|
|
|
|
|
|
|
অভিধানে কত চাল |
বাংলা ডিকশনারিগুলো যা-তা। নতুন শব্দ ঢোকায় না, পুরনো
শব্দের নতুন মানেগুলো জানে না। কিছু সাজেশন। চন্দ্রিল ভট্টাচার্য |
শিট বাঙালির জাতীয় শব্দ। প্যান্টে গরম চা পড়ে গেলেও বলতে হয়, বাবা মারা গেলেও। এই শব্দ ধ্যাড়ানোকে গ্ল্যামারাস করেছে। যে বোলার উইকেট নিল, তার চেয়ে, যে বোলার ছক্কা খেয়ে খুব জোরে শিট বলে উঠল, সে অধিক স্মার্ট। অনেক সময় শিট ভুলে গেলে লোকে ‘ফাক’ বলে ওঠে। এতে বোঝা যায় সে আরও ঝকঝকে। কিংবা এমন বাঙাল যে ‘ফাঁক’ বলতে চেয়েছিল। কিন্তু তা হলে আগে ‘চিচিং’ বলেনি কেন, সে প্রশ্ন অমীমাংসিত রয়ে যায়।
ব্যোমকেশ যে গোয়েন্দাকে সকালে আবীর চট্টোপাধ্যায়, দুপুরে সুজয় ঘোষ, বিকেলে শুভ্রজিত্ দত্ত, সন্ধেয় রজিত কপূর ও রাত্রে উত্তমকুমারের মতো দেখতে।
রজনীকান্ত্ ১. সুপারশ্রেষ্ঠতম। যার ওপরে আর হয় না।
প্রয়োগ: তেন্ডুলকরের প্রতিভা রজনীকান্তীয়। মমতা ভাবছেন তিনি পশ্চিমবঙ্গে রজনীকান্তাবেন।
২. অব্যর্থ কৌতুক-মশলা। যে কোনও চুটকি আলুনি হলে যাঁকে জুড়ে দিতে হয়।
ট্র্যাফিক সিগনাল: গাঁতিয়ে রবীন্দ্রসংগীত বাজানোর যন্ত্র। মাঝে মাঝে আলোও জ্বলে।
পুলিশ: যে লোক কাজ না করলে বোঝা যায়, বিগড়োয়নি। কাজ করলে, ট্রান্সফার করে দিতে হয়।
সুনীল ১. গঙ্গোপাধ্যায়: যিনি মারা যাওয়ায়, কবিরা বুঝতেই পারছে না কার বাড়ি অ্যাটেন্ডেন্স দিলে প্রাইজ পাওয়া যাবে।
২. গাওস্কর: যাঁর ক্রিকেটদর্শনের সম্পূর্ণ উলটো-বিশ্বাসী মুগুরবাজ ছোঁড়ারা কোটি কোটি টাকা কামাচ্ছে আর তাঁকে তাদের প্রশংসা করে কমেন্ট্রি করতে হচ্ছে।
কুইজমাস্টার যা হতে গেলে একটুও কুইজ জানতে হয় না, অন্য ফিল্ডে খুব নাম করতে হয়।
ঝিলিক যে এক বার মা’কে খুঁজে পেলে, আর টিআরপি খুঁজে পাওয়া যাবে না।
লেফ্ট যারা আগে আমাদের লোক ছিল, এখন ছেড়ে চলে গেছে।
প্রসেনজিত্ যাঁর কাঁধের মাস্ল বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিশালী। একটি গোটা ইন্ডাস্ট্রি কাঁধে বয়ে চলেছেন, তবু মলম লাগাচ্ছেন না।
ধুতি অশ্লীল পোশাক। থাই-টাই সব দেখা যায়। আইটেম নাম্বারের উপযুক্ত। পয়লা বোশেখ ও বিয়ে-থা’র সময় অসভ্য প্রদর্শনকামীরা পরেন। রাজনীতিকদের পক্ষে বিপজ্জনক, বিশেষত যদি এসেফাই আশেপাশে থাকে।
|
|
|
ধাপা:
ধাপার মাঠে ফেলো লাশ |
সিঙ্গুর:
চারশো একর হাওয়ার চাষ |
|
এসেফাই: যে ছাত্র-সংগঠন ঝান্ডা ও ডান্ডার মধ্যে প্রিন্টিং মিসটেক করে ফেলেছে।
