টুকরো খবর |
দাবি জলা সংস্কারের
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
জলাশয় সংস্কারের কাজ শুরু হয়নি। এ বারও বর্ষায় আলিপুরদুয়ার শহরের কয়েকটি ওয়ার্ড জলবন্দি হতে পারে এমনই আশঙ্কায় ভুগছেন বাসিন্দাদের একাংশ। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে তৃণমূল। পুর চেয়ারম্যান দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বর্ষায় যেন জল না-দাঁড়ায় সে জন্য বড় নালা ও জলাশয়গুলি পরিষ্কার করা চলছে। জলা সংস্কারে জন্য ১৪ কোটি টাকার একটি প্রকল্প কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদনও মিলেছে। টাকা পেলে ওই কাজ শুরু হবে।” পুরসভা সূত্রে জানা যায়, শহরের জলাশয় নিয়ে কলকাতার ইন্সিটিটিউট অফ এনভায়রমেন্টাল স্টাডি অ্যান্ড ওয়েট ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সমীক্ষা করে। ওই সংস্থার বিশেষজ্ঞরা জানান, শহরে ১৩ হেক্টর জলাভূমি রয়েছে। সেগুলি সংস্কার করা হলে জলধারণ ক্ষমতা অনেকটাই বাড়বে। তাই বর্ষায় বিভিন্ন ওয়ার্ডে জল দাঁড়ানোর সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে। জলাশয়গুলির সঙ্গে সংযোগকারী নালা ও ছোট সেতুর সংস্কার করা জরুরি। চারপাশে গাছ লাগানো এবং ইকো টুরিজমের ব্যবস্থা হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে গত ডিসেম্বরে কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকে একটি প্রকল্প জমা দেয় পুরসভা।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, শহরের ২০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪, ৮, ৯, ১৫, ১৬ এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতি বছর জল দাঁড়ায়। এ বার পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন। আলিপুরদুয়ার পুরসভার ১৭ নং ওয়ার্ড সিপিএমের কাউন্সিলর তথা পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী বীণা অধিকারী বলেন, “বর্ষা চলে এলেও শহরে জলাশয় সংস্কারের কাজ শুরু হয়নি। কয়েকটি ওয়ার্ড এ বারও জলে ভাসবে।” তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার শহর কমিটির সভাপতি আশিস দত্ত বলেন, “প্রতিবছর শহরের জলাশয় সংস্কারের নামে টাকা নয়ছয় হচ্ছে। বর্ষার আগে পুরসভার তরফে লোক দেখানো সংস্কারের কাজ হয়। দ্রুত ব্যবস্থার দাবিতে আন্দোলনে নামব।” |
কেঁচো সার তৈরির প্রশিক্ষণ মিশনের
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার হিসেবে কেঁচো সারের প্রয়োগ বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন। মিশনের উদ্যোগে এ নিয়ে যেমন প্রচার শুরু হয়েছে, তেমনই হাতেকলমে চাষ এবং ওই সার তৈরির প্রশিক্ষণও দফায় দফায় দেওয়া হচ্ছে চাষিদের।মিশনের পক্ষে প্রকল্পটির দায়িত্বে থাকা কৃষিবিজ্ঞানী গোপালচন্দ্র সেতুয়া জানান, কেঁচো সার প্রয়োগ করে রাসায়নিক সারের চেয়ে প্রায় ৩০ শতাংশ ফলন বেশি মেলে। তা ছাড়া, ফসলের বর্ণ, গন্ধ, স্বাদ এবং অন্যান্য গুণমানেরও উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব হয়। ইতিমধ্যেই তাঁদের ৭৫ বিঘা জমিতে ধান-সহ নানা সব্জি চাষ করে সাফল্য মিলেছে বলে মিশন কর্তৃপক্ষের দাবি। কামারপুকুর মঠে আটটি ‘চেম্বারে’ প্রতি দু’মাস অন্তর ১২ টন করে কেঁচো সার তৈরি হচ্ছে। দু’টি প্রজাতির কেঁচো ওই সার উৎপাদন করে চলেছে বলে গোপালবাবু জানান। কেঁচো সারের ব্যবহার নিয়ে কৃষি দফতরও প্রচার করছে। কিন্তু কী ভাবে ওই সার প্রয়োগ করতে হবে তা হাতে-কলমে না দেখানোয় চাষে অসুবিধা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মহকুমার অনেক চাষিই। তাঁরা বলছেন, কেঁচো সার প্রয়োগ করতে তাঁরা ভরসা পাচ্ছেন না। আরামবাগ মহকুমা কৃষি আধিকারিক অশ্বিনী কুম্ভকার বলেন, “মহকুমার সর্বত্র ওই সার হাতে-নাতে প্রয়োগ করে দেখানোর মতো পরিকাঠামো নেই। কিন্তু চাষিরা কেঁচোসার নিয়ে ক্রমশ উৎসাহী হচ্ছেন। এই সার উৎপাদনে সরকারি ঋণ ও অনুদানের ব্যবস্থা আছে।” |
খাল সংস্কারের কাজ শুরু আমতায়, স্বস্তিতে মানুষ
নিজস্ব সংবাদদাতা • আমতা |
শুরু হল ‘শর্টকাট চ্যানেল’ খাল সংস্কারের কাজ। দামোদরের বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য খালটি কাটা হয়েছিল ২০০০ সালের গোড়ার দিকে। জয়পুরের থলিয়ায় দামোদর থেকে বেরিয়ে বাকসির রূপনারায়ণ নদীতে এই খালটি এসে পড়েছে। ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই খালটি যোগ করেছে দামোদর ও রূপনারায়ণ এই দুই নদীকে। নিম্ন দামোদর নিকাশি প্রকল্পের অর্ন্তগত এই খালটিতে গত কয়েক বছর ধরে পলি জমে খালটির নাব্যতা কমে গিয়েছিল। আমতা এবং জয়পুর এলাকার বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে সেচ দফতরের কাছে খালটির সংস্কারের জন্য আবেদন করছিলেন। |
|
পলি সরানোর কাজ চলছে। ছবি: সুব্রত জানা। |
সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি ওই এলাকায় এলে তার কাছে বাসিন্দারা এই দাবি জানান। এরপর সেচ দফতর থেকে খাল সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেচমন্ত্রী বলেন, “স্থানীয় মানুষের আবেদনের ভিত্তিতে জরুরি ভাবে এই পরিকল্পনা করেছি। ৬ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ঠিকা সংস্থাকে বর্ষার আগেই কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে।” উল্লেখ্য, নিম্ন দামোদর নিকাশি প্রকল্পে শটকার্ট চ্যানেলের মাধ্যমে ডিভিসির ছাড়া জল দামোদর থেকে রূপনারায়ণে পড়ার কথা। কিন্তু খালটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় এর জলবহন ক্ষমতা কমে গিয়েছিল। তাই ডিভিসি জল ছাড়লেই প্লাবিত হয় আমতা ২ ব্লক ও উদয়নারায়ণপুরের বির্স্তীণ এলাকা। |
হাতির দাঁত উদ্ধারে ধৃতদের জেল হেফাজত
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
মঙ্গলবার কাদম্বিনী চা বাগান থেকে দুটি হাতির দাঁত উদ্ধারের ঘটনায় ধৃত দুই অভিযুক্তকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। বুধবার আলিপুরদুয়ার মহকুমার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতের বিচারক ওই নির্দেশ দেন। সরকারি আইনজীবী মহম্মদ রফি জানান, বিচারক চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য অভিযুক্ত বাবলু মুন্ডা ও মৃণাল ওঁরাওকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
জলদাপাড়ার সহকারি ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সন্তোষ জিয়ার জানান, অভিযানের সময় আরও দুই জন পালিয়ে গিয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ধৃতেরা দিন চারেক আগে মেন্দাবাড়ির এলাকার এক বাসিন্দার কাছ থেকে হাতির দাঁত দুটি পেয়েছিল। তার পরে সেগুলি বস্তার ভরে চা বাগানে নিয়ে আসেন। আরও পাঁচজন এই ঘটনায় জড়িত। তাদের ধরা গেলে ঘটনাটি আরও পরিস্কার হবে। |
