বটানিক্যাল গার্ডেনকে বাঁচাতে এ বার কড়া পদক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্ট। আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ওই উদ্ভিদ উদ্যানের ভিতরের এবং বাইরের পরিবেশের উন্নতি করতে
আদালত এ বার কিছু ক্ষেত্রে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে।
মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের মুখ্য বিচারপতি অরুণকুমার মিশ্র ও জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ যে নির্দেশগুলি দিয়েছে তা হল, গার্ডেনের সীমানায় যে সব অবৈধ নিমাণ হয়েছে তা এক মাসের মধ্যে হাওড়া পুরসভাকে ভাঙতে হবে। যে সব নিকাশি নালা ও ভূগর্ভস্থ নালা দিয়ে নোংরা বর্জ্য গার্ডেনে ঢুকছে, তা এক মাসের মধ্যে বন্ধ করতে হবে। গার্ডেনের ভিতর বর্জ্য পরিষ্কার করবেন গার্ডেন কর্তৃপক্ষ এবং তা নিয়ে যাবে পুরসভা। গার্ডেনের পাঁচিলে যে সব গর্ত আছে তা সারাতে হবে। এক বছরের মধ্যে সমস্ত লেকের আগাছা ও কচুরিপানা পরিষ্কার করে পলি তুলতে
হবে। লেকগুলিতে মাছের চাষ করতে হবে। |
সবুজের স্বার্থে
বটানিক্যাল রক্ষায় এ বার উদ্যোগী খোদ হাইকোর্ট। |
আদালত নির্দেশ দিয়েছে, সাত দিনের মধ্যে সারাতে হবে দীর্ঘদিন ধরে খারাপ হয়ে পড়ে থাকা তিনটি ব্যাটারিচালিত গাড়ি। তিন সপ্তাহের মধ্যে গার্ডেনে পড়ে থাকা শুকনো পাতা সরাতে হবে। গার্ডেনের চারপাশ দিয়ে যাওয়া কাঁচা খালকে এক বছরের মধ্যে পরিষ্কার করে গঙ্গার জল ঢোকার ব্যবস্থা করতে হবে। আইজি দক্ষিণবঙ্গ এবং হাওড়া পুলিশ কমিশনারকে গার্ডেনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির জন্য পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা করতে হবে। গার্ডেন লাগোয়া সরকারি আবাসন থেকে একটুও নোংরা জল গার্ডেনের ভিতরে চলে এলে এর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে, তা হাওড়া পুরসভাকে ঠিক করতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই নিয়ে পরের শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ৪ জুন। |