সন্ধে সাড়ে সাতটা উচ্চণ্ড কোঁদলের সময়। হয় ভিআইপি-রা কুত্সিত কুচুটে ভঙ্গিতে তড়পান ও পরস্পরকে অপমান করেন, নয় শাশুড়ি শালি দেওর ননদ কদর্য ভঙ্গিতে তড়পান ও নিরীহ মেয়েকে অপমান করেন। বাঙালি চ্যানেল খুলে অ্যায়সা হাঁ করে সেই বিতণ্ডা গেলে যে নিজেরা ঝগড়া করতে ভুলে যায়।
আইপিএল মদ ছাড়াও অন্য কেউ সাড়ম্বর সন্ধে-স্যাঙাত হতে পারে, তার প্রমাণ।
জাম্পিং ঝপাক ১. নেভিল কার্ডাস-কে গাঁট্টা মেরে যা বোঝায়: কোমর ফ্লেক্সিব্ল না হলে ক্রিকেট আত্মস্থ করা যায় না। ২. চিয়ারগার্লদের বন্ধু-মন্তর (‘শালা আমরা একা নেচেকুঁদে মাজা টনটনিয়ে মরব না কি?’)
এসএমএস যার মাধ্যমে যৌনতা বাঙালির সবচেয়ে পছন্দের। যাক বাবা, মজুর-খাটনিটা বেঁচে গেল!
ড্রামা শম্ভু-অজিতেশ-উত্পলের পর বাংলা থেকে যা হারিয়ে গেছিল বলে বিলাপ হত। এখন পরিবর্তনের দৌলতে প্রতি দিন নতুন শো, থত্থর ক্লাইম্যাক্স, ধুমাধাড় অ্যাকশন, গাঁউগাঁউ মড়াকান্না। কেউ কেউ অবশ্য এর জন্য শুধু তৃণমূলকে দায়ী করে লব্জ বানিয়েছেন: ড্রামা-ড্রামাটি-ড্রামানুষ।
তৃণমূল যে দলের তড়পানি দেখে তৃণ খুব লজ্জিত। অবশ্য বাম্বু-ও এক রকমের তৃণ, ভুললে চলবে কেন?
বস আগের অর্থ: ওপরওলা। এখন, নিচুওলাও।
প্রয়োগ: খুন তো তোমায় করবই বস, তার আগে চোখও উপড়ে নেব।
চাপ যা কক্ষনও নিতে নেই। চাপ যদি ‘হয়ে যায়’, তক্ষুনি তা অন্যের ঘাড়ে চালান করতে হয়, যেমন রোল খাওয়ার পর সসভর্তি হাত অন্যের জামায় মুছে নেওয়া নিয়ম।
বিন্দাসবাদের প্রধান নীতি: কাজ করো, দায়িত্ব নিয়ো না। মাথা আঁচড়াও, মাথা খাটিয়ো না।
স্মার্ট যুবসমাজ এই দুই ভাইকে কক্ষনও ব্রেনে ঢুকতে দেয় না: ভাবনা ও চাপ।
স্মার্ট যে চট করে অন্যকে অপমান করতে পারে।
যুবসমাজ যারা ‘বাবার নাম কী’ জানতেও এক বার চট করে গুগ্ল সার্চ দিয়ে নেয়।
ধর্ষণ যা সব সময়ই সাজানো। মেয়ে ও মিডিয়া দুই চরিত্রহীন পাবলিসিটি-ক্যাংলা মিলে তৈরি করে এই না-ঘটা কাণ্ডের রগরগে বিবরণ। প্রক্সিতে পর্নো প্রচার করে। সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ সাজানো ঘটনা দেখতে হলে বারাসত অঞ্চলে রাত্রে ঘোরাঘুরি বাঞ্ছনীয়।
এনআরবি প্রবাসী বাঙালি, যারা ছুটিতে এসে, ওয়েস্ট বেঙ্গলের কিস্যু হল না বলে চুকচুক করে অশ্রু ফ্যালে আর সাউথ সিটি-তে কিনে ফেলে রাখা ফ্ল্যাটটার দাম কত বাড়ল জেনে লাল ফ্যালে। |
|
|
এসেফাই:
ফেরাতে চাই গুন্ডারাজ |
পুলিশ:
করে চলি নিজের কাজ |
|
আমেরিকা বাঙালি প্লেনে চড়তে পাওয়ার আগে: যে দেশে মানুষে উড়তে পারে, আর মেয়েরা সব সময় সেক্সে সম্মত।
প্লেনে চড়তে পাওয়ার পরে: যেখানে খেয়ে উঠে নিজে বাসন মাজতে হয়। অনেক ভাল আছি ভাই, ডলার কামিয়ে কী লাভ, যদি মালতীর মা না আসে!
