সারদা-কাণ্ডের জেরে প্রতিদিনই বিভিন্ন জেলার নানা প্রান্তে বিক্ষোভ-মিছিল চলছেই। অর্থলগ্নি করে এক দিকে যেমন আমানতকারীরা সমস্যায় পড়েছেন, তেমনই মারধর খাওয়ার আশঙ্কায় সারদা গোষ্ঠীর বহু এজেন্টও পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এই অচলাবস্থার মধ্যে দেখভালের অভাবে মরতে বসেছে সারদা গোষ্ঠীর বোলপুর লাগোয়া কোপাই টু-স্টার ভিলেজ রিসর্টে থাকা রাজহাঁস, কুকুর-সহ বিভিন্ন পশুপাখি। তাই অবিলম্বে ওই প্রাণীদের উদ্ধারের দাবি তুলেছেন এলাকার বাসিন্দা থেকে পশুপ্রেমী সকলেই। বোলপুরের মহকুমাশাসক প্রবালকান্তি মাইতি বলেন, “বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন এবং এলাকার পশুপ্রেমীদের সংগঠনের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
বোলপুর-সিউড়ি রাস্তার উপর পাড়ুই থানার কেন্দ্রডাঙালের কাছে ‘কোপাই টু-স্টার ভিলেজ রিসর্ট’ নামে সারদা গোষ্ঠীর একটি রিসর্ট গত তিন দিন ধরে ভিতর থেকে তালা বন্ধ হয়ে আছে। ওই রিসর্টের ম্যানেজার, কর্মী সকলেই গা ঢাকা দিয়েছেন। সেখানেই তালা বন্ধ অবস্থায় রয়েছে সাতটি রাজহাঁস, চারটি কুকুর ও কিছু বিদেশি পাখি। স্থানীয় বাসিন্দা শেখ হীরা, নুরুল ইসলামদের ক্ষোভ, “ওই রিসর্টে ২৪ ঘণ্টা আলো জ্বলছে। ঘরের ‘এসি’ চলছে। তিন দিন ধরে না খেতে পেয়ে রাজহাঁস, কুকুর ও পাখিগুলো মরতে বসেছে। প্রশাসন অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করে ওই সব প্রাণী উদ্ধার করুক।” ডিএফও কিশোর এস মাঁকড় বলেন, “সরকারি নিয়ম অনুসারে ওই পশুপাখিগুলি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও উদ্ধারের আওতাভুক্ত নয়। তবুও স্থানীয় পশুপ্রেমী ঊর্মিলা গঙ্গোপাধ্যায় সঙ্গে কথা বলে তাদের উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, নদিয়ার বাসিন্দা অপু দাস নামে ওই রিসর্টের ম্যানেজার দিন তিনেক আগেই পালিয়েছেন। তারপরেই ভিতর থেকে তালা লাগিয়ে দিয়ে রিসর্টের এক কর্মীও চম্পট দেন। ওই রিসর্টে এখন ২৪ ঘণ্টা আলো জ্বলছে। এমনকী একটি ঘরে এসিও চলছে। রিসর্টের প্রাণীগুলি না খেতে পেয়ে এ-দিক ও-দিক ঘুরে বেড়াচ্ছে। তালা বন্ধ থাকায় বেরনোর পথও পাচ্ছে না। ঊর্মিলাদেবী বলেন, “এই ভাবে কী করে ওই সব প্রাণীদের মরতে দেওয়া যায়! তাদের উদ্ধারের ব্যবস্থা করা উচিত। আমি বিভিন্ন স্তরে কথা বলে তাদের উদ্ধারের ব্যবস্থা করছি।” |