টুকরো খবর |
লালগড়ে অস্ত্র উদ্ধার
নিজস্ব সংবাদদাতা • লালগড় |
|
উদ্ধার হওয়া অস্ত্র। —নিজস্ব চিত্র। |
ফের মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হল অস্ত্র। বিনপুর ১ (লালগড়) ব্লকের শনিবার বেলাটিকরি অঞ্চলের নেড়া গ্রামে যৌথবাহিনীর তল্লাশিতে উদ্ধার হয় ১০টি বন্দুক-রাইফেল। ঘটনাচক্রে ওই গ্রামেই বাড়ি সিপিএম জোনাল কমিটির সদস্য শেখ খলিলউদ্দিনের। পুলিশের দাবি, নেতাই কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত ওই নেতা দীর্ঘ দিন ধরে ফেরার।স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যৌথবাহিনীর কাছে খবর পৌঁছয় গ্রামের ক্যানালের পাড়ে অস্ত্র পোঁতা রয়েছে। সেই অনুযায়ী শনিবার সকালে মেশিন দিয়ে ক্যানাল পাড়ের পাশে মাটি খোঁড়া হয়। উদ্ধার হয় ১০টি বন্দুক-রাইফেল। তৃণমূলের অভিযোগ, অস্ত্রগুলি সিপিএমের সশস্ত্র বাহিনীর। অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিএমের দাবি, এ সব ষড়যন্ত্র। এলাকাটি একসময় মাওবাদী উপদ্রুত ছিল। সেখান থেকেই ওই অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ দিনই লালগড়েরই তামুজানা গ্রামেও সিআইএফ-এর এক দেশি পিস্তল ও এক রাউন্ড কার্তুজও উদ্ধার হয়েছে।গত মার্চে মেদিনীপুর সদর ব্লকের এনায়েতপুর থেকেও মাটি খুঁড়ে ৭০টি বন্দুক-রাইফেল উদ্ধার করেছিল যৌথবাহিনী। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
|
পুলিশের ভ্যানে আগুন
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
একটি দুর্ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা থানার কৌরদায়। দুর্ঘটনার পরে ক্ষিপ্ত জনতা পুলিশের দু’টি গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। একটিতে আগুনও লাগিয়ে দেয়। বেধড়ক মারধর করা হয় সাত পুলিশকর্মীকেও।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যায় এগরা-খড়্গপুর রাস্তায়, কৌরদায় একটি ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তাতে তিন জন গুরুতর জখম হয়ে এগরা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই রাস্তায় পুলিশ প্রায়ই তোলা তোলে। এ দিনও সেই তোলা দেওয়া এড়াতে ওই দুটি গাড়ি গতি বাড়ালে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বলে বাসিন্দাদের দাবি। এর জেরেই উত্তেজিত জনতা পুলিশের দু’টি গাড়িতে ভাঙচুর চালায়, আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হননি।
|
প্রাক্তন মন্ত্রী প্রয়াত
সংবাদসংস্থা • এগরা |
কামাখ্যানন্দন
দাস মহাপাত্র |
মারা গেলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কামাখ্যানন্দন দাস মহাপাত্র (৭৬)। তাঁর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর থানা এলাকার পঁচেট গ্রামে। ছাত্রাবস্থা থেকেই সিপিআই-এর সঙ্গে যুক্ত। আমৃত্যু সিপিআইয়ের রাজ্য কন্ট্রোল কমিশনের সদস্য ছিলেন। তাঁর দুই মেয়ে ও স্ত্রী বর্তমান। তিনি সপরিবারে কলকাতায় থাকতেন। দীর্ঘ দিন ধরেই হৃদরোগে ভুগছিলেন। সম্প্রতি চিকিৎসার জন্য পুণেয় মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। শনিবার দুপুরে সেখানেই হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুসংবাদ পেয়ে এ দিন নির্ধারিত জেলা কমিটির বৈঠক বাতিল করে, তমলুকে মৌনী মিছিল করে সিপিআই। কামাখ্যাবাবু প্রথম বিধায়ক হন পটাশপুর থেকে ১৯৬৭ সালে। ’৮২-২০১১ পর্যন্ত টানা বিধায়ক ছিলেন। ন’য়ের দশকে দু’বছরের জন্য ক্ষুদ্রসেচ ও জলসম্পদ দফতরের মন্ত্রীও ছিলেন। |
|