চিন যে ‘জাপানি তেল’ ছাড়া সবই বানিয়ে ফেলেছে। সূর্য বা চাঁদকে উলটে দেওয়া গেলে পেছনে ‘মেড ইন চায়না’ ছাপ্পা মিলতে পারে।
স্বর্ণযুগ যখন গানগুলো আর সিনেমাগুলো সত্যিই অত ভাল ছিল কি না তা অবান্তর, আমার যৌবন ছিল, আমি ভাল ছিলাম, তাই সব শিল্প ভাল লাগত।
মিস্কল নিকিরি-র ফোন-বিলাস। আদ্ধেক বঙ্গবাসীর ফোনে কক্ষনও ব্যালেন্স থাকে না, তাই সে কিছুতে জরুরি ফোন করতে পারে না। যদিও পয়সার শ্রাদ্ধ করে স্মার্টফোনটা সে কিনতে পারে, বা চারশো টাকায় বাসি আলুভাজা খেতে খেতে মিস্কল মারতে পারে। আসলে এটা একটা অভ্যাস, একটা সুবিধাবাদ, একটা দীন মনোবৃত্তির সূচক: ও শালা ফোন করুক, আমি পয়সাটুকু বাঁচিয়ে নিই। দরকার থাকবে আমার, আর ফোন করবে ওএই অভদ্র দাবি ও গাঁইয়া চাহিদার প্রতীক মিস্কল। মিস্ড কল অশু.
টুইটার যে দাবি করে, রবীন্দ্ররচনাবলিকে ১৪০ ক্যারেক্টারের মধ্যে নামাতে হবে।
ফেসবুক যে বলে: কেউ কেউ কবি নয়, সকলেই কবি।
দিদি The. The. অর্থাত্, ইনিই। একমাত্র।
রেড মিট যে অপূর্ব মাংস রান্নার সময় মশলার সঙ্গে ছেটানো হয় অপরাধবোধ।
জিম যেখানে নাম লিখিয়ে, টাকা জমা দিয়ে, বাড়িতে ভোঁসভোঁস ঘুমোলে, অনুতাপের চোটে চর্বি ঝরে যায়।
ভালমানুষ যার মাইনে আপনার চেয়ে কম।
পাহাড়ি যারা কেবলই গোর্খাল্যান্ড চায়। অবশ্য পরে ‘সান্যাল’ থাকলে একেবারেই ঝুটঝামেলায় বিশ্বাসী নয়।
দেব যিনি চাঁদের পাহাড়ে শঙ্কর, যুবভারতীতে বিবেকানন্দ, বিজয় দিবসে পাগলু। অর্থাত্ ধর্ম, জিরাফ, বিভূতিভূষণসর্বত্র পূজ্যতে। |
|
|
মোবাইল:
যে ক্যামেরায় কথাও বলে |
জীবন:
বিক্কিরি হয় শপিং মলে |
|
কাউ প্রাচীন বাংলায় অর্থ ছিল ‘গরু’। এখন, এমন গুন্ডা, যিনি ভাবেন, ধাপায় ঝামেলা পাকালে উত্তরপ্রদেশে পুলিশ পৌঁছবে না। অর্থভেদ বিষয়ে পণ্ডিতদের দ্বিধা আছে।
সেল যেখানে কম পয়সায় দিচ্ছে বলে বাঙালি ইগলু কিনতেও রাজি।
রেললাইন মোবাইল-কানে লোকের চলার পথ।
সিনেমা পরিচালনা যা সবাই করতে পারে। যে কেউ। এর জন্য চর্চা, শিক্ষা বা প্রতিভার দরকার নেই। শুধু প্রয়োজন এক জন রাজি প্রযোজক আর পাঁচ জন পাজি স্তাবক।
সিপিয়েম যারা কিছু দিন ক্ষমতায় নেই বলে কিছু লোকের হঠাত্ মনে হয়েছে তারা ছিল ভদ্র, সত্, সংস্কৃত ও সক্ষম। এতে বোঝা যায় পাবলিকের স্মৃতিশক্তি শিঙি মাছের মতন, যারা দ্বিতীয় বঁড়শি গিলেই প্রথমটার যন্ত্রণা ভুলে যায়।
