গতকাল ভোরে শিয়ালদহ স্টেশনে বনগাঁ-শিয়ালদহ লোকালে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের পরিচয় জানতে পারল রেলপুলিশ। রেলপুলিশ জানিয়েছে, নিহত যুবকের নাম অমিত রায়(১৯)। বাড়ি হাবরার বাণীপুরে। সে হাবরা স্টেশনে লেবুজল বিক্রি করত। অমিতকে খুন করা হয়েছে সন্দেহে এক মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ।
|
অমিত। |
আটক মহিলার বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালান স্থানীয় বাসিন্দারা।
জিআরপি শিয়ালদহের এসআরপি উৎপল নস্কর বলেন, “জিআরপি নিজেই একটি খুনেরা মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। নিহতের গলায় ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় অমিত বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। তারপর আর ফেরেনি। সংবাদপত্রে ট্রেনে মৃতদেহ উদ্ধারের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর অমিতের পরিবারের সদস্যরা হাবরা জিআরপিতে যোগাযোগ করেন। সেখান থেকে যান শিয়ালদহ জিআরপিতে। এরপর কলকাতার এনআরএস মর্গে গিয়ে পরিবারের লোকেরা মৃতদেহ শনাক্ত করেন। দিনকয়েক আগেই অমিত একটি মন্দিরে গিয়ে স্থানীয় তিন নম্বর রেলকলোনী এলাকার এক মেয়েকে বিয়ে করেছিল। |
কিন্তু অমিতের নববিবাহিত স্ত্রীর বাড়ির সদস্যরা এই বিয়ে মেনে নেননি। তারা অমিতের বাড়িতে চড়াও হয়ে মেয়েকে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। প্রাণনাশের হুমকিও দেয়।
অমিতের মা অনিমা দেবীর অভিযোগ, “যে মেয়েটিকে আমার ছেলে বিয়ে করেছিল তাদের বাড়ির সদস্যরাই পরিকল্পনা করে আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে।” বুধবার মেয়েটির বাড়িতে তদন্তে যায় রেলপুলিশ ও পুলিশ। আটক করা হয় মেয়েটির ঠাকুমাকে। পুলিশ চলে যাওয়ার পরই স্থানীয় বাসিন্দারা লাঠি, বাঁশ নিয়ে চড়াও হয় মেয়েটির বাড়িতে। চলে ব্যাপক ভাঙচুর।
মৃতকে আইএনটিইউসি কর্মী দাবি করে জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ সমাদ্দার বলেন, “বিয়ে মেনে নিতে না পারাতেই এই খুন। যার সঙ্গে অমিতের বিয়ে হয়েছিল তার এক কাকা অসামাজিক কাজে জড়িত। তার নেতৃত্বেই এই ঘটনা ঘটেছে।” এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “মানুষকে শান্ত থাকতে বলেছি। এই ঘটনায় যারা জড়িত সকলেই গ্রেফতার হবে।’’
|