চিকিৎসায় গাফিলতিতে এক কিশোরীর মৃত্যুর অভিযোগকে ঘিরে শনিবার সকালে উত্তেজনা ছড়াল কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালে। হাসপাতালের বহির্বিভাগের অনুসন্ধান বিভাগ-সহ একাধিক ঘরে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। ভাঙা হয় চেয়ার, টেবিল, জানালার কাঁচ। এমনকী কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীরাও হেনস্থার শিকার হন বলেও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার জেরে প্রায় এক ঘন্টা বর্হিবিভাগের পরিষেবা ব্যাহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের দাবিতে যুব কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা হাসপাতাল সুপারের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। |
ভাঙচুরের পর।—নিজস্ব চিত্র। |
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের খালাসিপট্টি এলাকার বাসিন্দা পনেরো বছরের জ্যোতি হরিজন শরীর ব্যথা ও ফোঁড়াজনিত সমস্যা নিয়ে শুক্রবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়। শনিবার সকালে সে মারা যায়। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে জ্যোতিকে ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। এর পরেই সে মারা যায়। শ্বাসকষ্ট হলেও নার্সদের ডেকে পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানায়, এরপরই হাসপাতালের বহির্বিভাগে ভাঙচুর শুরু হয়। কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেন, “চিকিৎসার গাফিলতি নিয়ে অভিযোগের বিষয়ে সিএমওএইচ-কে রিপোর্ট দিতে বলেছি।” পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল বলেন, “অভিযোগ পাওয়া গেলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” হাসপাতালের সুপার জয়দেব বর্মন বলেন, “পুলিশকে খবর দেওয়া হলেও প্রথমে হাতেগোনা কয়েকজন মাত্র কর্মী পাঠানো হয়। ওই সুযোগে ভাঙচুর চলে।” তিনি আরও বলেন, “ওই কিশোরীর রক্তাল্পতাজনিত সমস্যা ছাড়াও শ্বাসকষ্ট ছিল। রক্ত জোগারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তবু অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।”
|
ওষুধ পাচার, তদন্ত শুরু জলঙ্গিতে
নিজস্ব সংবাদদাতা • ডোমকল |
হাসপাতালের ওষুধ পাচারের অভিযোগে নাম জড়াল জলঙ্গির সাগরপাড়া হাসপাতালের এক চিকিৎসকের। শনিবার পুলিশ তাঁকে আটক করলেও অভিযোগ না হওয়ায় ছেড়ে দেয়। ডোমকলের এসিএমওএইচ সচিন্দ্রনাথ সরকার বলেন, “ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |