ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে সর্বকালের সেরা ফিনিশার যে কে, সেটা আরও একবার বোঝা গেল। স্টেইন-গানও থামাতে পারল না ধোনির ব্যাটিং বিস্ফোরণকে।
মাঠের বাইরে ওয়াকার ইউনিসের মস্তিষ্ক। আর মাঠের ভিতরে ডেল স্টেইনের আক্রমণাত্মক বোলিং। কিন্তু কোনও কিছুতেই কাবু করা গেল না চেন্নাই সুপার কিংস অধিনায়ককে। সানরাইজার্সের ১৫৯ রানটা খারাপ ছিল না। কিন্তু স্টেইনকে সতেরোতম ওভারে পরপর দুটো ছক্কা হাঁকিয়ে ধোনি ভেঙে দিল ক্যামেরন হোয়াইটের দলের লড়াই করার মেরুদণ্ডটাই। মাত্র ৩৭ বলে মারকাটারি অপরাজিত ৬৭ রানের ইনিংস (সাতটা চার, চারটে ছয়) খেলে এক সময় কঠিন হয়ে যাওয়া জয়টাকেও সহজে পকেটে পুরে নিল মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। চেন্নাইয়ের এখন ৮ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট। একই জায়গায় আরসিবি। তবে নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় এক নম্বরে গেইলরা। |
শেষ দু’ ওভারে এসে চেন্নাইকে জিততে হলে বারো বলে করতে হত ২৮ রান। প্রত্যাশিত ভাবেই স্টেইনকে বল দিয়েছিল হোয়াইট। কোনও ভুল নেই। কিন্তু উলটো দিকে যে ধোনি! বিশ্বের সেরা ফাস্ট বোলার এ দিন বুঝে গেল ফিনিশার কাকে বলে। দ্বিতীয় বলে চার। তার ঠিক পরের বলটাই মাঠ পার করে দিল ধোনি। উঠল ১৩ রান। শেষ ওভারে রান বাকি ১৫। বল করতে এল আশিস রেড্ডি। তা স্টেইন যেখানে উড়ে গেল, এই ছেলেটা কী করবে? চার-ছক্কা মেরে দু’বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতিয়ে দিল ধোনি।
সানরাইজার্স ইনিংসে শিখর ধবনের ব্যাটিংটা দেখতে চাইছিলাম। ছেলেটা প্রায় দেড় মাস বাদে ফিরল। ফিরে শুধু হাফ সেঞ্চুরিই করল না, সাবলীল ভাবে ব্যাটটাও করে গেল।
এ দিন, সানরাইজার্স ডাগআউটে বসে থাকতে দেখছিলাম কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্তকে। চিকা আবার হায়দরাবাদের দল সানরাইজার্সের মেন্টর। আগের বছরই চেন্নাইয়ের হয়ে গলা ফাটিয়েছিল ও। চিকার ছেলে অনিরুদ্ধ আবার ধোনির দলের সদস্য। শ্রীকান্ত গত বার ধোনির ইনিংস দেখে লাফাত। আর এ বার সেই ধোনিই ওর মেজাজ খারাপ করে দিল। আসলে আইপিএল-এর মজা এটাই যে পেশাদার ক্রিকেটারের কাছে এখানে দাদা-ভাই, বাবা-ছেলে সব সম্পর্কই তুচ্ছ। তাই একই দিনে ছেলে হাসছে, বাবার মুখ গোমড়া। |