৪ মে পর্যন্ত জেলে মনোজ |
ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছে গুড়িয়া |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
গুড়িয়ার শারীরিক অবস্থার ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। তবে এখনও কমপক্ষে দু’সপ্তাহ হাসপাতালে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন এইমসের চিকিৎসকরা। আজ এইমসের মেডিক্যাল সুপারিন্টেনডেন্ট ডি কে শর্মা বলেন, “আমরা মেয়েটির শরীরে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি। তার অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তার জ্ঞান রয়েছে এবং সে বাবা-মা ও ডাক্তার-নার্সদের সঙ্গে কথা বলছে।” গুড়িয়া বিপদসীমার বাইরে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পাঁচ বছরের গুড়িয়াকে নির্যাতনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মনোজ কুমারকে কাল বিহারের মুজফ্ফরপুর থেকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। আজ দিল্লির এক কোর্টে তাঁকে তোলা হয়। ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জয় কুমার তাঁকে ৪ মে পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠান। জেলে তাঁর শনাক্তকরণ প্যারেড হবে। এই জঘন্য অপরাধের জন্য মনোজের ফাঁসির দাবি করেছেন তাঁর শাশুড়িও।
তবে এই ঘটনায় শুধু মনোজ নয়, আরও এক জন জড়িত বলে জানা গিয়েছে। তাঁর খোঁজেও তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। এ দিন শোনা যায় এই ঘটনায় জড়িত আর এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র রাজন ভগত জানান, আর কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি। জনগণকে এই ধরনের গুজবে কান না দেওয়ার আবেদন করেছেন তিনি। |
 |
দিল্লি গণধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে আম-আদমি
পার্টির সমর্থকদের বিক্ষোভ। নয়াদিল্লিতে রবিবার। ছবি: রয়টার্স
|
তবে মূল অভিযুক্ত মনোজের গ্রেফতারও সাধারণ মানুষের ক্ষোভকে স্তিমিত করতে পারেনি। এ দিনও সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ আছড়ে পড়ে রাজধানীর রাজপথে। পুলিশ কমিশনার নীরজ কুমারের পদত্যাগের দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা। কে ছিলেন না সেই বিক্ষোভে। রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী, ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, সামিল হন বিক্ষোভে। পুলিশের সদর দফতর, এইমসের পাশাপাশি বিক্ষোভ পৌঁছে যায় প্রধানমন্ত্রী এবং সনিয়ার বাসভবনের সামনেও।
এইমসে যখন গুড়িয়ার চিকিৎসা চলছে, বাইরে তখন পোস্টার-ফেস্টুন নিয়ে হাজির হন বিক্ষোভকারীরা। স্লোগান ওঠে ‘এনাফ ইজ এনাফ।’ দিল্লি পুলিশের সদর দফতরের সামনে জড়ো হয়ে কমিশনার নীরজ কুমারের পদত্যাগ দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা। পোড়ানো হয় নীরজ কুমারের কুশপুতুল। বিজেপি-র মহিলা মোর্চার কর্মী-সমর্থকেরা ব্যারিকেড ভেঙে সনিয়া গাঁধীর বাসভবনের দিকে এগোনোর চেষ্টা করেন। পুলিশ তাঁদের আটক করে। পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। বিক্ষোভ হয় ৭ রেসকোর্স রোডে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির সামনেও। সন্ধেবেলায় আদ-আদমি পার্টির কর্মী-সমর্থকেরা সেখানে ধর্নায় বসেন। বিক্ষোভের জেরে বন্ধ করে দিতে
হয় দিল্লি মেট্রোও। জেএনইউ-র পড়ুয়ারা মিছিল করে যান ইন্ডিয়া গেটের কাছে। বিক্ষোভ হয় পাটিয়ালা কোর্ট চত্বরেও। |
|