদ করে আজমল তাঁর সফর কাটছাঁট করে ফিরে আসছেন। তিনি ওই দু’টি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না।
|
লাদাখে ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনা সেনার অনুপ্রবেশের ঘটনার গুরুত্ব কমাতে চাইল বেজিং। শুক্রবার চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনইং বলেছেন, “বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। কথাবার্তার মাধ্যমেই এই সমস্যা মিটিয়ে ফেলার ক্ষমতা দু’দেশের আছে।” তবে চিনা সেনা ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকেছে বলে এখনও মানতে রাজি নয় চিন। কিন্তু শুক্রবারই ভারত সরকার জানিয়েছে, লাদাখের দৌলত বেগ সেক্টরে ভারতীয় ভূখণ্ডে ১৯ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে এসে ঘাঁটি গেড়েছে চিনা সেনা। প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে এ কথা জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা সচিব শশীকান্ত শর্মা ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অন্য উচ্চপদস্থ অফিসাররা। শর্মা জানিয়েছেন, পরিস্থিতির উপরে নজর রাখতে সেনা পাঠিয়েছে ভারত। শর্মার জবাবে খুশি হয়নি কমিটি। |