|
|
|
|
|
|
|
নজরদার |
|
বসন্তের দূত |
শীতের আমেজ থাকতে থাকতেই দখিনা বাতাসে বসন্তের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে বসন্তের দূতের ডাক। খুব ভোর থেকেই ডাক শুনতে পাই। কোথা থেকে ডাকছে দেখতে গিয়ে দেখি পাশের জঙ্গলে বিরাট আমগাছের পাতা ও মুকুলের মাঝে দু’টি জবা ফুলের মতো টকটকে লাল রঙের চোখ। আর কালো শরীরটার ওপর রোদ পড়ে চকচক করছে। তার পাশে বসে আছে ধূসর রঙের আর একটি পাখি, যার সারা গায়ে সাদা ছিটে দাগ এবং কালো পাখিটার থেকে আকারে ছোট। অনেকক্ষণ দেখার পর হঠাৎ কালো পাখিটির ঠোঁট নড়ল, অমনি শুনতে পেলাম মিষ্টি কুহু-কুহু ডাক, কয়েক বার ডাকার পর থেমে গেল। তার পর ধূসর রঙের পাখিটির ঠোঁট নড়ল। শুনতে পেলাম কর্কশ কুহু-কুহু ডাক। ওই পাখিটিও কয়েক বার ডাকার পর থেমে গেল। তার পর দু’জনে চুপচাপ অনেকক্ষণ বসল। হঠাৎ দু’জনে ফুড়ুৎ করে কোথায় উড়ে গেল! অনেক লক্ষ করলাম, কিন্তু ওদের বাসা দেখতে পেলাম না। বুঝলাম, ওরা কোকিল-কোকিলা। জঙ্গলে জংলা গাছে অনেক পাকা ফল, তাই ওরা বার বার ওই গাছে আসে পাকা ফল খাওয়ার জন্য। জানি না, বসন্ত চলে গেলে ওরা কোন দেশের অতিথি হবে।
অর্ণব চোংদার। পঞ্চম শ্রেণি, বরানগর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম উচ্চ বিদ্যালয় |
|
পিঁপড়েটা সেই পালাল |
খাটে পড়ছিলাম। হঠাৎ দেখলাম বইয়ের অক্ষরগুলোর মধ্যে দিয়ে একটা লাল ডেঁয়ো পিঁপড়ে ক্রমশ বই, খাটের বাজু পেরিয়ে নেমে যাচ্ছে মেঝেতে। আটকানোর জন্য ডেঁয়োর চার দিকে পাঞ্জার বেড়া দিলাম। যেখানে বসেছিলাম তার পাশেই আলমারি ছিল। ডেঁয়োটা এতটুকু ঘাবড়াল না। খুঁজতে থাকল বেড়ার ফাঁক। অবশেষে খুঁজে পেল। জোড়া পাঞ্জার মাঝের ফাঁক গলে চলতে লাগল। যে রাস্তা তার চেনা নেই সেটাও তার কাছে চেনা হয়ে গেল। বুদ্ধিমান ডেঁয়ো আসলে মানুষের মতো শুধু বুদ্ধি ধরে না, সাহসও ধরে।
ঋতঋক ভট্টাচার্য। চতুর্থ শ্রেণি, শিশু নিকেতন, সোনারপুর |
চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে
থাকা টিকটিকি,
পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা,
অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল
টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর রোজকার
জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও,
চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের। খামের উপরে লেখো: |
নজরদার,
রবিবারের আনন্দমেলা,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|
|
|
|