চৈত্রের শেষ সন্ধ্যায় বর্ষ বিদায়ে মাতল দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল। টলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রী থেকে গায়ক-গায়িকা, রীতিমতো তারার হাটের মধ্যে দিয়ে এল নতুন বছর।
একটি বেসরকারি টেলি পরিষেবা সংস্থার পক্ষ থেকে রবিবার রাতে সিটি সেন্টারের চতুরঙ্গ ময়দানে বঙ্গ উৎসব আয়োজিত হয়। ছিলেন বাপি লাহিড়ি, সাবিনা ইয়াসমিন থেকে চন্দ্রবিন্দুর উপল, সঙ্গীতশিল্পী সোমলতা আচার্য, অভিনেতা রুদ্রনীল-সহ বেশ কয়েকজন। বেশ কয়েকটি ধাপে প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে বর্ধমান, বোলপুর, আসানসোল ও দুর্গাপুরের স্থানীয় শিল্পীদের মধ্যে কয়েকজনকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। তাঁরাই এ দিন চতুরঙ্গ মাঠে অনুষ্ঠান করেন। ওই টেলি পরিষেবা সংস্থার কলকাতা ও রাজ্য সার্কেলের চিফ অপারেটিং অফিসার কেশব তিওয়ারি জানান, স্থানীয় শিল্পীদের প্রতিভা তুলে ধরতেই এই উদ্যোগ।
|
বঙ্গ উৎসবে এক মুহূর্ত। —নিজস্ব চিত্র। |
দুর্গাপুরকে বেছে নেওয়ার কারণ হিসাবে তিনি জানান, একেবারে শুরুর দিকে এই শহরেই পরিষেবা চালু করেছিল সংস্থাটি। তাই এখানেই বঙ্গ উৎসব আয়োজন করা হয়েছে।
এছাড়া একটি রিয়েল এস্টেট সংস্থার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রবিবারই দুর্গাপুরে এসেছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়। বছরের শেষ দিনে প্রিয় নায়ককে দেখতে পেয়ে খুশি ভক্তরা। জাতীয় সড়কের ধারের এক মাল্টিপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ শহরের ৮০ জন অনাথ শিশুকে তাদের রোজকার দিনের বাইরে একটু অন্যরকম অভিজ্ঞতা দিতে ‘পাতাল ঘর’ সিনেমাটি দেখানোর ব্যবস্থা করেন এ দিন। হাতে কর্নফ্লেক্সের প্যাকেট নিয়ে গুড্ডু, শ্রীমন্ত’রা বলে, “প্রথম বার হলে বসে সিনেমা দেখছি। কি মজা!” সত্যিই।
রোজ যাদের দিন কাটে হোটেল বা গ্যারাজে টুকটাক ফাইফরমাশ খেটে তাদের কাছে ঠান্ডায় বসে পপকর্ন হাতে সিনেমা দেখার চেয়ে ভাল নতুন বছরের শুরু আর কি হতে পারে। মাল্টিপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ জানান, এমন উদ্যোগে সামিল হতে পেরে তাঁরা খুশি। ভবিষ্যতেও এই ধরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন তাঁরা। |