পাবলিক যাদের জীবনে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন: পিঙ্কি প্রামাণিক ছেলে না মেয়ে।
চৌবাচ্চা চৌকস বাচ্চা। প্রাচীন প্রয়োগ। বর্তমান গ্যঁাড়াকল: রিয়েলিটি শো-তে যারা বড়দের নকল করে যৌন ইঙ্গিত ভর্তি নাচন লাগায় ও বাপ-মা তাই দেখে আনন্দাশ্রু টপায়।
অ্যাওয়ার্ড সেরিমনি যা ফি শনিবার লেগেই আছে। আজ গুটখা-কোম্পানি কাল শ্যাম্পু-সংস্থা ফুকারি উঠিছে: ইহাই সেরা সংস্কৃতি-শাবাশি। স্টেজে উদ্দাম আড়খ্যামটা ও গদগদে ভাঁড়-ঝামটা সেই সম্মান-সপসপে আবহাওয়া তৈরি করে। ঘুরিয়েফিরিয়ে দশ জন পুরস্কার পায় আর বাকি দশ জন এমন ফোর্সে তালি দেয়, রোববার হাত তুলতে পারে না।
সেরিমনি সঞ্চালিকা ক্লিভেজ না বাংলা উচ্চারণ, কোনটা বেশি বেসামাল রাখবেন ভাবতে যাঁর বেলা ফুরিয়ে যায়।
অ্যাপ্স অলৌকিক মুশকিল-আসান। ক’দিন পরেই রাস্তায় বেগ এলে ফোনের অ্যাপ্স থেকে কমোড বেরিয়ে আসবে।
পটি পায়খানা অ্যাফিডেভিট করে যে নাম নিয়েছে।
ল্যান্ডলাইন যে নিরুপা রায়ের চেয়েও বেশি কাঁদছে।
|
|
|
ফেসবুক:
ভার্চুয়াল বন্ধু প্রাণেশ্বর |
ইএমআই:
লোনে চড়ে মনের ঘর |
|
কম্বো অফার একটা ‘চাই’-এর সঙ্গে একটা ‘চাই না’ নিতেই হবে, এই অসহ্য আবদার। দরকার মিক্সি, কিন্তু ফ্রিজের সঙ্গে নিতে হবে মাইক্রোওয়েভ। যখন দরকার মাইক্রোওয়েভ, দেওয়া হচ্ছে ইস্তিরি।
পার্কিং যে আশ্চর্য ব্যবস্থায়, আপনার গাড়ি কোথায় রাখা আছে, অটো ধরে খুঁজতে যেতে হয়।
ইএমআই মধ্যবিত্তের দল-বদলের কাপ্তেন। আগে মধ্যবিত্ত নাক খুঁটতে খুঁটতে লটারির ফ্যান্টাসি রচত, এখন লোনের ইন্টারেস্ট কত নিচ্ছে ভাবতে ভাবতে ইন্টারেস্টিং জাত হয়ে উঠেছে। তার বাবা বাড়িওলার অপমান সয়েছেন কিন্তু ধার মাথায় নিয়ে ঘুমোতে যাননি। সে বাড়িওলাকে অ্যাভয়েড করেছে কিন্তু গলা অবধি ঋণে ডুবে গৃহপ্রবেশের পার্টি দিচ্ছে।
ঘাগু-বাঘু ডিসকভারি চ্যানেলের ক্যামেরা চলছে বুঝে, তবে যে-বাঘ শিকার ধরতে দৌড়য়।
টিভিজীবী সুমন দে প্রশ্ন করলে, তবে যিনি মুখ খোলেন। বউ কিছু জিজ্ঞেস করলে আদপে উত্তর দেন না। অবশ্য বউয়ের সঙ্গে দেখা হয় কোথায়। রোজ সন্ধেবেলা চ্যানেল ভিজিট দিতে হয়।