সংরক্ষিত বন দখলের হুমকি
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
রীতিমত দিনক্ষণ ঘোষণা করে ফের সংরক্ষিত জঙ্গল দখল নেওয়ার কথা জানাল উত্তরবঙ্গ বনজন শ্রমজীবী মঞ্চ। বুধবার আলিপুরদুয়ারে সাংবাদিক বৈঠক করে অরণ্যের অধিকার আইনের স্বীকৃতির দাবিতে জঙ্গল দখল করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। সংগঠনের অভিযোগ, বনাধিকার আইন মানছে না বন দফতরে। এর বিরুদ্ধেই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। আগামী ২৫ এপ্রিল ডুয়ার্সের চিলাপাতা জঙ্গলে সাইনবোর্ড লাগিয়ে তা দখল করা হবে। জঙ্গল দখলের পর তা রক্ষনাবেক্ষণ করবেন বনবস্তিবাসীরা। সেখানেও বনকর্মীরাও গাছ কাটতে পারবেন না। তার পরে তরাই ডুয়ার্স ও পাহাড়ের বিভিন্ন বনবস্তির বাসিন্দারা একইভাবে জঙ্গল দখল করা হবে বলে সংগঠনর আহ্বায়ক লাল সিংহ ভুজেল জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৬ জানুয়ারি পটকা ফাটিয়ে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে কোদালবস্তির জঙ্গল দখল করেন বনবস্তিবাসীরা। পরে বন দফতরের তরফে সাইবোর্ড খুলে ফেলা হয়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়। |
ঘর ভেঙে চাল, আটা খেল হাতি
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
দু’টি পাঁচিল ভেঙে চা শ্রমিকদের রেশনের জন্য গুদামে রাখা চাল ও আটা খেয়ে জঙ্গলে ফিরে গেল দলছুট মাকনা হাতি। ফেরার সময় দুই শ্রমিকের ঘর ভেঙে দেয় বুনোটি। মঙ্গলবার রাতে কুমারগ্রামের জয়ন্তী চা বাগান এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জয়ন্তী জঙ্গল থেকে বুনোটি বের হয়ে ওই চা বাগানের ফ্যাক্টরি লাইনে হানা দেয়। সেখানে গুদামের দু’টি পাকা দেয়াল ভেঙে রেশনের জন্য রাখা পাঁচ বস্তা চাল ও তিন বস্তা আটা খেয়ে সাবার করে। জঙ্গলে ফিরে যাওয়ার সময় দুই শ্রমিকের ঘর ভেঙে লবণ ও চাল খায়। শ্রমিক ও বনকর্মীরা মশাল জ্বেলে পটকা ফাটিয়ে তাড়া করলে রাত দুটা নাগাদ মাকনাটি জঙ্গলে ফিরে যায়। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের (পূর্ব)বভাগের উপ ক্ষেত্র অধিকর্তা ভাষ্কর জেভি বলেন, “বুনোহাতির হানা রুখতে নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলিতে বিকল্প চাষে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া জঙ্গলে হাতির খাবার বাড়াতে চালতা, কাঁঠাল, বেত জাতীয় গাছ লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।” |
চিতাবাঘের সঙ্গে লড়ে রক্ষা
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
চা বাগানে চিতাবাঘের সঙ্গে লড়াই করে প্রাণে বাঁচল দুই কিশোর। বুধবার সন্ধ্যায় ডুয়ার্সের ওদলাবাড়ি লাগোয়া সোনালি চা বাগানে। বদুই কিশোর পাত্রাস ওঁরাও ও লুকাস ওঁরাও গরু আনতে চা বাগানের ৯নং সেকশনে যায়। সেখানেই আচমকা ঝোপের আড়াল থেকে পাত্রাসের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে চিতাবাঘটি। পরে লুকাসের ওপর লাফিয়ে পড়ে চিতাবাঘটি। মিনিট পাঁচেক দুজনের সঙ্গে চিতাবাঘটির হাতাহাতির পর জন্তুটি জোপে আড়ালে ফের পালিয়ে যায়। জখম দুই কিশোরকে মালবাজার মহকুমা হাসপাতালে আনা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জলপাইগুড়ি বন্যপ্রানী ২ বিভাগের ডিএফও সুমিতা ঘটক জানান। ওই বাগানে চিতাবাঘের গতিবিধি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। |
|