কোরিয়ার সোয়াইন ফ্লু টিকা বন্ধের নির্দেশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
গান, ভিডিও, সিনেমার পরে এ বার ওষুধের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে টিকার ক্ষেত্রেও উত্তর-পূর্বে ঢুকে পড়েছে দক্ষিণ কোরিয়া! মণিপুর, মিজোরামে কোরিয়ায় তৈরি মিউজিক ভিডিও, সিনেমা, টিভি সিরিয়াল তুমুল জনপ্রিয়। কিন্তু কোরিয়ার টিকা ব্যবহার করতে গিয়েই বিপত্তি। কোরিয়ার টিকা ‘হজম’ হয়নি ভারতীয় শূকরদের। টিকাকরণের পরেই মারা গিয়েছে বেশ কিছু শূকর। কোরিয়ার টিকা নেওয়া শূকররা ক্ষুধামান্দ্য, কাঁপুনি, আমাশার শিকার হয়। অন্য ওষুধেও রোগ বা জ্বর সারানো যাচ্ছে না। রাজ্য সরকার, খামার মালিকদের কোরিয়ার টিকা বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে। গত মাসেই মণিপুর ও মিজোরামে সোয়াইন ফ্লু ছড়িয়ে পড়ে। সংক্রমণের খবর সরকারিভাবে স্বীকারও করা হয়। মণিপুর ও মিজোরাম থেকে শূকর আমদানি ও রফতানির উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। শূকর বাঁচাতে মণিপুরের খামার মালিকরা কোরিয়ায় তৈরি সোয়াইন ফ্লু-র টিকা ব্যবহার শুরু করে। এর পরে দেখা যাচ্ছে, কোরিয়ার টিকা নেওয়া খামারের শূকররা মারা যাচ্ছে। টিকা না নেওয়া শূকররা রোগাক্রান্ত হলেও বেঁচে থাকছে। রাজ্য প্রাণীসম্পদবিভাগের বিজ্ঞানীরা মৃত শূকরদের নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছেন। সেই নমুনা পরীক্ষার জন্য গুয়াহাটি পাঠানো হয়। রোগের প্রকৃতি ও মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ভারতীয় টিকা ও কোরিয়ার টিকার মধ্যে রাসায়নিক পার্থক্য রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
|
শুশুকের দেহ
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
নদী থেকে মিলল বিপন্ন এক গাঙ্গেয় শুশুকের মৃতদেহ। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে কামরূপের কুকুরমারা গ্রামে। আজ নদীর পাড়ে মৃত শুশুকটির দেহ মেলে। কী ভাবে শুশুকটির মৃত্যু হল তা নিশ্চিত নয়। আইইউসিএন-এর লাল তালিকাভুক্ত এই শুশুকের সংখ্যা ক্রমহ্রাসমান। এখন ব্রহ্মপুত্র ও তার উপনদীগুলি মিলিয়ে প্রায় তিনশো শুশুক অসমে রয়েছে। কুকুরমারার কলসী নদীতে এই ধরণের বেশ কিছু শুশুকের বাস।
|
ছবি: পূর্ণিমা দেবী বর্মন। |
বাসা থেকে পড়ে জখম হয়েছিল বিপন্ন প্রজাতির এই হাড়গিলা শাবকটি। সাড়ে তিন মাস বয়সী শাবকটিকে দদরা গ্রাম থেকে উদ্ধার করে চিড়িয়াখানায় নিয়ে আসা হয়েছে। চিকিত্সকরা তার ভাঙা পা জোড়া লাগাবার চেষ্টা করছেন। বিশ্বে এই পাখির সংখ্যা এখন হাজারেরও কম। এর মধ্যে অসমেই রয়েছে অন্তত ৮০০ হাড়গিলা। এদের সবচেয়ে বড় বসতি কামরূপের দদরা গ্রাম।
|
কাজিরাঙার লাগোয়া নুমালিগড় থেকে আজ একটি হরিণের দেহাংশ উদ্ধার হয়। কাজিরাঙার অন্য পাশে, শোণিতপুরের সুতিয়া থেকে মেলে একটি হাতির মৃতদেহ।
|