এ বার ব্যাঙ্ক, মিউচুয়াল ফান্ড গ্রাহকদের নতুন করে ভরতে হবে ‘কেওয়াইসি’ ফর্ম। নতুন ফর্মে জানাতে হবে গ্রাহক রাজনীতি করেন কি না। অথবা কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর আত্মীয়তা আছে কি না। এই তথ্য আগে জানাতে হত না।
ব্যাঙ্ক এবং মিউচুয়াল ফান্ডের গ্রাহকের নতুন করে পরিচয় জানার জন্য যে ‘নো ইওর কাস্টমার’ বা কেওআইসি বিধি সম্বলিত ফর্ম পূরণ করতে হবে, তাতেই গ্রাহকের রাজনৈতিক পরিচয় জানার ব্যবস্থা করা হয়ছে। এই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরুও হয়ে গিয়েছে।
কেন এই তথ্য এখন জানতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার? বিশেষজ্ঞদের মতে, কালো টাকায় রাশ টানার উদ্দেশ্যে ব্যাঙ্ক এবং মিউচুয়াল ফান্ড- সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে লগ্নির ব্যপারে সতর্কতা অবলম্বনের জন্যই এই ব্যবস্থা কেন্দ্রীয় সরকারের। সরকার চায়, ব্যাঙ্ক এবং মিউচুয়াল ফান্ড ইত্যাদি আর্থিক সংস্থা জেনে রাখুক, তাদের গ্রাহকরা কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত কি না। অথবা কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে কি না।
অ্যাসোসিয়েশন অফ মিউচুয়াল ফান্ডস অফ ইন্ডিয়ার এক কর্তা জানান, এটা করা হচ্ছে ‘ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট’ বা এফআইইউ-এর নির্দেশক্রমে। এফআইইউ কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের আওতায় থাকা একটি দফতর। ওই কর্তা বলেন, “এটি কালো টাকা সাদা করার প্রক্রিয়াকে জোরদার করার জন্য একটি ব্যবস্থা।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কোব্রা ডট কম নামক একটি ওয়েবসাইটে দেখানো হয়ছে যে, রাজনৈতিক নেতাদের টাকা কালো করার পথ বাতলে দিচ্ছেন কিছু ব্যাঙ্ক অফিসার। তার পর থেকেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
|
পঞ্জাবের বাজারে রাজ্যের আলু
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এ রাজ্যের আলু পাড়ি দিল পঞ্জাবের বাজারে। পশ্চিমবঙ্গের আলু ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যেই দু’হাজার টন আলু পঞ্জাবে পাঠিয়েছেন বলে মহাকরণে জানান কৃষি বিপণনমন্ত্রী অরূপ রায়। আগামী সপ্তাহে আরও দু’হাজার টন আলু পঞ্জাবে পাঠানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। এ বছর আলু উৎপাদনে দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ প্রথম স্থান পেয়েছে বলে অরূপবাবু দাবি করেন। তিনি জানান, চলতি বছরে এ রাজ্যে এক কোটি টন আলু উৎপাদন হয়েছে। গত বছরের থেকে যা চার লক্ষ টন বেশি। এ রাজ্যের বাজারে বছরে ৬০ লক্ষ টন আলু লাগে। উদ্বৃত্ত আলু অন্য রাজ্যে বিক্রি করা হচ্ছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। উৎপাদন বাড়লেও রাজ্যে আলুর দাম কমার কোনও সম্ভাবনা এখনই নেই বলে কৃষি বিপণনমন্ত্রী জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “বাজারে এখন যে-দরে আলু বিক্রি হচ্ছে, ব্যবসায়ীরা তার চেয়ে কম দামে তা বিক্রি করলে আলুচাষিরা ন্যায্য দাম পাবেন না।” |