অজানা জ্বরে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। আক্রান্ত তিন জন। বিষ্ণুপুর থানার নামো মাজুরিয়া গ্রামের এই ঘটনায় বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন। খবর পেয়ে মঙ্গলবার ওই গ্রামে চিকিৎসকদের দল যায়। স্বাস্থ্য দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম প্রশান্ত শিকারি (২০)। ধুম জ্বর নিয়ে তাঁকে সোমবার দুপুরে বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সে দিন দুপুরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার নতুন করে তিন জনের জ্বর বেড়ে যাওয়ায় গ্রামে রাখার ঝুঁকি না নিয়ে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় দুলাল সর্দারকে। বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে বুদ্ধদেব দিগার ও এক মহিলার। |
অসুস্থ গ্রামবাসী। —নিজস্ব চিত্র |
মৃত প্রশান্তের বাবা জনার্দন শিকারি বলেন, “ছেলেটা তিন দিন ধরে জ্বরে ভুগছিল। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসছিল। সোমবার দুপুরে বমি করায় আর বাড়িতে রাখার ঝুঁকি নিইনি। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও ওকে বাঁচানো গেল না।” গ্রামবাসীদের কাছে খবর পেয়ে বিষ্ণুপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার শুভজিৎ ঘোষের নেতৃত্বে ১০ জনের একটি চিকিৎসক দল এ দিন মাজুরিয়া গ্রামে যান। তাঁরা এক বাসিন্দার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন। শুভজিতবাবু বলেন, “২-৩ দিন ধরে জ্বর থাকলে কেউ রক্ত পরীক্ষা করাচ্ছেন না। বাড়াবাড়ি হলে তবে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে আমাদের কিছু করার সুযোগ কমে যায়। মৃত ব্যক্তির জ্বরের কারণ এখনও অজানা। অসুস্থদের রক্ত পরীক্ষার পরে জ্বরের কারণ হয়ত জানা যেতে পারে।” বিষ্ণুপুরের এসিএমওএইচ সুভাষচন্দ্র সাহা বলেন, “নজর রাখা হচ্ছে। চিকিৎসক দলের কাছে রিপোর্ট চেয়েছি।”
|
সচেতনতা শিবির
নিজস্ব সংবাদদাতা • জামুড়িয়া |
এড্স্ সচেতনতা শিবির আয়োজিত হল ইসিএলের সাতগ্রাম এরিয়া রিজিওনাল হাসপাতালে। হাসপাতালের সিএমও বি কে দত্ত প্রজেক্টরের মাধ্যমে এড্স্ সংক্রান্ত খুঁটিনাটি তথ্য নিয়ে আলোচনা করেন ওই শিবিরে। উপস্থিত ছিলেন এরিয়ার জিএম। |