সোনামুখীতে তৃণমূলের আয়োজিত পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলনকে ঘিরে দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে উঠেছে। সোনামুখীর তৃণমূল নেতাদের একাংশের ক্ষোভ, তাঁদের দূরে সরিয়ে রেখে দলের বিধায়ক ও তাঁর অনুগামীরাই সমস্ত ব্যবস্থাপনা করছেন।
জেলা তৃণমূল সূত্রের খবর, সোনামুখীর বেশে গ্রামের ওই সভায় দলের সাংসদ তথা রাজ্য যুব তৃণমূল সভাপতি শুভেন্দু অধিকারীর থাকার কথা। রবিবার ওই সভা হবে বলে ইতিমধ্যে পোস্টারও পড়ে গিয়েছে। পরে দল সূত্রে জানানো হয়েছে, সভার দিন পরিবর্তন করে ২৫ এপ্রিল করা হয়েছে। ওই সভার আহ্বায়ক সোনামুখীর বিধায়ক দিপালি সাহা। তাঁর সঙ্গে সোনামুখী পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুরজিৎ মুখোপাধ্যায়ের বিরোধ সর্বজনবিদিত। ওই সভাকে ঘিরে সুরজিৎবাবুর সঙ্গে দিপালিদেবীর সংঘাত ফের প্রকাশ্যে এসেছে। সুরজিৎবাবুর অভিযোগ, “দীর্ঘ ১০ বছর যুব তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের দায়িত্বে রয়েছি। আমারই সংগঠনের রাজ্য সভাপতি এলাকায় আসছেন, আমাকেই তা জানানো হল না! সত্যিই অবাক হয়েছি। জেলা নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়েছি।”
তৃণমূলের সোনামুখী ব্লক সভাপতি অনিরুদ্ধ বন্দ্যোপাধ্যায়েরও ক্ষোভ, “দিপালিদেবীকে বিধানসভা নির্বাচনে জেতাতে আমরাই লড়াই করেছি। এখন তিনি দলের কর্তৃত্ব হাতে নিয়ে যা খুশি তাই করতে চাইছেন। দেখি আমাদের বাদ দিয়ে তিনি কোথা থেকে লোক জোগাড় করেন?” বেশে এলাকার তৃণমূলের ধনসিমলা পঞ্চায়েতের প্রধান গোপাল সাহাও বলেন, “দিপালিদেবী আমাকেও এ ব্যাপারে কিছুই জানাননি।”
যদিও বিধায়কের দাবি, “শুভেন্দুবাবুর আসার কথা সুরজিৎকে জানানো সত্ত্বেও তিনি কেন অস্বীকার করছেন জানি না। শুভেন্দুবাবুর অন্য কাজ পরে যাওয়ায় সভার দিন পরিবর্তনের কথাও তাঁকে জানিয়েছি।” তবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা জেলা নেতাদের কানেও পৌঁচেছে। দলের জেলা কমিটির চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেন, “এই সভা নিয়ে দলীয়স্তরে কেন এত ক্ষোভ তা খোঁজ নিয়ে দেখব।” দলের জেলা কো-চেয়ারম্যান অরূপ চক্রবতী বলেন, “স্থানীয় নেতা-কর্মীদের ক্ষোভ-বিক্ষোভের বিষয়টি নিয়ে জেলা কমিটির পরবর্তী বৈঠকে আলোচনা করা হবে।” |