টিভি অ্যাংকর যে বেচারাদের গরমকালে কোট পরতে হয়, জঘন্য গান শুনে ‘অস্স্সাধারোওন!’ চিল্লাতে হয়, ফরসা মেক-আপ করতে এত ব্যস্ত থাকতে হয় যে সাক্ষাত্কারের আগে হোমওয়ার্কের একদম টাইম থাকে না।
রাজনীতিক এ যদি এক বার বলে ‘আমি মানুষের ভাল-র জন্যে রাজনীতি করি’, সঙ্গে সঙ্গে মীরাক্কেল-এর ফার্স্ট প্রাইজ বাড়ি বয়ে দিয়ে আসা হবে।
কমেডি শো-র জাজ পৃথিবীর সবচেয়ে উদ্ভট কাজ করে যে। টাকার বিনিময়ে জঘন্য চুটকিতে হেসে গড়িয়ে পড়ে।
ছুটি কাজের দিনের চেয়ে যার সংখ্যা সব সময় বেশি হওয়া উচিত। এতে কর্মীদের তুষ্টি বাড়ে, দুপুরে মাংস খেয়ে পুষ্টি বাড়ে। নতুন বাংলা ক্যালেন্ডারে লাল দাগ এত বেশি, কেউ কেউ সিপিয়েমের ক্যালেন্ডার ভেবে নিতে অস্বীকার করবেন।
কুল গরম। হট। যে স্টাইল বা যে ব্যক্তি এখন সবচেয়ে গনগনে।
আগুন যা লেগে বাড়ি বা বস্তি ভস্মীভূত হওয়ার খবর পড়ে, পুরসভা আর দমকলের বাপান্ত করে, ভাইপোর জন্যে দুটো ফুলঝুরির প্যাকেট নিয়ে বাসে উঠতে হয়।
শেয়ার আগে যাকে বাঙালি বলত, জুয়া। এখন পকেটে টাকা কচলায় আর বলে, জুয়া তো কেয়া হুয়া?
ফ্লাইওভার যে নিজের নামকে খুব সিরিয়াসলি নিয়ে নিলে, গাঁথনি ছেড়ে উড়ে যেতে চায়।
ট্যাবলেট ল্যাপটপ-নেটবুক’কে যে লাথিয়ে বাজার থেকে বের করে দিয়েছে কিন্তু অনেক বাঙালিই ওষুধের দোকানে ২৩৩ বার খোঁজ করেও যাকে পাচ্ছেন না।
ইন্ডিয়াবাজি যার বশে সাহেব-মেমরা ভারতে এসে হানিমুন মানান, হাতির পিঠে চেপে বাঁশঝাড়ের মাথায় চাঁদ দেখতে যান, ফোঁসফোঁস প্রাণায়ামের চোটে গোখরো সাপকে চমকে দেন, পাছায় ভুল বানানে দেবনাগরী ট্যাটু করান ও ‘এই ভিকিরিগুলোর ধর্ম খুব ডিপ’ বলে কেলোকুলো করতলে বখশিশ ছোড়েন।
ঝিংকু অনাথ অ্যাঞ্জেলিনা জোলি যাকে দত্তক নেন। বাপ-মা মরেছে: এই সৌভাগ্যের জন্য যে ভগবানকে রোজ পিত্জা ভোগ দেয়।
পেজ ওয়ান নিউজ পাতা জুড়ে যা জানায়: এই ফোনে কত ছাড়, এই সাবানে কত গ্লো।
2BHK ‘টু বি অর নট টু বি’-র চেয়ে অনেক প্যঁচালো প্রশ্ন।
মেট্রো মাত্র চার টাকায় আত্মহত্যা করা যায়, এমন সরকারি ব্যবস্থা।
পশ্চিমবঙ্গ যা পটল তুলেছে, কিন্তু গন্ডগোলের ভয়ে কেউ ডেথ সার্টিফিকেট লিখতে সাহস পাচ্ছে না। |
ছবি: সুমন চৌধুরী |
|
|
|
|
|