চাক শাহজাদে নিজের খামারবাড়ি থেকে আজ সকালে গ্রেফতার করা হল ৬৯ বছরের দোর্দণ্ডপ্রতাপ প্রাক্তন পাক সেনানায়ক পারভেজ মুশারফকে। গতকাল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট গ্রেফতারির নির্দেশ দেওয়ার পরই কোর্ট চত্বর থেকে নাটকীয়ভাবে উধাও হয়ে গিয়ে তিনি আশ্রয় নেন ইসলামাবাদের উপকণ্ঠে নিজের খামারবাড়িতে। এরপরই খামারবাড়ি ঘিরে ফেলে পাক পুলিশবাহিনী। বেনজির ভুট্টো হত্যা মামলা, বালুচ নেতা নবাব আকবর বুগটি হত্যা মামলা, ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থায় প্রধান বিচারপতি মহম্মদ ইফতিকার চৌধুরী-সহ ৬০ জন বিচারক ও বিচারপতিকে আটক ও বরখাস্ত করা-সহ একাধিক মামলা চলছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এই মামলায় গত সপ্তাহে মুশারফ ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আত্মসমর্পন করলে হাইকোর্ট তাঁকে ৬ দিনের অন্তর্বতীকালীন জামিন দেয়। গতকালই ছিল এই জামিনের শেষ দিন। জামিনের সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি খারিজ করে দিয়ে তাঁকে গ্রেফতারির নির্দেশ দেন বিচারপতি। এরপরই নিজের ব্যক্তিগত কম্যান্ডোদের সহায়তায় কালো কাচে ঢাকা এসইউভি গাড়ি করে উধাও হয়ে যান তিনি। তাঁকে ২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তানের একটি আদালত। |
কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টনীতে পাক সেনানায়ক। ছবি: এপি |
তবে ভোটযুদ্ধে তার অবস্থান নিয়ে চাপানউতোর চলছে। আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে ইসলামাবাদ, করাচি, চিত্রাল ও কাসুর এই চারটি উপনির্বাচন কেন্দ্রে মনোনয়নপত্রে পেশ করেছিলেন মুশারফ। সেই মনোনয়নপত্রের বৈধতা নিয়েও মামলা চলছে কোর্টে। অন্যান্য পাক সেনানায়কদের মতই মুশারফের অন্তিম পরিণতি নিয়ে তাই প্রশ্নচিহ্ন থেকেই যাচ্ছে।
|
বেহালা থেকে আজ সকালে দু’জন মাওবাদীকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। ধৃতরা হল সব্যসাচী ওরফে কিশোর এবং জাকির। সব্যসাচী মাওবাদীদের রাজ্য কমিটির সদস্য ও জাকির শহর কমিটির সদস্য। এমনকি কিষেনজীর সঙ্গেও এদের ঘনিষ্ঠতা ছিল বলে জানা গিয়েছে। কলকাতা শহর ও শহরতলি এলাকায় মাও সংগঠন গড়ে তোলাই এদের উদ্দেশ্য ছিল বলে অনুমান পুলিশের। বহুদিন থেকেই ধৃতদের অনুসন্ধান চালাচ্ছিল এসটিএফের গোয়েন্দারা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আজ বেহালা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র ও বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে বাকি সদস্যদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
|