আগ্নেয়াস্ত্র ও ভারতীয় জাল নোট সরবরাহের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে রবীন্দ্র ভবনের কাছে থেকে ওই ব্যক্তিকে ধরা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম লুতফর রহমান। বাড়ি বৈষ্ণবনগরের বাজারতিটোলায়। ধৃতের কাছ থেকে তিনটি ৭.৬ এমএম পিস্তল, ১২ রাউন্ড কার্তুজ, দুটি কার্তুজ ভরা ম্যাগাজিন এবং এক লক্ষ টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “ধৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করা হয়েছে। ওই জালনোট ও আগ্নেয়াস্ত্র কোথায় বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” শুক্রবার ধৃতকে মালদহ আদালতে তোলা হলে মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যজিস্ট্রেট জামিনের আবেদন খারিজ করে পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়ে দেন। |
জানুয়ারি-মার্চ, ১৩ |
• জালনোট উদ্ধার হয়েছে ৩৩ লক্ষ ৬৪ হাজার ৫০০ টাকার।
• জালনোট নিয়ে মামলা ১৪টি।
• জাল নোটে গ্রেফতার ৩১ জন।
• আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে ৮৯টি।
• কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে ১৪৯ রাউন্ড।
• মামলা হয়েছে ৬৮টি।
• গ্রেফতার ১২১ জন। |
|
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পৃথকভাবে জাল নোট ও অস্ত্র বিক্রির অভিযোগে গত তিনমাসে ১৫২ জন ধরা পড়েছে। ৩৩ লক্ষ ৬৪ হাজার ৫০০ টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়েছে। এ ছাড়াও উদ্ধার হয়েছে ৮৯টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ১৪৯ রাউন্ড কার্তুজ। কিন্তু জাল নোটের পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র কারবারের অভিযোগে এই প্রথম পুলিশ কোন ব্যক্তিকে বমাল গ্রেফতার করল। পুলিশ জানায়, সীমান্তের ওপার থেকে জাল নোট ও বিহারের মুঙ্গের থেকে অত্যাধুনিক ৭.৬ এমএম পিস্তল নিয়ে লু্তফর রহমান মালদহ টাউন স্টেশনে ট্রেন ধরতে যায়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে স্টেশনে পৌঁছনোর আগে রবীন্দ্র ভবনের কাছে ইংরেজবাজার থানার ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।
ধৃত লুতফর আগে শুধুমাত্র জাল নোটের কারবার করত বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ওই অভিযোগে তাকে বেশ কিছুদিন থেকে খোঁজা হচ্ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে জাল নোটের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ উদ্ধার হওয়ায় পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে জাল নোটের পাশাপাশি ধৃত ব্যক্তি অস্ত্র কারবারে হাত পাকিয়েছে। কিন্তু সে কোথায় অস্ত্র সরবরাহ করত সেটা এখনও জানা সম্ভব হয়নি। তবে ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের সন্দেহ, পঞ্চায়েত ভোটের আগে কোন রাজনৈতিক দলের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের কাছে জালনোট ও আগ্নেয়াস্ত্র পৌঁছে দিতে এ দিন সে উত্তরবঙ্গের কোন জেলায় রওনা হয়। কিন্তু তার আগেই ধরা পড়েছে। এক পুলিশ কর্তা জানান, বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে জালনোট ও অস্ত্র কারবারিদের একটি বড় চক্র পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। লুতফর যে ওই চক্রে জড়িত সেটা স্পষ্ট। ওকে জেরা করে অস্ত্র কারবারের নতুন তথ্য মিলতে পারে। |