গায়ক জুবিনের বিরুদ্ধে খোদ পরেশ বরুয়া মুখ খোলায় ‘সঙ্গীত বনাম সন্ত্রাস’-এর লড়াই আরও তিক্ত হল। রঙালী বিহুতে পরেশ বরুয়ার জারি করা নিষেধাজ্ঞা নস্যাৎ করে হিন্দি গান পরিবেশন করে যাচ্ছেন জুবিন গর্গ। পাশে পেয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ ও অন্য শিল্পীদেরও। জুবিনের ঔদ্ধত্যকে নিন্দা করে কড়া শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছে আলফা। কিন্তু তাতেও জুবিন দমেনি। এর পরেই আজ পরেশ বরুয়া সংবাদমাধ্যমে ফোন করে জুবিনকে হুমকি দিলেন।
পরেশের বক্তব্য, “জুবিন সত্যিকারের অসমপ্রেমী ও সঙ্গীতশিল্পী হলে আমাদের আবেদনের বিরোধিতা করত না। আমরা অসমীয় সংস্কৃতিকে রক্ষা করার জন্য বিহুতে হিন্দি গান বর্জন করার আবেদন জানিয়েছিলাম। কিন্তু জুবিন দুর্বিনীত ভাবে সেই অভিযোগ উড়িয়ে হিন্দিকে ‘রাষ্ট্রভাষা’ হিসাবে প্রচার করে যাচ্ছে। হিন্দি গানও গাইছে।” পরেশ হুমকি দিয়েছেন, “জুবিনের স্পর্ধাকে ক্ষমা করা হবে না।”
তবে জয় বরুয়া, অঙ্গরাগ মহন্ত, জুবিলি বরুয়ারা সাফ জানান, গায়কের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা অন্যায়। মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ বলেন, “প্রত্যেক শিল্পীর নিজের পছন্দমতো গান গাওয়ার অধিকার রয়েছে। ভূপেন হাজরিকাও বহু হিন্দি গান গাইতেন। ভারতের অন্যত্র কী অসমীয় গান গাইতে মানা করা হয়? তবে হুমকি সত্ত্বেও জুবিন হিন্দি গান গেয়েছেন ও দর্শকরা হিন্দি গান শুনতে চেয়েছেন। এই গাওয়া ও চাওয়া অত্যন্ত ইতিবাচক বার্তা বহন করছে। ”
বিহুতে গুয়াহাটির সর্বত্র অনুষ্ঠান করছেন জুবিন। সংগ্রামপন্থী আলফার ঘাঁটি উজানি অসমের তিনসুকিয়া, ডিব্রুগড়, শিবসাগরেও তাঁর অনুষ্ঠান রয়েছে। আলফার হুমকির জেরে, রাজ্য সরকার জুবিনের নিরাপত্তার জন্য একে-৪৭ ধারী দু’জন ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিশ প্রহরার ব্যবস্থা করেছে। যেখানে জুবিন গাইতে যাবেন, সেখানেও কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
এ দিকে, গত কাল পুলিশ ও আলফার মধ্যে সংঘর্ষে এক গ্রামবাসীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আজও তিনসুকিয়ার করদৈগুড়ি এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। আজ মরাণ ছাত্র সংগঠনের ডাকে ডিব্রুগড় বন্ধ পালিত হয়। ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যেই ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য। |