|
|
|
|
এগরা পুরসভায় বিড়ম্বনায় কংগ্রেস |
কর্মী নিয়োগে অস্বচ্ছতার অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
কর্মী নিয়োগ নিয়ে ফের বিতর্কে জড়ালেন এগরা পুরসভার পুরপ্রধান কংগ্রেসের স্বপন নায়ক। নিয়োগ বাতিল ও পুনরায় নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর দাবিতে জেলাশাসক, রাজ্য পুরদফতর, ও রাজ্য পুরমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন পুরসভার উপ পুরপ্রধান বীরেন নায়ক-সহ তৃণমূল কাউন্সিলররা। সঙ্গে তৃণমূল ও সিপিএম-এর অভিযোগ, পুরসভায় ১২ জন কর্মীকেও অর্থের বিনিময়ে এবং দলীয় আনুগত্যে অস্থায়ী ভাবে নিয়োগ করেছেন পুরপ্রধান। প্রসঙ্গত, কয়েকমাস আগে পুরসভার স্থায়ী পদে ২৮ জন কর্মীর নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে। রাজ্য সরকার সেই পরীক্ষা বাতিল করেছিল। এমন ভাবেই নানা ইস্যুতে বোর্ড পরিচালনায় বিড়ম্বনা বেড়েছে কংগ্রেসের।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এগরা শহরে যানজট সমস্যা সমাধানে শহরের নির্দিষ্ট চারটি বাসস্ট্যান্ডে আট জন গ্রিন পুলিশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ২০১২ সালের বোর্ড অফ কাউন্সিলের বৈঠকে। স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের ভিত্তিতে আবেদন করেন ৬৬ জন। গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর ইন্টারভিউতে উপস্থিত হন ৪৭ জন। অভিযোগ, ইন্টারভিউয়ের পর কম উচ্চতা ও পুর এলাকার বাইরের হওয়া সত্ত্বেও সম্প্রতি পুরপ্রধান ১২জনকে নিয়োগপত্র দেন। পুরসভার উপ পুরপ্রধান বীরেন নায়ক এবং কর্মপ্রাথী শুভদীপ পণ্ডাদের অভিযোগ, আবেদন পত্র না নিয়ে অস্বচ্ছ ভাবে নিয়োগ হয়েছে। পুরসভার এগ্জিকিউটিভ অফিসার শ্রীকুমার দেব সরকার বলেন, “কোনও সিলেকশন কমিটি গঠন করা হয়নি।” পুরসভার বিরোধী দলনেতা সুব্রত পণ্ডার অভিযোগ, “বোর্ডের সিদ্ধান্ত না মেনে এ ভাবে নিয়োগ করা যায় না।” তাঁর প্রশ্ন, “অর্থাভাবে পুরসভার উন্নয়ন যেখানে থমকে আছে, সেখানে নিজস্ব তহবিল থেকে টাকা দিয়ে অতিরিক্ত কর্মীর পারিশ্রমিক বহন করা হবে কেন?” এগরা থানার ওসি গণেশ বন্দ্যোপাধায় বলেন, “ইন্টারভিউ ঠিক ভাবে হয়নি। আমাদের কর্মপ্রার্থীদের মানদন্ডও জানানো হয়নি। তাই এ সব বৈধ বলে মনে হয় না।”
তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মামুদ হোসেন বলেন, “গোটা বিষয়টি আমি পুরমন্ত্রী ও রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে জানিয়েছি। পুরপ্রধান দলীয় স্বার্থে একের পর এক নিয়োগে বেআইনি কাজ করেছেন। তাঁর পদত্যাগ করা উচিত। এ নিয়ে আমরা আন্দোলনেও নামব।” যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ গুরুত্ব দিতে নারাজ পুরপ্রধান স্বপন নায়ক। তিনি বলেন, “চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ করা হয়েছে। এটা সরকারি ব্যাপার নয়। এই ভাবে নিয়োগের ক্ষমতা আমার আছে।” |
|
|
|
|
|